• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
পরিচিত হাঁকডাকে সরগরম চকবাজার

চকবাজারের ঐতিহ্যবাহী ইফতার

সংরক্ষিত ছবি

বাণিজ্য

পরিচিত হাঁকডাকে সরগরম চকবাজার

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ মে ২০১৮

রোজার প্রথম দিন গতকাল শুক্রবার পুরান ঢাকার চকবাজার ছিল ক্রেতা-বিক্রেতায় সরগরম। দুপুরের পর থেকে জমে উঠতে শুরু করে ঐতিহ্যবাহী এ ইফতার বাজার। ভোজন রসিক রোজাদারদের উপস্থিতিও ছিল বেশ। পছন্দসই সামগ্রী কিনতে মহানগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে রোজাদাররা হাজির হন চকবাজারে। দিন দিন পুরান ঢাকার এ বাজারের ইফতার সামগ্রীর প্রতি আকর্ষণ বাড়ছে ক্রেতাদের। সকালের বৃষ্টির কারণে কিছুটা বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে তাদের।

দুপুরের পর থেকে হাঁকডাক বিক্রেতার কণ্ঠে ‘বড় বাপের পোলায় খায়, ঠোঙায় ভইরা লইয়া যায়’ ইত্যাদি পরিচিত আওয়াজ। হাজারো দোকানে সাজানো পরিচিত, অপরিচিতসহ নানা ঐতিহ্যবাহী খাবারের পসরা। আছে শাহী কাবাব, সুতি কাবাব, সাসলিক, ভেজিটেবল রোল, চিকেন রোল, খাসির রানের রোস্ট, জালি কাবাব, টিকা কাবাব, ডিম চপ, কবুতর-কোয়েলের রোস্ট, খাসির রান, আস্তো মুরগি ফ্রাই, মুরগি ভাজা, ডিম ভাজা, পরোটা, দইবড়া, হালিম, লাচ্ছি, পনির, পেস্তা বাদামের শরবত, লাবাং ও মাঠা। এ ছাড়া কিমা পরোটা, শাহী পরোটা, ছোলা, মুড়ি, ঘুগনি, সমুচা, বেগুনি, আলুর চপ, পিঁয়াজু, জিলাপিসহ বিভিন্ন মুখরোচক সব খাবার।

রাজধানীর উত্তরা থেকে প্রথম রমজানেই চকবাজারের ইফতারি কিনতে এসেছেন ব্যবসায়ী আরাফাত আলী। তিনি বলেন, প্রতিবছরই এখানে ইফতারি কিনতে আসি। এসব খাবার বছরের অন্য সময় আর পাওয়া যায় না। যে কারণে রমজানে সুযোগ পেলেই চকবাজার চলে আসি। শুক্রবার রাস্তা-ঘাট ফাঁকা থাকায় প্রথম রমজানেই চলে এলাম।

পারিবারিকভাবে চকবাজারে দীর্ঘদিন ধরে ইফতারের ব্যবসা করছেন গিয়াস উদ্দিন। তিনি বলেন, চকবাজারে যারা ইফতারি বিক্রেতা তারা বংশগতভাবে এই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। ঐতিহ্য ধরে রাখতেই তাদের এই ব্যবসা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads