• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
প্রযুক্তি খাতের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় বেসিস

ছবি : সংগৃহীত

টেলিযোগাযোগ

প্রযুক্তি খাতের জন্য ৭০০ কোটি টাকা বরাদ্দ চায় বেসিস

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২০ মে ২০১৯

২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে বেশ কয়েকটি প্রস্তাবনা দাখিল করেছে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস)। গতকাল অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের কাছে তথ্যপ্রযুক্তি সংশ্লিষ্ট বাজেট প্রস্তাব (২০১৯-২০) আনুষ্ঠানিকভাবে পেশ করেছেন বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর। রাজধানীর আগারগাঁওয়ের পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সমপর্ক বিভাগে অনুষ্ঠিত সভায় বিস্তারিত আলোচনায় এসব প্রস্তাব পেশ করা হয়।

সভায় দেশীয় প্রকল্পে অংশগ্রহণের জন্য পিপিআর টেমপ্লেটে দেশীয় প্রতিষ্ঠানবান্ধব নীতিমালা প্রণয়নের আহ্বান জানান বেসিস নেতারা। পাশাপাশি ভ্যাট অনলাইন প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশি আইটি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার দিকগুলোও তুলে ধরা হয়।

এ ছাড়া টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স (টিএ) প্রকল্পের জন্য ৫০০ কোটি টাকার বরাদ্দেরও দাবি জানানো হয় সভায়। অন্যান্য অনুন্নত দেশে বাংলাদেশি সফল সফটওয়্যার সেবা প্রদান করে স্থানীয় তথ্য প্রযুক্তি শিল্পের সক্ষমতা যেন বাড়ানো যায়, সে লক্ষ্যেই এ অর্থ বরাদ্দ প্রয়োজন বলে মনে করে বেসিস। বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি খাতের সক্ষমতা বাড়ায় বাংলাদেশ অনুন্নত দেশগুলোর আইটি অবকাঠামো উন্নয়নে টেকনিক্যাল অ্যাসিসট্যান্স প্রদান করবে এ শর্তে যে, অনুদান পাওয়া দেশগুলো বাংলাদেশের আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়ন করবে। পাশাপাশি, সফটওয়্যার ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে পৃথকভাবে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প উন্নয়ন তহবিল বাবদ ২০০ কোটি টাকার থোক বরাদ্দ রাখার প্রস্তাব করা হয়।

এর বাইরে কর অব্যাহতি সার্টিফিকেট প্রদান আরও সহজ করার প্রসঙ্গেও আলোচনা হয়েছে এই সভায়। সরকার ২০২৪ সাল পর্যন্ত কর অব্যাহতি সুবিধা ঘোষণা দেওয়ায় আয়কর অব্যাহতি সনদ ২০২৪ সাল পর্যন্ত একবারে প্রদান করারও প্রস্তাব করা হয় বেসিসের পক্ষ থেকে। এর পাশাপাশি জটিলতা নিরসনে বেসিস যাতে আয়কর অব্যাহতি সনদ প্রদান করতে পারে সে বিষয়টি তুলে ধরা হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তির অভাব থাকায় কোনো প্রতিষ্ঠান যদি তাদের আইটি প্রফেশনালকে বৃত্তি প্রদান করে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য পাঠায়, তাহলে তাদের বৃত্তি বা প্রশিক্ষণ ফি বাবদ ব্যয়িত অর্থের ওপর আয়কর রিবেট দেওয়ারও প্রস্তাব করা হয়।

অর্থমন্ত্রী বেসিসের এসব প্রস্তাব গুরুত্বের সঙ্গেই নিয়েছেন বলে জানা গেছে। এছাড়া এখন থেকে শুধু আইটি খাতের জন্য পিপিআর টেমপ্লেটে দেশীয় আইটি প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রাধিকার নিশ্চিত করার বিষয়েও সিপিটিইউর মহাপরিচালককে অবহিত করেন অর্থমন্ত্রী।

এ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)-এর মহাপরিচালক মো. আলী নূর, বেসিসের সহ-সভাপতি (প্রশাসন) শোয়েব আহমেদ মাসুদ এবং সহ-সভাপতি (অর্থ) মুশফিকুর রহমান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads