• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

টেলিযোগাযোগ

এমএনপি সেবার খরচ কমল

  • শাহাদাত হোসেন
  • প্রকাশিত ১৬ জানুয়ারি ২০১৯

নম্বর পরিবর্তন না করে অপারেটর বদল বা এমএনপি সেবা গ্রহণের জন্য বিদ্যমান মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দিয়েছে সরকার। এর ফলে এখন আগের থেকে আরও কম খরচে এ সেবা নিতে পারবেন গ্রাহকরা।

এমএনপি সেবা চালুর পর একজন গ্রাহককে অপারেটর বদলের জন্য একজন গ্রাহককে ৫০ টাকা চার্জের সাথে সিম রিপ্লেসমেন্ট ট্যাক্স এবং ভ্যাটসহ মোট ১৫৭ টাকা ৫০ পয়সা দিতে হতো। তবে ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক না থাকায় এখন মাত্র ৫৭ টাকা ৫০ পয়সা দিয়েই গ্রাহকরা এ সেবা গ্রহণ করতে পারবেন।

মূল্য সংযোজন কর আইন, ১৯৯১ এর ধারা ১৪ এর উপধারা ১-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে সরকার এমএনপি সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে আরোপিত মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক অব্যাহতি দিয়ে ১৩ জানুয়ারি প্রজ্ঞাপণ জারি করেছে।

দুটি শর্তে এ অব্যাহতি প্রদান করেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ। এসব শর্তে বলা হয়েছে, প্রত্যেক মোবাইল অপারেটরকে প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে আগের মাসের সিমকার্ডের সর্বমোট স্থিতি, এমএনপি সেবার বিপরীতে কী পরিমাণ নতুন গ্রাহক পোর্টেড ইন এবং পোর্টেড আউট হয়েছে তার সংখ্যা ও অব্যাহতিপ্রাপ্ত শুল্ক-করের পরিমাণ, অন্যান্য কারণে সিমকার্ড পরিবর্তন সংক্রান্ত তথ্য এবং এরজন্য আদায়কৃত শুল্ক-করের পরিমাণ সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেট এবং বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) বাধ্যতামূলকভাবে পাঠাতে হবে। অপর শর্তে বলা হয়েছে, এমএনপি সেবা প্রক্রিয়াকরণ সংস্থা কর্তৃক একইভাবে সব মোবাইল অপারেটরের এমএনপি সেবা প্রদানের বিপরীতে পোর্টেড ইন এবং পোর্টেড আউট গ্রাহকের নাম, মোবাইল নম্বর, বর্তমান অপারেটরের ও পরিবর্তিত অপারেটরসহ আনুষঙ্গিক তথ্য সংশ্লিষ্ট মূসক কমিশনারেট এবং বিটিআরসি’তে মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে পাঠাতে হবে।

এমএনপি সেবা থেকে ভ্যাট এবং সম্পূরক শুল্ক তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে অপারেটরগুলো। এ বিষয়ে রবি আজিয়াটার হেড অব কর্পোরেট অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স শাহেদ আলম বলেন, এমএনপি সেবার সিম প্রতিস্থাপন কর তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত খুবই ইতিবাচক একটি পদক্ষেপ। এর ফলে এ সেবা নিতে গ্রাহকের আগ্রহ যেমন বাড়বে তেমনি এখান থেকে সরকারের রাজস্ব আয়ও বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া মোবাইল অপারেটরদের মধ্যে এমএনপি সেবা নিয়ে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পাবে এবং এর সুফল হিসেবে গ্রাহকরা উন্নত সেবা পাবেন বলেও মনে করেন তিনি।

 

এমএনপিতে বেশি গ্রাহক হারিয়েছে গ্রামীণফোন

এদিকে এমএনপি সেবা প্রদানকারি সংস্থা ইনফোজিলিয়ন টেলিটেকের হিসেবে দেখা গেছে, গত বছরের অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে এমএনপি সেবার কারণে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হারিয়েছে গ্রামীণফোন এবং সবচেয়ে বেশি গ্রাহক পেয়েছে রবি। তিন মাসে গ্রামীণফোনের ৪৯ হাজার ৬৫৮ জন গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তন করে অন্য অপারেটরে গেছেন। এছাড়া রবি থেকে অপারেটর বদল করেছেন ২০ হাজার ৪০৬ জন গ্রাহক। বাংলালিংক এবং টেলিটক থেকে যথাক্রমে ৩৪ হাজার ২৫৬ এবং ২ হাজার ২৩ জন গ্রাহক অপারেটর বদল করে অন্য অপারেটরে স্থানান্তরিত হয়েছেন।

এ সেবার মাধ্যমে অক্টোবর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে রবিতে যুক্ত হয়েছে ৭২ হাজার ৫ জন গ্রাহক। অপারেটর বদল করে গ্রামীণফোনে এসেছে ১০ হাজার ৪৯১ জন গ্রাহক। এছাড়া বাংলালিংক এবং টেলিটকে গিয়েছেন যথাক্রমে ২২ হাজার ৩২৫ জন এবং এক হাজার ৫২২ জন গ্রাহক।

অন্যদিকে অপারেটর বদল করতে গিয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যর্থ হয়েছে বাংলালিংক গ্রাহকরা। এ তালিকায় দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে গ্রামীণফোন।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads