তানভীন সুইটি, বাংলাদেশের টিভি নাটক এবং মডেলিংয়ের অন্যতম একজন শিল্পী। মঞ্চের একজন দাপুটে অভিনেত্রী হিসেবে তানভীন সুইটির গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। কিন্তু তার মঞ্চের সাফল্যগাথা খুব কম করেই আলোচনায় এসেছে। আলোচনায় এসেছে বারবার টিভি নাটকে তার অভিনয় কিংবা বিজ্ঞাপনে তার অনবদ্য উপস্থিতি। অথচ মঞ্চই তাকে আজকের সুইটিতে পরিণত করেছে।
তানভীন সুইটি বলেন, ‘আমার আজকের এই অবস্থানে আসার নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার বাবা, মা আর আমার স্বামী রিপনের। তারপর আমার শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ আমার বিয়ে হয়েছে ২১ বছর পার হয়েছে। এই ২১টি বছর তারা আমাকে নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে ছিলেন বলেই আমি আগেও যেমন অনায়াসে কাজ করতে পেরেছি, এখনো করতে পারছি। বিশেষত রিপনের কথা উল্লেখ করতেই হয়। যে সময়ে আমি মঞ্চ নাটকে তুমুল ব্যস্ত ছিলাম সেই সময়ে রিপন আমার পাশে থেকে থেকে সাহস দিয়েছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার এই অবদান আমি কোনোদিনই ভুলবো না।’
গুণী এই শিল্পীর মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। সেই বছর তিনি নাট্যদল ‘থিয়েটারের’ হয়ে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন সৈয়দ শামসুল হকের গল্পে এবং আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকে। এরপর সুইটি একে একে সেই সময়ের দর্শকপ্রিয় মঞ্চ নাটক ‘স্পর্ধা’, ‘কৃতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’, ‘মেহেরজান আরেকবার’সহ আরো বেশ কিছু মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। এখনো মঞ্চে নিয়মিত।
অভিনয় জীবনের প্রিয় প্রিয় স্মৃতি রোমন্থন করতে যেয়ে সুইটি জানান, ‘অভিনয় জীবনে আমার অনেক ভালো স্মৃতি আছে। তাই যেকোনো একটা বলা অসম্ভব। সহকর্মীদের সঙ্গে বিদেশ ঘোরার স্মৃতি তো সবসময় মনে পড়ে। বহুদিন আগের ঘটনা। আমি সিঙ্গাপুরের মোস্তফা মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে আছি। সেখানে লুঙ্গি পরা এক বাংলাদেশিকে দেখতে পাই। তখন আমার কী হয়েছিল জানি না। আমি বাঙালি ভাই বলে চিৎকার করে উঠলাম। সেই ঘটনা মনে পড়লে এখনো হাসি পায়।’
একজন ভালো অভিনয়শিল্পীর কী কী গুণ থাকা জরুরি এমন প্রশ্নের জবাবে সুইটি বলেন, ‘আমি মনে করি, একজন ভালো অভিনয়শিল্পীর উচ্চারণ ঠিক হতে হবে। এছাড়া সময়জ্ঞান, ধৈর্য, বুদ্ধিমত্তা এবং জ্যেষ্ঠদের সম্মান করার মতো কিছু গুণ থাকতে হবে। ডেডিকেশন এবং সম্মান যেকোনো কাজের ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ।’
বর্তমান সময়ের ব্যস্ততা সম্পর্কে সুইটি বলেন, দুটি সিরিজে কাজ করছি। একটি আকরাম খানের ‘কালের যাত্রা’ এবং অন্যটি সাজ্জাদ হোসেন দোদুলের ‘ভালোবাসার অনেক রঙ’। দুটি কাজই খুব ভালো হয়েছে। শিগগিরই মুক্তি পাবে।
তানভীন সুইটি বলেন, আমার আজকের এই অবস্থানে আসার নেপথ্যে সবচেয়ে বড় ভূমিকা আমার বাবা, মা আর আমার স্বামী রিপনের। তারপর আমার শ্বশুরবাড়ির সহযোগিতা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। কারণ আমার বিয়ে হয়েছে ২১ বছর পার হয়েছে। এই ২১টি বছর তারা আমাকে নানাভাবে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে পাশে ছিলেন বলেই আমি আগেও যেমন অনায়াসে কাজ করতে পেরেছি, এখনো করতে পারছি। বিশেষত রিপনের কথা উল্লেখ করতেই হয়। যে সময়ে আমি মঞ্চ নাটকে তুমুল ব্যস্ত ছিলাম সেই সময়ে রিপন আমার পাশে থেকে থেকে সাহস দিয়েছে, অনুপ্রেরণা দিয়েছে। তার এই অবদান আমি কোনোদিনই ভুলব না।
গুণী এই শিল্পীর মিডিয়ায় যাত্রা শুরু হয়েছিল ১৯৯৫ সালে মঞ্চে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। সেই বছর তিনি নাট্যদল ‘থিয়েটারের’ হয়ে প্রথম মঞ্চে অভিনয় করেন সৈয়দ শামসুল হকের গল্পে এবং আতাউর রহমানের নির্দেশনায় ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকে। এরপর সুইটি একে একে সেই সময়ের দর্শকপ্রিয় মঞ্চ নাটক ‘স্পর্ধা’, ‘ক্রীতদাস’, ‘তোমরাই’, ‘কৃষ্ণকান্তের উইল’, ‘মেরাজ ফকিরের মা’, ‘মেহেরজান আরেকবার’সহ আরো বেশ কিছু মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেন। এখনো মঞ্চে নিয়মিত। আগামী ১২ সেপ্টেম্বর ত্রপা মজুমদারের নির্দেশনায় ‘মুক্তি’ নাটকে অভিনয়ে দেখা যাবে সুইটিকে।
টেলিভিশনে সুইটি প্রথম নাটকে অভিনয় করেন সালমান শাহর বিপরীতে ‘স্বপ্নের পৃথিবী’তে। আফজাল হোসেনের নির্দেশনায় তিনি প্রথম ‘ডায়মন্ড ব্র্যান্ড তেল’ বিজ্ঞাপনে মডেল হন। তার অভিনীত একমাত্র সিনেমা আবু সাইয়িদের ‘বাঁশি’। সুইটির বাবা প্রয়াত মো. আবদুল মোতালেব, মা প্রয়াত শুকুরুন্নেসা। ১০ ভাই-বোনের মধ্যে সুইটি নবম। তাদের সবার বড় বোন মঞ্জিলাই শুধু নেই। গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের মেয়ে সুইটি রাজধানীর লালমাটিয়া কলেজ থেকে গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন। ১৯৯৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর রিপনকে বিয়ে করেন।