• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
অভিনয়ের তিন দশক পেরিয়ে

ছবি : সংগৃহীত

শোবিজ

অভিনয়ের তিন দশক পেরিয়ে

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০

নব্বই দশকের টিভি নাটকের প্রিয় মুখ সমু চৌধুরী। সে সময় টিভি নাটকে দর্শক মাতিয়েছিলেন এই মঞ্চ অভিনেতা। সে সময়ের অনেককেই এখন কাজে দেখা যায় না। তার মধ্যে অনেকেই আড়ালে চলে গিয়েছেন। কিন্তু এ সময়ে এসেও নাটকে ব্যস্ত রয়েছেন এই নাট্য ব্যক্তিত্ব। মাঝে অভিমান করে অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন পরে আবার ফিরে এসে অভিনয়ে যোগ দেন।

যশোরের সন্তান অভিনেতা সমু চৌধুরী। পেশাগতভাবে তার অভিনয়জীবন শুরুর প্রয়াত আতিকুল হক চৌধুরী প্রযোজিত ‘সমৃদ্ধ অসীম’ নাটকে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। নাটকটি ১৯৯০ সালের ২২ মার্চ বিটিভিতে প্রচারিত হয়েছিল। সেই নাটকে গালিব চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় করে বেশ প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি। সেই হিসেবে একজন পেশাদার অভিনেতা হিসেবে অভিনয়ে জীবনের সাফল্যের তিন দশক পার করেছেন গুণী অভিনেতা। এখনো তিনি নিয়মিত টিভি নাটকে, সিনেমায় অভিনয় করছেন। মাঝে বলা যায় প্রায় অর্ধযুগ অভিনয় থেকে দূরে ছিলেন পারিবারিক কারণে। কিন্তু আবারো অভিনয়ে ফিরে এসে সমু চৌধুরী পুরনো ধারা বজায় রেখেছেন। ‘সমৃদ্ধ অসীম’ নাটকে অভিনয়ের পর সেই সময় সমু চৌধুরী ‘সোনালি রোদ্দুরে’, ‘রাং চিতা’, ‘সবুজের হলুদ ব্যাধি’, ‘কালো জোছনা’ একক নাটকসহ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘উঠোন’-এ অভিনয়সহ ‘না’, ‘সাতপৌরে কাব্য’, ‘জন্মভূমি’সহ আরো বেশ কিছু নাটকে অভিনয় করেন।

সিনেমায় সমু চৌধুরী প্রথম অভিনয় করেন শামসুল আলমের ‘শতজনমের প্রেম’। কিন্তু তার অভিনীত প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা হচ্ছে আমজাদ হোসেনের ‘আদরের সন্তান’। পরবর্তীতে তিনি সালমান শাহর সঙ্গে ‘মায়ের অধিকার’সহ ‘জুম্মন কসাই’, ‘দেশ দরদি’, ‘প্রেমের নাম বেদনা’, ‘মরণ নিয়ে খেলা’, ‘যাবি কই’, ‘সুন্দরী বধূ’, ‘হূদয় থেকে পাওয়া’সহ আরো বেশ কিছু সিনেমায় অভিনয় করেন।

অভিনয়জীবনের দীর্ঘদিনের পথচলা নিয়ে সমু চৌধুরী বলেন, ‘অভিনয়জীবনের পথচলায় দেশের মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি, সম্মান পেয়েছি এটা সত্যিই অনেক বড় প্রাপ্তি। হয়তো অন্য কোনো পেশায় গেলে এই অকৃত্রিম ভালোবাসা পাওয়ার তেমন কোনো সুযোগ থাকত না। তবে অভিনেতা হিসেবে অতৃপ্তি আছে আমার। কিছু কিছু চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করার সুযোগ পেয়েছি, কিন্তু আমি আরো কিছু ভালো ভালো চরিত্রে, চ্যালেঞ্জিং চরিত্রে কাজ করার ইচ্ছা রাখি, নিজেকে আরো নতুনভাবে সেসব চরিত্রে উপস্থাপনের আশা করি।’

প্রায় ৩০ বছরের ক্যারিয়ারে কাজ করেছেন ৫০০-এরও বেশি নাটকে এবং ১২টি চলচ্চিত্রে। নানামাত্রিক চরিত্রে হাজির হয়ে মন কেড়েছিলেন দর্শকদের। কাজ করেছেন অনেক শিল্পী ও নির্মাতার সঙ্গে। সেদিক থেকে কাজের অভিজ্ঞতাটাও অনেকটা ভারী।

তিনি বলেন, ‘আমাদের সময় নাটকের বাজেট নিয়ে কোনো চিন্তা ছিল না। একান্নবর্তী পরিবার নিয়ে আমরা কাজ করেছি। কিন্তু এখন তো দুজন শিল্পী দিয়েই নাটকের কাজ শেষ হয়ে যায়। আমাদের সময়ে সেট ডিজাইন করে সব মিলিয়ে নাটকের বাজেট থাকত মিনিমাম ১৪ লাখ টাকা। সরকারি টেলিভিশন বলে সেটা সম্ভব ছিল। কিন্তু এখন তো আর সেটা সম্ভব হচ্ছে না। তাই সেগুলো বলে লাভও নেই।’

সমু চৌধুরী ছাত্রজীবনে যশোর উদীচী শিল্পী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। টানা ১০ বছর উদীচীর হয়ে পথনাটক, মঞ্চনাটক ও গণসংগীত করেছেন। পরবর্তীতে ঢাকা উদীচী, ঢাকা থিয়েটার, নাগরিক নাট্যসম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads