• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
হুয়াওয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল গুগল

ছবি : সংগৃহীত

টেলিযোগাযোগ

হুয়াওয়ের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করল গুগল

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৯

আশঙ্কা ছিল আগে থেকেই। প্রস্তুতিও ছিল হুয়াওয়ের। সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বাণিজ্যিক চুক্তি বাতিল করল গুগল। এর ফলে এখন থেকে আর হুয়াওয়ে তাদের ফোনে গুগলের প্লে স্টোর, ইউটিউব, জিমেইল, ক্রোম বাউজারসহ অন্যান্য সার্ভিস ব্যবহার করতে পারবে না।

এতে বিপদের মুখে পড়বে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন ব্যবসা। কারণ তারা মার্কিন প্রতিষ্ঠান গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের নির্ভরশীল।

এ ছাড়া গুগলের সিকিউরিটি আপডেট থেকেও বঞ্চিত হবে পুরনো সব হুয়াওয়ের ফোন ব্যবহারকারীরা।

যদিও ওপেন সোর্স হওয়ার কারণে অ্যান্ড্রয়েডের পাবলিক রিলিজগুলো (এওএসপি) ব্যবহার করতে পারবে হুয়াওয়ে। কিন্তু সেটির সেবাও যথেষ্ট নয়। ফলে অনেকেই গুগল প্লের সেই প্রয়োজনীয় সেবাগুলো ছাড়া স্মার্টফোন কিনতেও চাইবে না।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জারি করা এক নির্বাহী আদেশের ভিত্তিতে মার্কিন বাণিজ্য বিভাগ হুয়াওয়েকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে। এর আওতায় মার্কিন কোনো প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের কাছে কোনো হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যার পণ্য বিক্রয় করতে পারবে না। যদি এই অবস্থায় হুয়াওয়ের সঙ্গে কেউ ব্যবসা করতে চায় তবে তাকে আলাদাভাবে মার্কিন সরকারের কাছ থেকে লাইসেন্স নিতে হবে।

গুগলের মতো একই রাস্তায় হাঁটছে চিপ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ইন্টেল এবং কোয়ালকমও। সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ জানিয়েছে, হুয়াওয়ের সঙ্গে সব লেনদেন স্থগিত রাখার ব্যাপারটি প্রসেসর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মীদের নোটিশ দিয়ে জানানো হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত এই নিয়মের পরিবর্তন হবে না।

ল্যাপটপ তৈরির জন্য হুয়াওয়েকে সার্ভার চিপ ও প্রসেসর সরবরাহ করে ইন্টেল। যদিও নিজস্ব মোবাইল প্রসেসর ও মডেম তৈরির কারণে কোয়ালকমের ওপর খুব বেশি নির্ভরশীল নয় হুয়াওয়ে।

হঠাৎ করেই যে এরকম নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে সে সম্পর্কে আগেই আভাস পেয়েছিল হুয়াওয়ে। তাই বছর খানেক আগে থেকেই নিজস্ব চিপ ডিজাইন করার পাশাপাশি তারা যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রচুর পরিমাণে চিপ ও প্রয়োজনীয় উপাদান মজুত করা শুরু করে। যে পরিমাণ চিপ ও অন্যান্য উপাদান তারা মজুত করেছে তা দিয়ে আগামী তিন মাস তাদের কাজ চলে যাবে। এ সময়ের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাটি স্থায়ী নাকি অস্থায়ী।

এদিকে হুয়াওয়ের ল্যাপটপের জন্য উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম সরবরাহ করা অব্যাহত রাখবে কিনা তা জানায়নি মাইক্রোসফট। তবে ধারণা করা হচ্ছে, মাইক্রোসফটও যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নির্দেশনা এড়িয়ে চলতে পারবে না।

পশ্চিমা দেশগুলোতে অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে হুয়াওয়ের স্মার্টফোন। পরপর কিছু ফ্ল্যাগশিপ ফোন এনে অ্যাপলের সঙ্গে টক্কর দিতে শুরু করে চীনা প্রতিষ্ঠানটি। গুগলের এমন সরে আসার খরব নিশ্চয় ভালোভাবে নেবে না পশ্চিমারা। ফলে ব্যবসায় বড় ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা। হুয়াওয়ের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি সামলে ওঠার কথা বলা হয়েছে।

এখানে উল্লেখ্য, চলমান এই বাণিজ্য যুদ্ধে এর আগে হুয়াওয়ে ফাইভজি নেটওয়ার্ক বিকাশে ব্যবহূত যন্ত্রাংশ মার্কিন বাজারে সরবরাহ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads