• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে কেটেছে শঙ্কা

যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য ক্রয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে সম্মত হয়েছে চীন

সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য

বাণিজ্যযুদ্ধ নিয়ে কেটেছে শঙ্কা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২১ মে ২০১৮

বাণিজ্যযুদ্ধের আশঙ্কা কেটে গেছে বলে জানিয়েছে বেইজিংয়ের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের আলোচনায় অংশ নেওয়া সংশ্লিষ্ট সূত্র। অন্যদিকে হোয়াইট হাউজ বলছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে পণ্য ক্রয় উল্লেখযোগ্য হারে বাড়াতে সম্মত হয়েছে চীন। এ নিয়ে একটি যৌথ বিবৃতি প্রকাশ করেছে হোয়াইট হাউজ। এতে চীনের পণ্য কেনার পরিমাণ বাড়ানোর কথা বলা হলেও ডলারের কোনো হিসাব দেওয়া হয়নি। গতকাল ব্লুমবার্গ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের বিশেষ প্রতিনিধি ভাইস প্রিমিয়ার লিউ হি ওয়াশিংটনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থমন্ত্রী স্টিভেন মানিউচিন, বাণিজ্য সচিব উইবার রস, বাণিজ্য প্রতিনিধি রবার্ট লিথিজারসহ অন্যদের সঙ্গে বাণিজ্য সংক্রান্ত বৈঠক শেষ হয়েছে। বৈঠকে বাণিজ্যযুদ্ধে শামিল না হওয়ার সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন দুই দেশের প্রতিনিধিরা। লিউয়ের বরাত দিয়ে চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তা সংস্থা শিনহুয়া জানায়, দুই পক্ষই পাল্টাপাল্টি কর আরোপের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র সফর সফল হয়েছে বলে জানিয়েছেন লিউ। জ্বালানি, কৃষি, স্বাস্থ্যসেবা, উচ্চ প্রযুক্তিপণ্য ও অর্থ খাতে বাণিজ্য সহযোগিতার অঙ্গীকার করেছে চীন ও যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজ বিবৃতিতে বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের কৃষিপণ্য ও জ্বালানি রফতানি বৃদ্ধিতে মত দিয়েছে চীন। এ বিষয়ে বিস্তারিত কাজ করার জন্য চীনে প্রতিনিধিদল পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র। হোয়াইট হাউজের তথ্য অনুযায়ী, বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর বিষয়েও ঐকমত্যে পৌঁছেছে বিশ্বের দুই শীর্ষ অর্থনীতির দেশ। বৈঠকে আলোচনায় ছিল শিল্পজাত পণ্যের বাণিজ্য প্রসারসহ মেধাসম্পদের বিষয়টি। এ নিয়েও ইতিবাচক সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন প্রতিনিধিরা।

তবে হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত চাহিদা সম্পর্কে কোনো তথ্য দেওয়া হয়নি। সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধ এড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে অন্তত ২০ হাজার কোটি ডলারের বাণিজ্য উদ্বৃত্ত কমানোর প্রস্তাব চীন দিয়েছে বলে গত শনিবার জানিয়েছিলেন হোয়াইট হাউজ ন্যাশনাল ইকোনমিক কাউন্সিলের পরিচালক ল্যারি কুডলো।

মার্চে ১৫ হাজার কোটি ডলারের চীনা পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। পাল্টা জবাবে চীনও যুক্তরাষ্ট্রের পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপ করে। পাল্টাপাল্টি কর আরোপে উদ্বেগ সৃষ্টি হয় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নিয়ে। বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কাও ঘনীভূত হয়। এরপর থেকেই সম্ভাব্য বাণিজ্যযুদ্ধের শঙ্কা কাটিয়ে সমঝোতায় আসতে দফায় দফায় বৈঠক করেন দুই দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads