• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
ফাইভজি প্রযুক্তি থেকে আয় হবে ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার

ছবি : সংগৃহীত

টেলিযোগাযোগ

ফাইভজি প্রযুক্তি থেকে আয় হবে ১.২ ট্রিলিয়ন ডলার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ফাইভজি প্রযুক্তি চালু হতে খুব বেশি দেরি নেই। এরই মধ্যে ইউরোপ ও আমেরিকা অঞ্চলের কয়েকটি দেশে ফাইভজি চালু হয়েছে।

ফাইভজি চালু হলে এ খাত থেকে বিপুল আয়ের সম্ভাবনাও তৈরি হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে ফাইভজি আগামী পাঁচ বছরে ১ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলার আয়ের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছেন হুয়াওয়ের রিজিওনাল প্রেসিডেন্ট জেমস উ। বার্সেলোনায় মোবাইল ওয়ার্ল্ড কংগ্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এ তথ্য জানান।

জেমস উ বলেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে আগামী পাঁচ বছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে গড়ে ৫ থেকে ৬ শতাংশ হারে এবং এই প্রবৃদ্ধি অর্জনে মূল ভূমিকা পালন করবে ডিজিটাল অর্থনীতি যা হবে মোট প্রবৃদ্ধির ২০ শতাংশ। এই অঞ্চলের দেশগুলোতে ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ এবং আমরা একটি ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে অংশীদারদের সাথে কাজ করব।

তিনি আরো বলেন, আমরা ধারণা করছি, ২০২০ সালের আগে ভারত, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম এবং হংকংসহ ১১টি দেশ ও আঞ্চলিক বাজারে ফাইভজির ব্যাপক বাণিজ্যিকীকরণ হবে। আর আগামী পাঁচ বছরে এই অঞ্চলে ফাইভজি ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়াবে ৮০ মিলিয়ন। ফলে তারবিহীন প্রযুক্তি এবং ডিজিটাল ও বুদ্ধিবৃত্তিক যন্ত্রাংশ সামাজিক উৎপাদনশীলতাকে গড়ে ৪ থেকে ৮ শতাংশ বাড়াবে।

হুয়াওয়ের রিজিওনাল প্রেসিডেন্টের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হুয়াওয়ে ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এবং সাউথ-ইস্ট এশিয়ার গ্রাহকদের কাছ থেকে ফাইভজি ট্রায়ালের আমন্ত্রণ পেয়েছে।

জেমস উ বলেন, এ অঞ্চলে ফাইভজি সম্প্রসারণে ২০১৯ সালকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হচ্ছে। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ফাইভজি ভেন্ডর হিসেবে হুয়াওয়ে এই অঞ্চলের সব অপারেটরকে ফাইভজির স্বপ্ন পূরণে সহায়তা করবে। গ্রাহকদের সহায়তা করতে এবং চলমান প্রযুক্তি ব্যবহার করে ন্যূনতম উপকার পেতে আমরা ফাইভজি, ব্রডব্যান্ড, ক্লাউড, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা এবং স্মার্ট ডিভাইস প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রেখেছি।

প্রসঙ্গত, গত বছর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে চলমান ক্যাম্পেইনের আওতায় চীনের এই প্রযুক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র তার মিত্র দেশগুলোতে হুয়াওয়ের ফাইভজি উন্নয়নের অংশীদার না করার আহ্বান জানিয়েছে এবং জাতীয় ও ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে দাবি করে আসছে। যদিও হুয়াওয়ে যুক্তরাষ্ট্রের এসব দাবি অস্বীকার করেছে। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, তাদের প্রযুক্তি গুপ্তচরবৃত্তিতে ব্যবহার হতে পারে, তবে এখন পর্যন্ত এই অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ মেলেনি। সম্প্রতি যুক্তরাজ্য জানিয়েছে, হুয়াওয়ের ফাইভজি যন্ত্রাংশের নিরাপত্তা হুমকি কমানো সম্ভব।

জেমস উ আরো বলেন, সব দেশ রাজনৈতিক ও আদর্শিক ইস্যুতে ফাইভজি সম্প্রসারণ বন্ধ রাখবে না। সাউথ-ইস্ট এশিয়ার সব দেশের সরকার ও জনগণের সাথে গত ২০ বছর কাজ করে আমরা আমাদের সাইবার নিরাপত্তার রেকর্ড প্রমাণ করেছি। ফলে হুয়াওয়েকে বিশ্বাস করা যেতে পারে। আমি নিশ্চিত তাদের বিচার খুবই স্পষ্ট। উদীয়মান বাজার হিসেবে সাউথ-ইস্ট এশিয়ার দেশগুলো সেসব আইসিটি ভেন্ডরকে সহায়তা করবে, যারা স্থানীয় উন্নয়নে সত্যিকার অর্থে অবদান রেখেছে।

হুয়াওয়ে গত ১০ বছর ধরে ফাইভজি প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ করে যাচ্ছে এবং হুয়াওয়ে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের চেয়ে ফাইভজি প্রযুক্তিতে ১২ থেকে ১৮ মাস এগিয়ে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads