• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

সংরক্ষিত ছবি

টেলিযোগাযোগ

কলরেট নিয়ে চরম বিপাকে পোস্টপেইড গ্রাহকরা

অভিযোগ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ১০ মে ২০১৮

কলরেট ও সার্ভিস চার্জ নিয়ে পোস্টপেইড গ্রাহকরা চরম বিপাকে আছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দীন আহমেদ। গতকাল বুধবার পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এই অভিযোগ করেন।

মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, দেশে যখন কলরেট অনেক বেশি ছিল এবং অনেক অপারেটর ইনকামিং চার্জও নিত, তখন করপোরেট ব্যবসায়ী এবং বেশি ব্যবহারকারীদের প্রথম পছন্দ ছিল পোস্টপেইড।

তিনি আরো বলেন, ‘সিম ক্লোন করে গ্রাহকের তথ্য জেনে তাকে নতুন অফার করা হতো, স্যার আপনি বর্তমানে যে সিম ব্যবহার করছেন তাতে অনেক খরচ তাই যদি পোস্টপেইড ব্যবহার করেন তাহলে খরচ পড়বে মাত্র ৬০ পয়সা। অন্য অপারেটরে পড়বে এক টাকা। এতে কোনো সিমের মূল্য প্রদান করতে হবে না। তবে ৫০০ টাকা জামানত হিসেবে জমা করতে হবে। প্রতিমাসে ৫০০ টাকা ন্যূনতম ব্যবহার করতে হবে। তা না হলে মাসে ৫০ টাকা লাইন রেন্ট হিসেবে কর্তন করা হবে। গ্রাহকের প্রশ্ন দীর্ঘদিন ধরে যে নম্বর ব্যবহার করছি তার কী হবে? অপারেটরের উত্তর আপনার বর্তমান নম্বরই থাকবে। শুধু অপারেটর পরিবারের জন্য প্রথম একটি ডিজিট পরিবর্তন করা হবে। গ্রাহকও খুশি। বর্তমানে প্রিপেইড কলচার্জ সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা, আর সর্বোচ্চ ৬০ পয়সা।’

বর্তমান সময়ে অনেক পোস্টপেইড গ্রাহকই তাদের সংযোগ রাখতে চাচ্ছেন না জানিয়ে সভাপতি বলেন, ‘পোস্টপেইডে সার্ভিস চার্জ ও কলরেট অনেক বেশি হওয়ায় অনেক পোস্টপেইড গ্রাহক এখন আর সংযোগ রাখতে ইচ্ছুক নন। গ্রাহকদের অভিযোগ, পোস্টপেইডে সব কলের ক্ষেত্রে ন্যূনতম বিল এক টাকা, অথচ প্রিপেইডের ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জও নেই, আবার কলরেটও কম। এই হিসাব করে যখন অনেক গ্রাহক পোস্টপেইডের বিল প্রদান করা থেকে বিরত থাকলেন, তখন দেখা গেল অপারেটররা গ্রাহকের ইনকামিং কলও বন্ধ করে দিল। এক্ষেত্রে গ্রাহকরা বর্তমানে চরম বিপাকে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহূত নম্বর এক্ষেত্রে বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। আবার অনেক গ্রাহক বিল দিয়েও সংযোগ পাচ্ছেন না যথাসময়ে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads