• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
চলচ্চিত্র নির্মাণই চন্দনের স্বপ্ন

ছবি : সং‍গ‍ৃহীত

শোবিজ

চলচ্চিত্র নির্মাণই চন্দনের স্বপ্ন

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ মার্চ ২০২০

চন্দন রায় চৌধুরী, খুলনার প্রখ্যাত ফটোগ্রাফার তুষার রায় চৌধুরীর সন্তান। বাবাকে দেখে দেখেই একসময় ফটোগ্রাফির নেশা চন্দনের নিজের মধ্যে জেগে ওঠে। জীবনের ধারাবাহিকতায় একসময় অনার্স সম্পন্ন করেন খুলনা আর্ট কলেজ থেকে চারুকলা বিষয়ে। এরপর ঢাকার স্টামফোর্ড ইউনভাির্সিটি থেকে নির্দেশনায় মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। মিডিয়াতে চন্দনের শুরু হয় ফেরদৌস হাসান রানা ও সাজ্জাদ সুমন পরিচালিত ‘মহানগর’ ধারাবাহিকের আর্ট ডিরেকশনের মধ্য দিয়ে। এরপর তিনি ‘গুলশান অ্যাভিনিউ’ ধারাবাহিকের সেট ডিজাইনের কাজও করেন।

কিন্তু সেখান থেকে নিজেকে সরিয়ে প্রথম চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ করেন ঝন্টু জগি পরিচালিত ‘গুড়’ নাটকের। এ নাটকে অভিনয় করেছিলেন অপূর্ব ও চাঁদনী। প্রথম অপূর্ব কোনো নাটকে গ্রামের একটি ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেন। এই নাটকে তার সিনেমাটোগ্রাফির প্রশংসা করেন প্রখ্যাত সিনেমাটোগ্রাফার রাশেদ জামান, যার কাজ চন্দনকে সব সময়ই মুগ্ধ করত। একসময় রাশেদ জামানের কাছ থেকে প্রস্তাব পেয়ে তার সঙ্গে সহকারী হিসেবে দেড় বছর টানা কাজ করলেন। জেনে নিলেন সিনেমাটোগ্রাফি সম্পর্কে বিশদ।

এরপর সময় আসে সিনেমাটোগ্রাফিতে নিজের মেধাকে প্রমাণ করার। রিজভী ওয়াহিদের ‘চোখেরই পলকে’ গানটির মিউজিক ভিডিও নির্মাণের কাজ পান তিনি। মডেল হিসেবে তানজিন তিশাকে নিয়ে এর নির্মাণকাজ সম্পন্ন করেন চন্দন। গানটি প্রকাশ হবার পর নির্মাতা হিসেবে দারুণ আলোচনায় চলে আসেন চন্দন। গানটির জনপ্রিয়তার সুবাদে তানজিন তিশাও একজন মডেল হিসেবে বেশ আলোচনায় চলে আসেন।

পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি আর চন্দন রায় চৌধুরী ও তানজিন তিশাকে। এরপর একে একে তিনি পূজার ‘বৃষ্টি’, ‘ইমরানের ‘ফিরে এসোনা’, ‘ধোঁয়া’, ‘এ জীবনে যারে চেয়েছি’, ‘তাহসান খানের ‘মন কারিগর’, তানজীব সারোয়ারের ‘ডুবে ডুবে’সহ আরো বেশ কিছু জনপ্রিয় গানের মিউজিক ভিডিও নির্মাণ করেন তিনি। প্রথম তিনি সিনেমার সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন অনন্য মামুন পরিচালিত শুভশ্রী ও অঙ্কুশ অভিনীত ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’ সিনেমার। এরপর তিনি শামীম আহমেদ রনির ‘মেন্টাল’, সৈকত নাসিরের ‘দেশা দ্য লিডার’, ইফতেখার চৌধুরীর ‘বিজলী’, মোস্তফা কামাল রাজের ‘সম্রাট’, ইদ্রিস হায়দারের ‘নীল ফড়িং’-এর সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে কাজ করেন। চন্দন রায় চৌধুরীর মা দীপ্তি রায় চৌধুরী।

পরিবারের ভাই-বোনদের মধ্যে সবার ছোট তিনি। বিয়ে করেননি এখনো। কারণ হিসেবে চন্দন রায় চৌধুরী বলেন, যখন চারুলকলায় পড়তাম তখন থেকেই আসলে আমার স্বপ্ন একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ করার। সেই স্বপ্ন বুকে লালন করেই কিন্তু আমি ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছি স্বপ্ন পূরণের পথে। একটু একটু করে নিজেকে গুছিয়ে নিচ্ছি আমি। তো আমার সেই স্বপ্নটা পূরণের পর বিয়ে করব। তার আগে নতুন করে জীবনের বাঁক বদল করতে চাই না এখনই। আগে চ্যালেঞ্জ নিয়ে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করে দর্শকের মাঝে আমার ভাবনার প্রকাশ ঘটাতে চাই। আমার বিশ্বাস আমি আমার কাজে সফল হব। কারণ সেই আত্মবিশ্বাসকে বুকে নিয়ে বাবা মায়ের আশীর্বাদকে সঙ্গী করে এগিয়ে চলেছি আগামীর পথে। 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads