• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
সম্ভাবনাময় ক্রুজ ট্যুরিজম

ছবি : সংগৃহীত

পর্যটন শিল্প

সম্ভাবনাময় ক্রুজ ট্যুরিজম

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও জনপ্রিয়তা বাড়ছে ক্রুজ ট্যুরিজমের। ফলে এই ট্যুরিজমকে ঘিরে বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে নতুন সম্ভাবনা দেখছেন দেশের ট্যুর অপারেটররা। বিলাসবহুল হওয়ায়, অল্প আয়োজনেই অর্থনীতিতে তুলনামূলক বেশি অবদান রাখার সুযোগ আছে অভিজাত নৌ পর্যটনের। এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে জাহাজেই অন অ্যারাইভাল ভিসা প্রদান এবং ইমিগ্রেশনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে ওয়ান স্টপ সার্ভিসের দাবি পর্যটন উদ্যোক্তাদের।

নগরের ব্যস্ততা ছেড়ে কিছুদিনের জন্য সমুদ্র ভ্রমণ। এখানে নির্ভেজাল প্রকৃতির সঙ্গে অখণ্ড অবসরের সঙ্গী হয় বিলাসিতা, আভিজাত্যও। ২০০৯ সালে বিশ্বে সমুদ্রগামী পর্যটক ছিল ১ কোটি ৭৮ লাখ। ১০ বছরে তা বেড়ে হয়েছে ২ কোটি ৭২ লাখ। বিশ্ব অর্থনীতিতে পর্যটনের এই খাতটির অবদান ১২ হাজার ৬০০ কোটি ডলারের। যার বেশিরভাগই এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকের কাছ থেকে।

বিশ্বব্যাপী তুমুল জনপ্রিয় ক্রুজ পর্যটনে সমৃদ্ধ হতে পারে বাংলাদেশও। ২০১৭ সালে প্রথমবার জাহাজে করে মহেশখালী ও সুন্দরবন ভ্রমণ করেন ১৭ দেশের ১৬২ জন পর্যটক। ২০১৮-তে আসেন ৬১ জন। আর গত ১২ ফেব্রুয়ারি এসেছেন আরো ৭২ জন। তাদের সুন্দরবন ঘুরিয়ে দেখাবে দেশীয় প্রতিষ্ঠান পাগমার্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেল।

পাগমার্ক ট্যুরস অ্যান্ড ট্রাভেলস সিইও মো. নজরুল ইসলাম বাচ্চু বলেন, আমরা এর যে ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছি তাতে আমাদের ধারণা যে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে প্রতিবছর পাঁচ থেকে দশটা ভয়েজ আসবে। তবে সাগরপথে বিশ্ব পর্যটনে বাংলাদেশ যুক্ত হয়েছে জার্নি প্লাস নামের ট্যুর অপারেটরের হাত ধরে। প্রতিষ্ঠানটির সিইও বলছেন, পর্যটনের অন্যান্য মাধ্যমের চেয়ে ক্রুজ ট্যুরিজমে প্রান্তিক অর্থনীতির সমৃদ্ধ হওয়ার সুযোগ অনেক বেশি।

জার্নি প্লাস সিইও তৌফিক রহমান জানান, অন্য যে ট্যুরিজমগুলো আমরা করি সেই ট্যুরিজমের একটা গ্রুপ আমরা আনলে হয়তো দুই থেকে তিন লাখ টাকার কাজ হয় কিন্তু একেকটা ক্রুজ এলে সেখানে ৭০ থেকে ৮০ লাখ বা ১ কোটি টাকার কাজ হয়। এই ক্রুজের ক্ষেত্রে দেখা গেছে আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়, নৌ ও পরিবহন মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন যে গোয়েন্দা সংস্থা রয়েছে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়েছে। একজন উদ্যোক্তা হিসেবে আমার যেটা প্রয়োজন সেটা হচ্ছে একটা ওয়ান স্টপ সল্যুশন দরকার।

বাংলাদেশে ক্রুজ ট্যুরিজমের জনপ্রিয়তা বাড়লে ওয়ান স্টপ সার্ভিস প্রতিষ্ঠার কথা ভাবছে পর্যটন বোর্ড। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড সিইও ড. ভুবন চন্দ্র বিশ্বাস জানান, ট্যুরিজমের ক্ষেত্রে সব সময়তো ওয়ান স্টপ সার্ভিস দেওয়া যায় না। ধরা যাক, আমরা একটা ওয়ান স্টপ সার্ভিস করলাম, যেটা বছরে তিনবার ব্যবহূত হলো। কিন্তু সেটা আমাদের জন্য বাস্তবসম্মত হবে না। তবে যখন এর প্রয়োজনীয়তা বাড়বে তখন অবশ্যই এটা করা হবে।

আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি আরো ৭৮ পর্যটক নিয়ে বাংলাদেশে তৃতীয় জাহাজ আসার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads