• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে গ্রামীণফোন

ছবি : সংগৃহীত

টেলিযোগাযোগ

একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ হারাচ্ছে গ্রামীণফোন

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

দেশের অন্যতম মোবাইল অপারেটর গ্রামীণফোনকে সিগনিফিকেন্ট মার্কেট পাওয়ার বা এসএমপি ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। এর ফলে এখন থেকে বাজারে প্রতিযোগিতা বজায় রাখতে অপারেটরটির বিভিন্ন করণীয় ও বর্জনীয় নির্ধারণ করে দিতে পারবে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

রোববার নিয়ন্ত্রক সংস্থার পক্ষ থেকে চিঠি দিয়ে গ্রামীণফোনকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এখন থেকে টেলিকম খাতে গ্রামীণফোনের একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার ওপর লাগাম টানতে পারবে বিটিআরসি।

বিটিআরসির এ প্রবিধানমালায় বলা হয়েছে, খুচরা মোবাইল সেবা সংশ্লিষ্ট বাজারের নির্ণায়কসমূহ তথা গ্রাহক সংখ্যা, অর্জিত রাজস্ব ও কমিশন কর্তৃক বরাদ্দকৃত তরঙ্গ- এই তিনটি নির্ণায়কের মধ্যে কোনো মোবাইল ফোন অপারেটর অন্তত একটিতে মোট বাজারের অন্তত ৪০ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করলেই সেটিকে এসএমপি হিসাবে নির্ধারণের বিধান রয়েছে।

এর মধ্যে গ্রাহক সংখ্যা ও রাজস্ব আয়ের দিক থেকে এসএমপির শর্তের মধ্যে পড়ে গ্রামীণফোন। বিটিআরসির চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, প্রবিধানমালা অনুসারে এসএমপি অপারেটর হিসেবে গ্রামীণফোনের করণীয় ও বর্জনীয় সংক্রান্ত নির্দেশ পরবর্তী সময়ে জারি করা হবে।

ডিসেম্বরে পাওয়া তথ্য অনুসারে, দেশের মোট মোবাইল ফোন গ্রাহকের ৪৬ দশমিক ৩৩ শতাংশই গ্রামীণফোন ব্যবহার করেন। এর মাধ্যমে গ্রাহক সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে আছে অপারেটরটি। এছাড়া রাজস্ব আয়ের দিক থেকেও ৫০ শতাংশের ওপরে রয়েছে গ্রামীণফোন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের আগস্টে ‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (টেলিযোগাযোগ প্রতিযোগিতা) প্রবিধানমালা, ২০১১’ অনুমোদনের জন্য ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায় বিটিআরসি। পরের বছরের জানুয়ারিতে প্রবিধানমালায় আরো বেশ কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত করে তা পাঠানোর জন্য বিটিআরসিকে অনুরোধ করে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংশোধিত প্রবিধানমালা অনুমোদনের জন্য আবার পাঠায় বিটিআরসি।

পরবর্তী সময়ে কয়েক ধাপে অপারেটরদের মতামত ও পরামর্শ এবং বিনিয়োগ বোর্ডের মতামত যুক্ত করে প্রবিধানমালায় প্রয়োজনীয় সংশোধন করা হয়। সংশোধিত এ প্রবিধানমালা ওই বছরের সেপ্টেম্বরে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে পাঠায় বিটিআরসি।

গত বছর ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে অনুষ্ঠিত এক সভায় টেলিযোগাযোগ প্রতিযোগিতা প্রবিধানমালা, ২০১৮-এর পরিবর্তে এসএমপি রেগুলেশন, ২০১৮ তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গত বছর নভেম্বরে এসএমপি নীতিমালার অনুমোদন দেয় সরকার। ওই মাসেই এটি গেজেট আকারে প্রকাশ হয়। এতে বলা হয়, বাজারে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোসহ এ খাতে লাইসেন্সধারী কোনো কোম্পানিকে এসএমপি ঘোষণার আগে তার গ্রাহক, রাজস্ব ও স্পেকট্রামসহ অন্যান্য সম্পদের বিষয় বিবেচনা করা হবে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads