• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

শোবিজ

‘একমুঠো জোনাকি’

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০

আগামীকাল শনিবার রাত আটটায় জনপ্রিয় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভিতে প্রচারিত হবে নাটক ‘একমুঠো জোনাকি’। শফিকুর রহমান শান্তনুর রচনায় নাটকটি পরিচালনা করেছেন দীপু হাজরা।

নাটকটিতে বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন ইরফান সাজ্জাদ, শবনম ফারিয়া, মাসুম বাশার, নিঝু মনি, ফরিদ মোহাম্মাদ, নাজিরুল আপন, শুভ, ফাইজা, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। প্রযোজনা করেছেন মোজাফফর দিপু।

গল্পে দেখা যায়, আবীরের সঙ্গে হূদির পরিচয়টা মজার। একদিন হূদি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিল। তখন তাকে লক্ষ্য করে দুজন ইভ টিজার শিস দেয়।  এ সময় সুদর্শন আবীরকে এগিয়ে আসতে দেখে হূদি সাহস পায়। ভাবে, আবীর হয়তো দুই বখাটেকে শায়েস্তা করবে। কিন্তু আবীর তা না করে আচমকা অট্টহাসিতে ফেটে পড়ে। তার হাসি দেখে হূদি যেমন বিব্রত হয় তেমনি ইভ টিজাররা চমকে ওঠে। এ সময় এক পুলিশ এসে দাঁড়ালে দুই ইভ টিজার পালায়। পুলিশ আবীরকে থানায় ধরে নিয়ে যায়।

আবীরের বাবা মাসুম সাহেব থানায় এলে পুলিশ জানায়, তার ছেলের নামে ভয়াবহ অভিযোগ। সে রাস্তার নিরীহ মেয়েকে ইভ টিজিং করেছে। মাসুম সাহেব তখন হূদিকে জিজ্ঞেস করেন, তার ছেলে সত্যিই তাকে বিরক্ত করেছে কি না? হূদি বলে, বিরক্ত না হলেও আবীরের হাসি তাকে বিব্রত করেছে। মাসুম সাহেব জানান, এটা তার ছেলের অসুখ। একে বলে, সিউডোবুলবার এফেক্ট। এটা খুব বিরল এক ব্যাধি। যার চিকিৎসা অনেক দিন থেকে চললেও পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেনি আবীর। এ রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিরা হঠাৎ এমনভাবে হেসে ওঠে বা কেঁদে ফেলে যে মনে হয়, তারা সত্যিই হাসছে বা কাঁদছে। আসলে এটা তারা করে অসুখের কারণে। কোনোভাবেই হাসি বা কান্না নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না। এ কারণে অনেকেই তার ছেলেকে ভুল বোঝে।

এই ঘটনার পর হূদি পুলিশকে অনুরোধ করে আবীরকে ছাড়াবার ব্যবস্থা করে। একই সঙ্গে আবীরের সঙ্গে হূদির একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সেখান থেকেই প্রেম।

এদিকে মাসুম সাহেব ছেলের রিলেশন দেখে ঠিক করেন, হূদির পরিবারে প্রস্তাব পাঠাবেন। হূদির অভিভাবক বলতে বড় ভাই হূদয় আর ভাবি। হূদয় প্রস্তাব শুনে ছেলের ছবি দেখেই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। কাকতালীয়ভাবে, হূদয়ের অফিসে আবীর চাকরি করে। তাই আবীরের অসুখের ব্যাপারে হূদয় আগে থেকেই অবগত। কিন্তু হূদয়ের বোন যে হূদি এটা আবীর বা ওর বাবা জানতেন না। হূদয় মাসুম সাহেবকে একরকম অপমান করে বলেন, ‘আপনার ছেলের কী যোগ্যতা আছে আমার বোনকে বিয়ে করার? সে তো প্রতিবন্ধী। মাসুম বোঝাতে চেষ্টা করেন, ওরা পরস্পরকে ভালোবাসে।’ কিন্তু হূদয় কোনো কথাই শুনতে নারাজ।

হূদয় হূদিকে ডেকে সাবধান করে দেন, আবীরের ব্যাপারে। পাশাপাশি আবীরকে ডেকে যা তা বলেন। আবীর কাজকর্মে ভালো হলেও তার অসুখের কারণে তাদের বেশ কিছু প্রজেক্ট মিস হয়ে যায়। এ জন্য হূদয়ের বকা শোনে সব সময়। হূদয়ের ধারণা হয়, আবীর ইচ্ছা করে তার বোনের সঙ্গে রিলেশন করেছে, যাতে হূদয়কে উচিত শিক্ষা দিতে পারে। এসব মনগড়া ভাবনা ভেবে হূদয় আবীরকে চাকরি থেকে স্যাক করেন। আবীর বুঝতে পারে, প্রিয়জনকে পেতে হলে তার যোগ্য হয়ে উঠতে হয়। তাকে দিয়ে ওসব হবে না। তাই সে হূদির কাছ থেকে দূরে সরে যায়। এদিকে হূদি আবীরের বিরহে ভেঙে পড়ে। তার বিয়ে ঠিক করে হূদয়। কিন্তু বিয়ের আগে হূদি বেঁকে বসে। বাধ্য হয়ে হূদয় তার স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করে ঠিক করে, বোনের সুখের জন্যে আবীরের সঙ্গেই বিয়ে দেবেন। কিন্তু আবীর! আবীর কোথায়? অভিমানে কোন সুদূরে চলে গেছে সে? এভাবেই এগিয়ে চলে একমুঠো জোনাকি নাটকের গল্প।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads