• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

শোবিজ

সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমান

জন্মদিনে তিন কন্যার উপহার

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ৩১ ডিসেম্বর ২০২০

আগামীকাল সংগীতজ্ঞ আজাদ রহমানের জন্মদিন। বেঁচে থাকলে এবার (২০২১) তিনি ৭৭-এ পা রাখতেন। তবে তিনি না থাকলেও তাকে ঘিরে হচ্ছে বিশেষ একটি আয়োজন। উন্মুক্ত করা হবে আজাদ রহমানের জীবন ও কর্মভিত্তিক একটি পূর্ণাঙ্গ ওয়েবসাইট। এমনটাই জানান এই সংগীতজ্ঞের কন্যা রোজানা আজাদ।

আজাদ রহমানের ৭৭তম জন্মবার্ষিকী (১ জানুয়ারি) উপলক্ষে ওয়েবসাইট প্রকাশের উদ্যোগ নিয়েছেন তার তিন কন্যা রুমানা আজাদ, রোজানা আজাদ ও নাফিসা আজাদ।

রোজানা আজাদ জানান, এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আজাদ রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। এতে তার জীবন ও কর্মের তথ্য তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া ওয়েবসাইটে এই মহান সংগীত সাধককে নিয়ে পর্যায়ক্রমে সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের স্মৃতিচারণ প্রকাশ করা হবে।

এই ওয়েবসাইটটি উদ্বোধন করবেন শিক্ষামন্ত্রী ড. দীপু মনি। অন্তর্জালে আয়োজিত এই উদ্বোধন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শাস্ত্রীয় সংগীতের পুরোধা ব্যক্তিত্ব পণ্ডিত অমরেশ রায় চৌধুরী (বাংলাদেশ), ড. প্রদীপ কুমার ঘোষ (ভারত), অধ্যাপক কাবেরী কর (প্রাক্তন অধ্যাপক, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়), ড. লীনা তাপসী খান (সংগীত বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়), ড. অসিত রায় (সংগীত বিভাগ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়), শেখ সাদি খান (সংগীত পরিচালক, মিউজিক কম্পোজারস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ-এর সভাপতি) এবং আজাদ রহমানের স্ত্রী ও ‘সংস্কৃতি কেন্দ্র’-এর চেয়ারম্যান শিল্পী সেলিনা আজাদ।

রোজানা আজাদ জানান, ওয়েবসাইট উদ্বোধন ২০২১ সালের ১ জানুয়ারি হলেও এটি সবার জন্য উন্মুক্ত হচ্ছে ২ জানুয়ারি। ঠিকানাটি হলো www.azadrahaman.com।

আজাদ রহমানের জন্ম ১৯৪৪ সালে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলায়। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি কীর্তন, ধ্রুপদী সংগীতের পাশাপাশি খেয়াল, টপ্পার চর্চা করেন।

পশ্চিমবঙ্গ থেকে বাংলাদেশে এসে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা শুরু করেন আজাদ রহমান।

১৯৬৩ সালে কলকাতার ‘মিস প্রিয়ংবদা’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে আজাদ রহমানের চলচ্চিত্রে আগমন। সেই চলচ্চিত্রে তার সুরে কণ্ঠ দেন মানবেন্দ্র মুখোপাধ্যায়, আরতি মুখার্জি ও প্রতিমা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাবুল চৌধুরীর ‘আগন্তুক’ চলচ্চিত্রের গানে সুর দেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে শুরু হয় আজাদ রহমানের পথচলা।

বাবার সঙ্গে তিন কন্যা তার সুর করা ও তার নিজের কণ্ঠে গাওয়া এপার-ওপার চলচ্চিত্রের ‘ভালোবাসার মূল্য কত’, ডুমুরের ফুল চলচ্চিত্রের ‘কারো মনে ভক্তি মায়ে’, দস্যু বনহুর চলচ্চিত্রের ‘ডোরা কাটা দাগ দেখে বাঘ চেনা যায়’ গানগুলো সত্তরের দশকে তুমুল জনপ্রিয়তা পায়।

তিনি চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনার পাশাপাশি ‘জন্ম আমার ধন্য হলো মা গো’র মতো কালজয়ী দেশাত্মবোধক গানেও সুর দিয়েছেন।

১৯৭৭ সালে ‘যাদুর বাঁশি’ চলচ্চিত্রের জন্য এবং ১৯৯৩ সালে ‘চাঁদাবাজ’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ‘চাঁদাবাজ’ চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসেবেও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads