• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
খুলনায় ঈদের কেনাকাটা তিলধারণের ঠাঁই নেই বিপণিবিতানগুলোয়

ঈদের বেচা-কেনা জমে উঠেছে খুলনার মার্কেটগুলেতে। শুক্রবার জলিল সরণির খান টাওয়ার থেকে তোলা

ছবি : বাংলাদেশের খবর

বাণিজ্য

খুলনায় ঈদের কেনাকাটা তিলধারণের ঠাঁই নেই বিপণিবিতানগুলোয়

  • খুলনা ব্যুরো
  • প্রকাশিত ১০ জুন ২০১৮

পবিত্র রমজানের শেষ সপ্তাহে ঈদের কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন খুলনা নগরবাসী। তিল ধারণের ঠাঁই নেই বিপণিবিতানগুলোয়। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কেনাকাটার ধুম পড়ে সবখানে। মানুষের চাপে বিপণিবিতানগুলোয় ঢুকতে হিমশিম খেতে হয় ক্রেতাদের। এ ছাড়া ফুটপাথ ও অনেক রাস্তার ওপর হরেক রকম পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসে হকাররা। এর প্রভাব পড়ে নগরীর যান চলাচলের ওপরও। বিভিন্ন সড়কে যানজটে হাঁপিয়ে ওঠে পথচারীরা।

ঈদ মানেই আনন্দ। এ আনন্দের অনেকখানি জুড়ে থাকে নতুন পোশাক। ঈদকে কেন্দ্র করে পোশাকের ক্রেতা হিসেবে ব্যবসায়ীদের একটা বড় টার্গেট থাকে তরুণীরা। এবার তরুণীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ডাবল ও ট্রিপল লেয়ারিং সালোয়ার কামিজ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী শম্পা জানালেন, এবার ঈদে সালোয়ার হিসেবে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় রয়েছে ‘পেলাজো’ বা চওড়া মুহুরি সালোয়ার। এ ছাড়া হুররম, শিপন, পাগল, ওয়ারা, সফট সিল্ক, সুতির থ্রি-পিস, নকশীকাঁথার ডিজাইনের চাহিদা বেশি। ব্লকের সালোয়ার কামিজগুলোও চলছে বেশ। বরাবরের মতো এবারো ঈদের বাজার দখল করে রেখেছে ভারতীয় সালোয়ার-কামিজ আর লেহেঙ্গা— বললেন এই ছাত্রী।

অন্যদিকে, গরমের কারণে এবার সুতি কাপড়ই বেশি পছন্দ ক্রেতাদের। একটি ফ্যাশন হাউজের মালিক কবির বলেন, ভারতীয় পোশাকের পাশাপাশি দেশে তৈরি সুতি পোশাকের চাহিদাও বেশ। এবারের ঈদে নতুন নতুন ডিজাইনের পোশাক এনেছে আড়ং, সেইলর, ইনফিনিটি, ক্যাটস আই, অঞ্জনস, এক্সট্যাসি, গ্রামীণ ইউনিক্লোসহ বিভিন্ন ব্র্যান্ড ফ্যাশান হাউজ।

শাড়ির ক্ষেত্রে নারীদের পছন্দের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতীয় ‘রাজগুরু’। গৃহবধূ রাজিয়া সুলতানা জানান, ভারতের রাজগুরু শাড়ি কেনার জন্য এসেছি। এ ছাড়া দেশি টাঙ্গাইল, জামদানি, বুটিক প্রিন্ট ও হাতের কাজ করা শাড়ির চাহিদা কম নয়— জানালেন ক্রেতা শামীমা সুলতানা শীলু।

নতুন পোশাক পেয়েই বেজায় খুশি ছয় বছরের মেয়ে মনিরা ও তার ভাই ১২ বছরের সম্রাট। তবে বিক্রেতাদের অভিযোগ এবার শিশুদের পোশাকের দাম অনেক বেশি। সোহেল নামের এক চাকরিজীবী বলেন, শিশুদের পোশাকের দাম বেড়েছে ধারণাতীত। এ প্রসঙ্গে শিশুদের পোশাক বিক্রেতা জব্বারের বক্তব্য, কেনা দাম অনুযায়ী বেচতে হয়।

পথচারী রওনক আলী জানান, নগরীর নিউ মার্কেট, নিক্সন মার্কেট, জলিল টাওয়ার, ডাকবাংলা সুপার মার্কেট, শহীদ সোহরাওয়ার্দী বিপণিবিতান, মশিউর রহমান মার্কেট, হ্যানিম্যান শপিং কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন মার্কেটে এখন উপচে পড়া ভিড়। ঈদ মার্কেটিংয়ের কারণে রাস্তায় দুর্বিষহ যানজটের সৃষ্টি হওয়ায় শহরে চলাফেরা কঠিন হয়ে পড়ে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads