• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
এমএনপি সেবা চালু

প্রতীকী ছবি

টেলিযোগাযোগ

এমএনপি সেবা চালু

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০১ অক্টোবর ২০১৮

বহুল প্রতীক্ষিত মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি বা এমএনপি সেবা পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয়েছে। এর মাধ্যমে একজন গ্রাহক মোবাইল নম্বর পরিবর্তন না করেই অপারেটর বদল করতে পারবেন। ৭২তম দেশ হিসেবে বাংলাদেশে এ সেবাটি চালু করা হচ্ছে।

আজ সোমবার রাজধানীর রমনায় বিটিআরসির সম্মেলন কক্ষে কমিশনের চেয়ারম্যান মো. জহুরুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এমএনপিএস সেবা চালুর করার ঘোষণা দেন।

সংবাদ সম্মেলনে বিটিআরসির চেয়ারম্যান বলেন, মোবাইল নম্বর পোর্ট্যাবিলিটি সার্ভিস (এমএনপিএস) সেবা চালুর ফলে মোবাইল গ্রাহকগণ তার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বর অপরিবর্তিত রেখে যেকোনো অপারেটর বদল করে ভয়েস ও ডাটা সেবা নিতে পারবেন। তিনি বলেন, অপারেটর বদল করতে গ্রাহকদের নির্ধারিত ফি দিতে হবে। একবার অপারেটর বদল করলে কমপক্ষে তিন মাস আর অপারেটর বদল করা যাবে না।

জহুরুল হক বলেন, এই অপারেটর বদল কার্যক্রম ৩০ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত অর্থ্যাৎ ১ অক্টোবর মধ্যরাত থেকে চালু করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ১৭ জন গ্রাহক এই সেবা সফলতার সঙ্গে নিয়েছেন। তিনি বলেন, অপারেটর বদল করতে একজন গ্রাহকের মোট ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা লাগবে। এর মধ্যে ট্যাক্স ১০০ টাকা, ভ্যাট সাড়ে ৭ টাকা এবং অপারেটর বদল করলে ৫০ টাকা খরচ হবে।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গত বছরের ৩০ নভেম্বর বাংলাদেশ ও স্লোভেনিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ইনসোর্টিয়াম ইনফোজিলিয়ান বিডি টেলিটেক কে মোবাইল অপারেটরদের মাধ্যমে দেশে মোবাইল নম্বর পোর্ট্যাবিলিটি বা এমএনপি  সেবা প্রদানের জন্য লাইসেন্স দেওয়া হয়। অপারেশন চালুর পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে মোবাইল গ্রাহকদের ১ শতাংশ, ১ বছরের মধ্যে ৫ শতাংশ, ৫ বছরের মধ্যে ১০ শতাংশ সেবা আওতায় নিয়ে আসা হবে।

বিটিআরসি সূত্রে জানা গেছে, একবার অপারেটর বদল করতে একজন গ্রাহককে ৫০ টাকা ফি প্রদান করতে হবে। এমএনপি সেবা গ্রহণের জন্য এর আগে ৩০ টাকা ফি নির্ধারণ করা হলেও সম্প্রতি এটি বাড়িয়ে ৫০ টাকা করা হয়। এর সঙ্গে যুক্ত হবে ১৫ শতাংশ ভ্যাট।

অপারেটর বদলের জন্য প্রথমেই একজন গ্রাহককে নতুন অপারেটরের কাছ থেকে সিম প্রতিস্থাপন করে নিতে হবে যার জন্য বিটিআরসি নির্ধারিত ১০০ টাকা চার্জ প্রদান করতে হবে। অর্থাৎ প্রতিবার অপারেটর বদলের জন্য একজন গ্রাহককে সব মিলিয়ে গুনতে হবে ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা। পুরো কাজটি করার জন্য গ্রাহককে যেতে হবে নতুন অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে। আবেদনের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে অপারেটর বদল হবে বলে জানিয়েছে এমএনপি সেবা প্রদানে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান ইনফোজিলিয়ন বিডি- টেলিটেক। এ ছাড়া একবার অপারেটর বদল করার পর পরবর্তী ৯০ দিনের আগে পুনরায় অপারেটর বদল করা যাবে না।

এমএনপি সেবা গ্রহণের বিষয়ে মোবাইল অপারেটর রবি এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, গ্রাহকসেবা কেন্দ্র বা বায়োমেট্রিক পয়েন্ট থেকে একজন গ্রাহকের অপারেটর পরিবর্তনের অনুরোধ পাওয়ার পর এক ঘণ্টা সময়ের মধ্যে তাকে জানানো হবে তিনি অপারেটর বদল করতে পারবেন কি না। শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তিনি একটি নতুন সিম পাবেন যা তার পূর্বের নম্বরের সঙ্গে যুক্ত হবে।

উল্লেখ্য, এমএনপি সেবা চালুর জন্য প্রথম উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১২ সালে। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে এমএনপি নীতিমালায় অনুমোদন দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সালের মে মাসে প্রধানমন্ত্রী এ নীতিমালার অনুমোদন দেন। এরপর গত বছরের নভেম্বরে নিলামের মাধ্যমে এ সেবা প্রদানের দায়িত্ব পায় ইনফোজিলিয়ন বিডি-টেলিটেক কনসোর্টিয়াম। লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী দায়িত্ব পাওয়ার ১৮০ দিনের মধ্যে এমএনপি সেবা চালুর কথা থাকলেও বিভিন্ন অনিশ্চয়তার মধ্য দিয়ে যেতে থাকে এমএনপি সেবাটি। এরপর কয়েক দফায় পিছিয়ে আজ চালু হচ্ছে এ সেবা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads