• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
হতাশ ফারুক আহমেদ

সংগৃহীত ছবি

শোবিজ

হতাশ ফারুক আহমেদ

  • বিনোদন প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ এপ্রিল ২০২১

হতাশ ফারুক আহমেদ

বিনোদন প্রতিবেদক হ

করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউয়ে ক্রমেই বাড়ছে সংক্রমণের মাত্রা। সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে লকডাউন। লকডাউনে সবার মতো এখন ঘরবন্দি আছেন অভিনেতা ফারুক আহমেদ। কিন্তু এই লকডাউনের মধ্যে মানুষের তামাশা দেখে অবাক তিনি। প্রথম রোজার দিন ইফতার কিনতে গিয়ে পাড়ামহল্লায় মানুষের আড্ডার অবস্থা দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অভিজ্ঞতার কথা লিখেছেন।

সেখানে ফারুক লিখেছেন, প্রথম রোজার দিন ইফতার কেনার জন্য বিকালে বাসা থেকে বের হয়েছিলাম। ধারণা ছিল লকডাউনে রাস্তা থাকবে জনশূন্য। গলির মুখে গিয়ে দেখি এলাহি কারবার। গলিতে শত শত মানুষের জটলা। উৎসবমুখর পরিবেশ। বেশিরভাগ লোকজন মাস্কবিহীন ঘুরে বেড়াচ্ছে। কোথায় মহামারী কোথায় কী? আমি অবস্থা দেখে তাজ্জব বনে গেলাম। হায় হায় একি অবস্থা? লকডাউন মানে অতি জরুরি কাজ না থাকলে ঘর থেকে বাইরে যাওয়া যাবেনা। মহামারীর প্রকোপ কমাতে এই ব্যবস্থা। লোকজনের হাবভাব দেখে মনে হচ্ছে জনগণকে কষ্ট দেওয়ার জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, কিছুক্ষণ পর দেখি গলির মুখে পুলিশ। পুলিশ দেখামাত্র শত শত লোক বিপরীত দিকে দৌড় শুরু করল। কিছুক্ষণের মধ্যে গলি ফাঁকা। আমি রাস্তার একপাশে দাঁড়িয়ে রইলাম। পুলিশ আমার পাশ দিয়ে চলে গেল। মুখে বলে গেল, কেউ জরুরি কাজ ছাড়া বাইরে বের হবেন না। পুলিশ চলে যাওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যে সমস্ত গলিপথ আবার আগের অবস্থায় ফিরে এলো।  জনপ্রিয় এই অভিনেতা বলেন, শত শত লোকজন গলির রাস্তায় বের হয়ে এলো। কিছুলোক হয়তো জরুরি দরকারেই বের হয়েছে। বাকিরা বের হয়েছে তামাশা দেখতে আর আড্ডা দিতে। আমি তাড়াতাড়ি একটা হোটেলে ঢুকে কিছু ইফতারি কিনে বাসায় চলে এলাম। করোনা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। ভয়াবহ অবস্থা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। লকডাউনের সময় যথাসম্ভব ঘরে থাকতে হবে। ফারুক নিজে একটা স্লোগান বানিয়েছেন- সেটা তিনি প্রচার করছেন, ‘মহামারী করোনা, মাস্ক ছাড়া ঘুরো না’।

ফারুক আহমেদ ছোটবেলা থেকেই থিয়েটারে যুক্ত আছেন। এরপর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় জাকসুর একটি কর্মশালায় অংশ নিয়ে পুরোপুরি নাটকের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। গঠন করেন জাহাঙ্গীরনগর থিয়েটার। তিনি ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত হন ১৯৮৩ সালে। এ দলের হয়ে মুনতাসির ফ্যান্টাসি, কীর্ত্তনখোলা, কেরামত মঙ্গল, বনপাংশুল, প্রাচ্য, হাত হদাই, যৈবতী কন্যার মন, ভূত, একাত্তরের পালা, চাকা প্রভৃতি নাটকে অভিনয় করেন।

টেলিভিশনে নাটকে এসে দারুণ জনপ্রিয়তা পান ফারুক। হুমায়ুন আহমেদের সৃষ্ট অনেক জনপ্রিয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাদের মধ্যে ছিল মধুর সম্পর্ক। এই ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশস্বরূপ হুমায়ূন আহমেদ তাকে উপন্যাস ‘লিলুয়া বাতাস’ উৎসর্গ করেছিলেন।

অভিনয়ের পাশাপাশি ফারুক আহমেদ নাটক নির্মাণ ও রচনায় সিদ্ধহস্ত। তার লেখা নাটকের মধ্যে রয়েছে কালসাপের দংশন, উচ্চবংশ পাত্র চাই, দুই বাসিন্দা ও বিয়েকাটা। পরিচালিত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে পানিপড়া ও ডিগবাজি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads