• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সাম্প্রাসের পাশে জোকোভিচ

অপ্রতিরোধ্য নোভাক জোকোভিচ

ছবি : ইন্টারনেট

টেনিস

সাম্প্রাসের পাশে জোকোভিচ

  • স্পোর্টস ডেস্ক
  • প্রকাশিত ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

বিতর্কের জন্ম দিয়ে ফাইনালে টেনিসপ্রেমীদের হতাশ করেছেন সেরেনা উইলিয়ামস। নিজে কেঁদেছেন। ভক্তদের ভাসিয়েছেন কষ্টের সাগরে। দর্শকদের হূদয় ভেঙেছেন ‘বিগ ফোর’-এর তিন সদস্য রজার ফেদেরার, রাফায়েল নাদাল ও অ্যান্ডি মারে। তবে ভক্তদের মনের বাসনা ঠিকই পূরণ করেছেন নোভাক জোকোভিচ। নিজের স্বপ্ন পূরণে ফাইনালে হারিয়েছেন হোয়ান মার্টিন দেল পোত্রোকে। ২০১৫ সালের পর পুনরুদ্ধার করলেন ইউএস ওপেন ট্রফি। ২০১৬ সালের জুনের পর এই প্রথম ব্যাক-টু-ব্যাক গ্র্যান্ড স্ল্যাম শিরোপা জিতলেন সার্বিয়ান এই সুপারস্টার। নিউইয়র্কে তৃতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে আর্জেন্টাইন প্রতিপক্ষ দেল পোত্রোকে ৬-৩, ৭-৬ (৭-৪) ও ৬-৩ গেমে ধরাশায়ী করেন ৩১ বছরের জোকোভিচ। সুবাদে যুক্তরাষ্ট্রের গ্রেট পিট সাম্প্রাসের পাশে বসে গেছেন এ মেগাস্টার। দুজনের ক্যারিয়ারেই গ্র্যান্ড স্ল্যাম ট্রফি এখন ১৪টি করে। সাম্প্রাসকে স্পর্শ করার ছোটবেলার স্বপ্নটা তার পূরণ হয়েছে এবার, ‘স্বপ্ন সত্যি হয়েছে।’ এখন কেবল সুইস মহাতারকা ফেদেরার (২০) ও ক্লে-কোর্টের রাজা স্পেনের নাদাল (১৭) আছেন তাদের দুজনের ওপরে।

ক্যারিয়ারের ক্রান্তিকাল পেরিয়ে হারানো দুরন্ত ফর্মটা খুঁজে পেয়ে জেগে উঠেছেন। প্রচণ্ড গরমেও আগুনে পারফরম্যান্সে জয়রথটাও চালিয়ে গেছেন অদম্য জোকোভিচ। গত জুলাইয়ে জিতেছেন উইম্বলডন চ্যাম্পিয়নশিপ। এবার শিরোপা নিজের করে নিলেন ফ্ল্যাশিং মিডোতে। মুকুটে পর পর দুটি পালক যুক্ত হওয়ায় র্যাঙ্কিংয়ের তৃতীয় স্থানে উঠে গেলেন র্যাকেটধারী টেনিস রাজা জোকোভিচ। একই বছর অল ইংল্যান্ড ক্লাব-ফ্ল্যাশিং মিডোতে ডাবল শিরোপা জিতেছেন আটজন পুরুষ খেলোয়াড়। জোকোভিচ তাদেরই একজন। তবে কৃতিত্বটা তিনি গড়লেন তৃতীয়বারের মতো। প্রাইজমানি আয়ের দিক থেকে ফেদেরারকে (৯০.১ মিলিয়ন পাউন্ড) টপকে গেলেন জোকোভিচ (৯২ মিলিয়ন পাউন্ড)। নিজের এই কৃতিত্বে যারপরনাই আনন্দিত জোকোভিচ, ‘সম্ভবত ১০ বছর আগে টেনিসের এই যুগে নাদাল ও ফেদেরারের সঙ্গে খুশি ছিলাম না। আজ যথার্থই খুশি আমি। সত্যিই আমি সুখী।’

২০০৯ সালে ইউএস ওপেন জয়ের পর এই প্রথম কোনো মেজর টুর্নামেন্টের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে খেললেন তৃতীয় বাছাই দেল পোত্রো। কিন্তু আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামে জাপানের নাওমি ওসাকার মতো রূপকথার কাহিনী লিখতে পারলেন না ২৯ বছরের এ তারকা। হার মানেন সাবেক নাম্বার ওয়ান জোকোভিচের অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার কাছে। তবে দ্বিতীয় সেটে টাই করে সার্ব তারকার ভক্তদের ভয় পাইয়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু টাইব্রেকারে শেষ রক্ষা হয়নি। জিতে যান ষষ্ঠ বাছাই জোকোভিচই। অথচ কব্জির চোটের কারণে ২০১৫ সালে টেনিস খেলা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিলেন ল্যাটিন আমেরিকার এ খেলোয়াড়। ক্যারিয়ারের সেই খারাপ সময় কাটিয়ে উঠে এখন মেজর ট্রফি জয়ের স্বপ্ন বোনার সাহস কুড়িয়ে নিয়েছেন।

শিরোপা নিশ্চিত হওয়ার পর অদ্ভুত উদযাপনে মেতে ওঠেন অপ্রতিরোধ্য জোকোভিচ। র্যাকেটটি হাত থেকে ছেড়ে দিয়ে হাত-পা ছড়িয়ে কোর্টে চিৎ হয়ে শুয়ে পড়েন তিনি। নেটের ধারে কাছের বন্ধুকে আলিঙ্গন করেই জোকোভিচ লাফিয়ে উঠে যান নিজের বক্সে। উদযাপনের আনন্দটা ভাগাভাগি করেন স্ত্রী জেলেনা ও নিজের দলের সঙ্গেও। কিন্তু বিপরীতে চেয়ারে বসে নিজের কান্নাটা চেষ্টা করেও থামাতেই পারেননি দেল পোত্রো। ম্যাচ শেষে সুখ-দুঃখ দুই ধরনের অভিজ্ঞতার কথাই জানান তিনি, ‘এখন কথা বলা মোটেই সহজ নয়। আমি দুঃখিত, কারণ আমি হেরে গেছি। তবে নোভাকের জন্য আমি খুশি।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads