• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান

কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।

ছবি : পিআইডি

বাণিজ্য

কানাডার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক

অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগের আহ্বান

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২৪ মে ২০১৮

কানাডার বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ। ঢাকায় নিযুক্ত কানাডার রাষ্ট্রদূত বেনোয়েট প্রিফনটেইনের সঙ্গে গতকাল সচিবালয়ে মতবিনিময় কালে এ আহ্বান জানান তিনি। মতবিনিময় শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলা হচ্ছে। এর একটিতে কানাডা বিনিয়োগ করতে পারে। বাংলাদেশ সরকারের বিনিয়োগ নীতি খুবই ব্যবসাবান্ধব। যেকোনো বিনিয়োগকারী ব্যবসায় শতভাগ বিনিয়োগ করতে পারবেন। পরে লাভসহ যেকোনো সময় বিনিয়োগকৃত অর্থ ফিরিয়ে নিতে পারবেন। জাতীয় সংসদের পাস হওয়া আইন দ্বারা বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষা করা হয়েছে। বাংলাদেশের বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ বিরাজ করছে।

তোফায়েল আহমেদ বলেন, কানাডার সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য আরো বাড়ানো প্রয়োজন। কানাডায় বাংলাদেশের রফতানি আরো বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। কানাডার বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। এ সুযোগকে কাজে লাগাতে হবে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) বাংলাদেশ এখন ১৯ বিলিয়ন ডলারের বেশি দামের পণ্য রফতানি করছে।

তিনি আরো বলেন, কানাডা বাংলাদেশের বড় রফতানি বাজার এবং ব্যবসায়িক অংশীদার। বাংলাদেশের সব পণ্য কানাডায় রফতানিতে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা দিচ্ছে। গত অর্থবছর কানাডায় ১০৭ কোটি ৯১ লাখ ডলারের পণ্য রফতানি করেছে বাংলাদেশ। একই সময় আমদানি করেছে ৫৯ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের পণ্য। কানাডায় বাংলাদেশের পণ্যের রফতানি ক্রমেই বাড়ছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

এ সময় কানাডার রাষ্ট্রদূত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, বাংলাদেশ কানাডার বন্ধুরাষ্ট্র এবং বড় ব্যবসায়িক অংশীদার। বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন খাতে কানাডা বিপুল সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক কানাডায় বেশ জনপ্রিয়। ফলে কানাডা বাংলাদেশ থেকে এ পণ্য আমদানি করে। আগামীতে আমদানির পরিমান আরো বাড়বে। তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ অনেক উন্নতি করছে, এ উন্নয়ন প্রশংসনীয়। রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ আশ্রয় দিয়ে ভালো কাজ করেছে। এজন্য বাংলাদেশ সরকারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। কানাডার পক্ষে সম্ভব বাংলাদেশকে সব ধরনের সহযোগিতা দিয়ে যাবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ চমৎকার। সুযোগ সুবিধাও আকর্ষণীয়। কানাডার বিনিয়োগকারীরা নিশ্চয় বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য এগিয়ে আসবেন’।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের সংবিধান মোতাবেক যথাসময়েই অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে এ নির্বাচন আয়োজন করবে। বর্তমান নির্বাচন কমিশন যে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সক্ষম। বিগত রংপুর সিটি করপোরেশন, গাইবান্ধার উপনির্বাচন এবং খুলনা সিটি করপোরেশনের নির্বাচন তার প্রমাণ। সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা বিএনপির অভ্যাস। বিএনপির উচিত হবে নির্বাচনমুখী হওয়া। আগামী জাতীয় নির্বাচন হবে অবাধ, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads