• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮

শোবিজ

তমা মির্জা-হিশাম চিশতির ঠুনকো সংসার

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ ডিসেম্বর ২০২০

গত বছর মে মাসে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত কানাডীয় ব্যবসায়ী হিশাম চিশতির সঙ্গে বিয়ের বন্ধনে আবদ্ধ হন তমা মির্জা। বিয়ের দেড় বছরের মাথায় এসে আলাদা থাকছেন তিনি। একে-অপরের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও করেন। মামলায় হিশাম চিশতি উল্লেখ করেছেন পাওনা টাকা চাওয়ায় তাকে হত্যার চেষ্টা করেন তমা ও তার পরিবার। অন্যদিকে যৌতুক, নির্যাতন এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে মামলা করেছেন তমা মির্জা।

স্বামী হিশাম চিশতিকে ‘সাইকো’ বলে মন্তব্য করেন তমা। তিনি বলেন, ‘যৌতুকের জন্য আমাকে নির্যাতন করে হিশাম। শুধু তাই নয়, আমাকে মারধরও করেছে একাধিকবার। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও আমার সুনাম ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করেছে। বিভিন্নজনের কাছে আমার নামে আপত্তিকর কথা বলে আসছে। আমার কাছের গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ফোন করে উল্টাপাল্টা তথ্য দিচ্ছিল। যে তথ্যগুলো একেবারেই মিথ্যা। ও আসলেই একটা পাগল। আমি বেশ কয়েকবার তাকে জোর করে মানসিক ডাক্তারের কাছে নিয়ে গিয়েছি। তার চিকিৎসার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু সে চিকিৎসা নিতে অনীহা প্রকাশ করে।’   

এখন কি ডিভোর্সের পথে না সমাধানের পথে হাঁটবেন-জানতে চাইলে তমা মির্জা বলেন, এই পাগলের সঙ্গে সংসার করা তো সম্ভব না। সে আমাকে ডিভোর্সও দিতে চায় না। কয়েকবার মিউচুয়াল ডিভোর্স দিতে আইনজীবীর চেম্বারে গিয়েছিলাম আমরা। সেখানে আইনজীবীর সঙ্গে খারাপ আচরণ করে চলে এসেছে। যেহেতু থানা পুলিশ হয়েছে এবার আইনিভাবেই এগোব আমি।’

হিশাম চিশতির মামলাটিতে তমা মির্জাকে এক নম্বর আসামি করা হয়েছে। এছাড়া তার বাবা-মা, ভাই এবং অজ্ঞাতপরিচয়ের একজনকেও আসামি করা হয়েছে। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, মির্জা ফারজানা ইয়াসমিন তমা (তমা মির্জা) ও হিশাম চিশতির মধ্যে প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সময়ে বাবা-মায়ের প্ররোচনায় হিশামের কাছ থেকে মোট ২০ লাখ টাকা ধার হিসেবে নেন তমা। সেই ধারের টাকা ফেরত চাইলে কালক্ষেপণ শুরু করেন। এ পরিস্থিতিতে গত ২৯ সেপ্টেম্বর হিশাম কানাডা থেকে দেশে এসে তমাকে তার নিজের বাসায় এসে থাকতে বলেন। কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে তার বাসায় না গিয়ে বাবার বাসাতেই থাকতে থাকেন। এরপর হিশাম শ্বশুরবাড়িতে গেলে তার সঙ্গে তমাসহ বাড়ির সবাই খারাপ আচরণ শুরু করেন। একপর্যায়ে গত ৫ ডিসেম্বর রাত ৩টার দিকে তমা মির্জার বাবার বাড্ডার বাসায় যেতে বলা হয় হিশামকে। সেখানে নানা বিষয়ে আলোচনার পর ধার নেওয়া ২০ লাখ টাকা চাইলে বাসার সদস্যদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় তার। এর একপর্যায়ে বাড়ির সদস্যরা ক্ষিপ্ত হয়ে হিশামের ওপর আক্রামণ করেন। ওড়না দিয়ে পেঁচিয়ে তাকে খুন করার চেষ্টা করা হয়। এছাড়া লোহার চেয়ার দিয়ে আঘাত করলে ডান হাতে গুরুতর আঘাত পেয়ে মেঝেতে পড়ে যান হিশাম। তিনি চিৎকার শুরু করলে বাসার নিচের দারোয়ান ও আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বিষয়টি নিয়ে তমার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খবরটি পুরোপুরি মিথ্যা। তার কাছ থেকে আমার পরিবার টাকা ধার নেবে কেন। সেই তো কানাডা থেকে দেশে এলে আমার টাকায় চলে। আমি যদি টাকা না দেই সে আমার ওপর টর্চার করে। তার টর্চারের কারণেই আমার বাবার বাসায় চলে আসি। একদিন রাত ৩টায় সে আমার বাবার বাসায় এসে সিনক্রিয়েট করা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে বাড্ডা থানায় অভিযোগও করি। আমার দেখাদেখি সেও মামলা করে।

এদিকে তমা মির্জার স্বামী হিশাম চিশতি মামলা করার কয়েকদিন পরই কানাডায় চলে গেছেন বলে জানা গেছে।

দেশের একজন পরিচিত অভিনেত্রী তমা মির্জা। ‌নদীজন চলচ্চিত্রে অনবদ্য অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে সেরা পার্শ্ব-অভিনেত্রী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছিলেন। কাজ করেছেন ‘বলো না তুমি আমার’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘অহংকার’সহ আরো কয়েকটি ছবিতে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads