• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

কলকাতায় ‘বাংলাদেশ দিবস’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০২০

গত ১০ জানুয়ারি থেকে ভারতের কলকাতার যোদপুর পার্কে শুরু হয়েছে দশ দিনব্যাপী ‘যোধপুর পার্ক উৎসব’। প্রতিবারের ধারাবাহিকতায় গত ১৩ জানুয়ারি ছিল এই উৎসবের ‘বাংলাদেশ দিবস’ পর্ব। বাংলাদেশ দিবস পর্বতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার তৌফিক হাসান। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথি সংগীতশিল্পী ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী অদিতি মোহসিন, ফ্যাশন ডিজাইনার ও বিশ্ব রঙ’র কর্ণধার বিপ্লব সাহা, বাংলাদেশের এই সময়ের দুই তরুণ শ্রোতাপ্রিয় সংগীতশিল্পী স্বপ্নীল সজীব ও তামান্না প্রমি।

অনুষ্ঠান শুরু হয় সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায়। অনুষ্ঠানের শুরুতেই উৎসব কমিটির সভাপতি শ্রী রতন দে, যুগ্ম সম্পাদক কৃষ্ণ কুমার দাসের কাছ থেকে আমন্ত্রিত অতিথি শিল্পীদের ‘যোধপুর পার্ক উৎসব’ কমিটি বিশেষ সম্মাননায় গ্রহণ করেন। তবে উদ্বোধন অনুষ্ঠানের দিনই বিপ্লব সাহাকে বিশেষ সম্মাননায় ভূষিত করা হয়। সেদিন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন উৎসব কমিটির চেয়ার্যমান শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়।

‘বাংলাদেশ উৎসব’ অনুষ্ঠানের শুরুতেই সংগীত পরিবেশন করেন প্রখ্যাত ফোক শিল্পী নূরজাহান আলিম। টানা বেশ কয়েকটি গান পরিবেশনের পর তার পরিবেশনার শেষপ্রান্তে তিনি হঠাৎ করেই মঞ্চে ডেকে নেন বিপ্লব সাহাকে। নূরজাহান আলিম ও বিপ্লব সাহা আবদুল আলিমের সিনেমায় গাওয়া শেষ গান ‘সব সখিরে পার করিতে নেব আনা’ গানটি পরিবেশন করেন। দুজনের অনবদ্য সংগীত পরিবেশনা মুগ্ধ হয়ে উপভোগ করেন উপস্থিত দর্শক শ্রোতারা। এর পরপরই বিপ্লব সাহার কোরিওগ্রাফিতে দুটি পর্বে দুই বাংলার তরুণ মডেলরা বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের জাতির পিতা মহাত্না গান্ধীর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফ্যাশন পর্বে অংশ নেন। নূরজাহান আলিমের পর মঞ্চে  ওঠেন অদিতি মোহসিন। টানা ত্রিশ মিনিটেরও বেশি তিনি রবীন্দ্রসংগীত পরিবেশন করেন।

এর পরপরই মঞ্চে উঠেন স্বপ্নীল সজীব। তার কয়েকটি গান পরিবেশনা শেষে শেষ শিল্পী হিসেবে মঞ্চে ওঠেন তামান্না প্রমি। মঞ্চে উঠেই ‘মধু মালতি ডাকে আয়’ গানটি গেয়ে দর্শকের মুগ্ধতার আবেশে জড়িয়ে নেন নিজেকে। এরপর একে একে প্রমি উপমহাদেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী রুনা লায়লার বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় গান গেয়ে শোনান। ‘বাংলাদেশ দিবস’র শেষপ্রান্তে স্বপ্নীল সজীব ও তামান্না প্রমি ‘এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি’ গানটি পরিবেশন করেন। আর এই পরিবেশনার মধ্যদিয়েই শেষ হয় ‘বাংলাদেশ দিবস’র।

অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে অদিতি মোহসিন বলেন,‘ রবীন্দ্রসংগীত শোনার জন্য কলকাতার দর্শক শ্রোতার আগ্রহ আমাকে ভীষণভাবে মুগ্ধ করেছে।’ নূরজাহান আলিম বলেন, ‘বাংলাদেশ দিবস পর্বটিতে অংশগ্রহণ করে আমি ভীষণ গর্বিত এবং এই অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করেও আমি ভীষণ আনন্দিত।’

বিপ্লব সাহা বলেন, ‘আমার পেশাগত জীবনের পথচলায় বাংলাদেশ দিবসটি শ্রদ্ধার সাথে মনে থাকবে। কারণ আমার বিশেষ অনুরোধে ডেপুটি হাইকমিশনার স্যার র্যাম্পে কিছুটা সময়ের জন্য হেঁটেছিলেন।’

স্বপ্নীল সজীব বলেন, ‘এই নিয়ে চতুর্থবার এই উৎসবে আমার সংগীত পরিবেশনা। নিঃসন্দেহে বিষয়টি আমার জন্য গর্বের।’ প্রমি বলেন, ‘কলকাতার দর্শকের আমার গানে মুগ্ধতা আমাকে বিস্মিত করেছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads