• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
দেশে স্মার্টফোনের বাজার হারাচ্ছে স্যামসাং

ছবি : সংগৃহীত

টেলিযোগাযোগ

দেশে স্মার্টফোনের বাজার হারাচ্ছে স্যামসাং

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৮ মার্চ ২০১৯

বৈশ্বিক স্মার্টফোন বাজারে প্রবৃদ্ধি হ্রাসের ধাক্কা লেগেছে দেশের বাজারে। এক বছরে দেশে স্মার্টফোন সরবরাহের পরিমাণ কমেছে ১৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে বিভিন্ন বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান দেশের বাজারে ৬৯ লাখ ইউনিট স্মার্টফোন সরবরাহ করে, যা ২০১৮ সালে ছিল ৮১ লাখ ইউনিট। বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল ডাটা করপোরেশন (আইডিসি) প্রকাশিত সবশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য দেখা গেছে।

আইডিসি বলছে- শুধু স্মার্টফোন বাজারই নয়, সমগ্র মোবাইল ফোন বাজারেই ২০১৮ সালে নিম্নমুখী প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। ২০১৮ সালে দেশে মোট মোবাইল ফোন আমদানি হয়েছে ২ কোটি ৮৫ লাখ ইউনিট, যা আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম।

বাংলাদেশের বাজারে সবচেয়ে বেশি কমেছে স্যামসাংয়ের স্মার্টফোন সরবরাহ। এক বছরে ৩১ শতাংশ বাজার হারিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর ফলে স্মার্টফোনের বৈশ্বিক বাজারে শীর্ষে থাকা প্রতিষ্ঠানটি দেশের বাজারে চতুর্থ অবস্থানে নেমে এসেছে। বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটির দখলে ছিল স্মার্টফোন বাজারের মাত্র ৭ দশমিক ৯ শতাংশ।

আইডিসির প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, ২০১৮ সালে প্রথম বাংলাদেশে স্মার্টফোন ও ফিচার ফোনের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। যদিও বাজারে ফিচার ফোনের আধিক্যই বেশি। ২০১৮ সালে দেশের বাজারে ফিচার ফোন আসে ২ কোটি ১৬ লাখ ইউনিট, যা মোট বাজারের ৭৬ শতাংশ। ২০১৭ সালে ফিচার ফোন আসে ২ কোটি ৬১ লাখ ইউনিট।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৮ সালের শুরুতেই বাংলাদেশে ফোরজি সেবা চালু করা হয়েছে। কিন্তু সীমিত নেটওয়ার্ক ও ফোরজি সক্ষম হ্যান্ডসেটের দাম বেশি হওয়ায় বছরজুড়ে এর চাহিদা ছিল কম। এ খাতে শুল্ক বাড়ায় মোবাইল ফোন কোম্পানিগুলোকে দাম ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্যও লড়াই করতে হচ্ছে।

২০১৭ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে মার্কেট শেয়ারের দিক থেকে প্রথম অবস্থানে ছিল দেশি মোবাইল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান সিম্ফনি, দ্বিতীয় অবস্থানে ট্র্যানশান, তৃতীয় অবস্থানে স্যামসাং, চতুর্থ অবস্থানে হুয়াওয়ে এবং পঞ্চম অবস্থানে ওয়ালটন। এক বছর শেষে অবস্থান পরিবর্তন হয় স্যামসাং, হুয়াওয়ে ও ওয়ালটনের। তবে সিম্ফনি ও ট্র্যানশানের অবস্থান পূর্বের জায়গাতে থাকলেও সিম্ফনি হারিয়েছে ৬ দশমিক ৮ শতাংশ মার্কেট, ট্র্যানশান হারিয়েছে ১ শতাংশ।

স্যামসাংকে সরিয়ে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে শাওমি। বছরের চতুর্থ প্রান্তিকে এ প্রতিষ্ঠানটির বাজার অংশীদারি বেড়ে হয়েছে ৮ দশমিক ২০ শতাংশ। মোবাইল ফোন সরবরাহ আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় দ্বিগুণ বেড়েছে।

২০১৮ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে বাংলাদেশের স্মার্টফোন বাজারে প্রবৃদ্ধি আসে মাত্র ২ শতাংশ। এর মধ্যে ভালো প্রবৃদ্ধি করেছে অ্যান্ড্রয়েড গো সংস্করণ। বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে অ্যান্ড্রয়েড গো স্মার্টফোনের বাজার ২৯ শতাংশ থাকলেও চতুর্থ প্রান্তিকে তা বেড়ে হয়েছে ৪৩ শতাংশ। এতে প্রান্তিক প্রবৃদ্ধি বাড়ে ৫১ শতাংশ। চতুর্থ প্রান্তিকে এ বাজারে শীর্ষ ভূমিকা রেখেছে সিম্ফনি। গো স্মার্টফোনে সিম্ফনির অংশীদারি ৩৯ শতাংশ।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads