• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বরিশালে দেশি ব্র্যান্ড পাবনায় ভারতীয় পোশাকের কদর

পাবনায় জমে উঠেছে ঈদবাজার। পছন্দের শাড়ি কিনতে নারী ক্রেতাদের ভিড়

ছবি- বাংলাদেশের খবর

বাণিজ্য

ঈদ বাজার

বরিশালে দেশি ব্র্যান্ড পাবনায় ভারতীয় পোশাকের কদর

  • বরিশাল ব্যুরো ও পাবনা প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ১১ জুন ২০১৮

ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে জমে উঠেছে সারা দেশের কাপড়ের মার্কেটগুলো। বরিশাল ও পাবনাও এর ব্যতিক্রম নয়। তবে বরিশালে দেশীয় ব্র্যান্ডের পোশাক বেশি চললেও পাবনায় ভারতীয় পোশাকের প্রতি ঝুঁকছেন ক্রেতারা।

আমাদের বরিশাল ব্যুরো জানায়, নগরীর ঈদের বাজারে চলছে শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। চকবাজার, কাঠপট্টি, গির্জামহল্লা, ফজলুল হক অ্যাভিনিউ, সদর রোড, পুলিশ লাইনস রোডসহ বিভিন্ন এলাকার অভিজাত বিপণিবিতানে ক্রেতারা তাদের পছন্দের থ্রিপিস, শাড়ি, কাপড়, পাঞ্জাবিসহ অন্যান্য পোশাক কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চলছে কেনাকাটা। এবার দেশীয় ব্র্যান্ডের পোশাকের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন তরুণ-তরুণীরা। মিম নামের এক তরুণী জানান, ‘ব্র্যান্ডের শো-রুমগুলোতে রুচিশীল ও নতুন নতুন পোশাক পাওয়া যায়।’

শামসুল ইসলাম নামে চকবাজারের এক দোকানি জানান, তার দোকানে সুতি ও খাদি কাপড়ের পাঞ্জাবি ১ হাজার থেকে ৪ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে ১ থেকে ১২ হাজার টাকার মধ্যে। কাতান, বেনারসি, সিল্ক, তাঁতের শাড়ি দেড় থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত দরে বিক্রি হচ্ছে। চকবাজারের পোশাক ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম জানান, এবারে বরিশালের ঈদ বাজারে মেয়েদের জন্য লাছা, লং ফ্রক, স্কার্ট, ডিভাইডার সেট, ওয়েস্টার্ন ও লেহেঙ্গার চাহিদা রয়েছে। আর ছেলেদের চাহিদা ভারতীয় শার্ট, প্যান্ট ও চাইনিজ টি-শার্ট। তবে কাঠপট্টির ব্যবসায়ী আল মামুন জানান, বৈরী আবহাওয়ার কারণে কেনাকাটায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে।

পোশাকের পাশাপাশি বিভিন্ন জুতার দোকান ও প্রসাধন সামগ্রীর দোকানেও রয়েছে ক্রেতাদের ভিড়। বিভিন্ন নামিদামি ও ক্ষুদ্র টেইলার্স অর্ডার নেওয়া বন্ধ করে দিয়েছে রমজানের প্রথম সপ্তাহেই। শুধু বরিশাল শহর নয়, তার পার্শ্ববর্তী জেলা পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি থেকেও ক্রেতারা ঈদ বাজার করতে বরিশালের মার্কেটগুলোতে আসছেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

এদিকে পাবনা প্রতিনিধি জানান, জেলায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন দর্জি, পাদুকাশিল্প, কসমেটিকসহ অন্যান্য পণ্যের  দোকানিরা। অভিজাত শপিং মল থেকে শুরু করে ফুটপাতের দোকানগুলোতে রয়েছে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। পাবনার বাজারে গত বছর দেশি পোশাকের রাজত্ব থাকলেও এ বছর দখল করেছে ভারতীয় পোশাক। এবার ভারতীয় নায়িকা ও সিরিয়ালের নামে তেমন কোনো পোশাক না থাকলেও ফ্লোর টার্চ, ঝিলিক, টুপার্ট বাহুবলির মতো পোশাক বাজার দখল করেছে। শাড়ির বাজারে অবশ্য দেশি শাড়িই বিক্রি হচ্ছে বেশি।

গৃহিণীদের পছন্দ জামদানি ও সুতির শাড়ি। রেডিমেড পোশাকে সাধারণের আগ্রহ থাকলেও গজ কাপড়ের দোকানও চলছে বেশ। রবিউল মার্কেটের আবৃত্তি’স আলমিরা ২-এর স্বত্বাধিকারী সুজন জানান, এবার কেনাবেচা বেশ ভালো। ঈদ যেহেতু গরমের সময়ে তাই বেশিরভাগ নারী ক্রেতা সুতি পোশাক কিনছেন।

জেলা পুলিশ সুপার জিহাদুল কবির (পিপিএম) জানান, ক্রেতারা যাতে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে মার্কেটে কেনাকাটা করতে পারেন সে জন্য বিভিন্ন মার্কেট ও এর আশপাশের এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাশাপাশি মোবাইল টিম টহল জোরদার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads