• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাণিজ্য

এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে বেঙ্গল চেম্বারের বৈঠক

ভাষা ও সংস্কৃতির মিলকে কাজে লাগিয়ে বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর গুরুত্বারোপ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৬ এপ্রিল ২০১৮

বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে ভাষা ও সংস্কৃতির যে মিল রয়েছে সেটিকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা ও বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর বিষয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বারস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এফবিসিসিআই) এবং বাংলাদেশে সফররত ভারতের বেঙ্গল চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় এ গুরুত্বারোপ করা হয়। গতকাল ফেডারেশন ভবনে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে দুই চেম্বারের প্রতিনিধিরা বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতির মিল ছাড়াও প্রতিবেশী দুই দেশের সঙ্গে হেঁটে, বাসে, ট্রেনে কিংবা উড়োপথে যাওয়া যায়। দুই দেশের মধ্যে ভাষা ও যোগাযোগের এ সম্পর্কের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে আরো বাড়ানো সম্ভব। বর্তমানে দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে সচেষ্ট হতে হবে।

বেঙ্গল চেম্বারের সভাপতি ও প্রতিনিধিদলের নেতা চন্দ্র শেখর ঘোষ বলেন, ভাষাগত মিল থাকার কারণে যেকোনো সমস্যা আমরা সহজেই আলোচনা করে সমাধান করতে পারি। অন্য কোনো দেশের সঙ্গে এ সুবিধা পাওয়া যায় না। বর্তমানে দুই দেশের সরকারের মধ্যে সম্পর্কের যে জোড়া লেগেছে সেটা ব্যবসায়ীরা কেন কাজে লাগাতে পারবে না? ডিজিটালাইজেশনের বিষয়ে বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের ভিশন রয়েছে উল্লেখ করে বলেন, সময় নষ্ট না করে আমরা সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারি। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্যপ্রযুক্তি, ব্যাংকিং বিনিয়োগে আগ্রহের কথা জানান তিনি।

এ সময় তিনি আরো বলেন, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন দেশের বিজনেস গ্রুপ যায়। কিন্তু সেগুলোর ফলোআপ বা মনিটরিং খুব একটা হয় না। এ ক্ষেত্রে তিনি দুই দেশের চেম্বারের মধ্যে সেল গঠনের আহ্বান জানিয়ে বলেন, এতে দুই দেশের সঙ্গে ব্যবসা ও বাণিজ্যিক বিষয়ে যেসব প্রতিবন্ধকতা বা সমস্যা হয় সেগুলো মনিটরিং করে সমাধান করা সম্ভব হবে।

বেঙ্গল চেম্বারের সভাপতি চন্দ্র শেখর ঘোষ তার পুরো বক্তব্যই বাংলায় দেন। এ সময় তিনি বলেন, বিদেশে গিয়ে এ ধরনের সুযোগ আমারা কখনোই পাই না। বাংলাদেশে এসে বাংলায় কথা বলার এক সুযোগ পেলাম, এটা গ্রহণ না করে থাকতে পারি না। এখানে এসে বাংলায় কথা বলতে পারছি, এটি সত্যি খুবই আনন্দের বিষয়।

এফবিসিসিআই সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে এক নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে। সম্প্রতি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে অভিযাত্রার যোগ্যতা অর্জন করেছে, তাই বৃহৎ বাজারের প্রতিবেশী দেশ ভারত বাংলাদেশের অন্যতম বাণিজ্য অংশীদার হতে পারে। দেশ দুটির বিদ্যমান বাণিজ্য বাড়ানোর লক্ষ্যে সম্ভাবনাগুলো খুঁজে দেখা দরকার বলে এফবিসিসিআই সভাপতি উল্লেখ করেন।

চেম্বার সভাপতির বক্তব্যের পর এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র সহসভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম অনুষ্ঠানে মুক্ত আলোচনা পর্ব পরিচালনা করেন। মুক্ত আলোচনায় অংশ নিয়ে বাংলাদেশ জুট গুডস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এনামুল হক পাটোয়ারী পাটের ওপর ভারতের অ্যান্টি ডাম্পিং নীতির কারণে সমস্যা হচ্ছে উল্লেখ করে এ বিষয়টি সমাধানের জন্য বেঙ্গল চেম্বারের সহায়তা কামনা করেন। আইটি খাতের সুব্রত চৌধুরী বলেন, ভারতের ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশে যে পরিমাণ সহায়তা পেয়ে থাকেন, আমরা সেখানে গেলে সেটা পাই না। এ ছাড়া তিনি যশোরে শেখ হাসিনা আইটি পার্কে অবকাঠামোগত সুুবিধা গ্রহণ করে বিনিয়োগে ভারতীয়দের প্রতি আহ্বান জানান।

উল্লেখ্য, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশ ৬৭২.৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য ভারতে রফতানি করে এবং ভারত থেকে ৬১৬২.২০ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। ভারতে বাংলাদেশের রফতানিযোগ্য পণ্যগুলো হচ্ছে পাট ও পাটজাত পণ্য, ওভেন গার্মেন্টস, কৃষিজাত পণ্য, প্রকৌশল সমগ্রী এবং নিটওয়্যার। আর ভারত থেকে মূলত টেক্সটাইল ও টেক্সটাইল সামগ্রী, সবজি, মেশিনারি ও ইলেকট্রিক সামগ্রী এবং রাসায়নিক সামগ্রী আমদানি করা হয়।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads