• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

বছরের প্রথম তিনমাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বিশ্বজুড়ে কমেছে সোনার চাহিদা

ছবি সংরক্ষিত

বাণিজ্য

ডব্লিউজিসির প্রতিবেদন

বিশ্বজুড়ে সোনার চাহিদা থাকবে নিম্নমুখী

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৯ জুন ২০১৮

বছরের প্রথম তিনমাসে (জানুয়ারি-মার্চ) বিশ্বজুড়ে কমেছে সোনার চাহিদা। এর মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালের অর্থনৈতিক মন্দার পর প্রথমবারের মতো প্রান্তিকগতভাবে দেখা দিল সোনার চাহিদায় ভাটা। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির ইতিবাচক ধারা, সুদের হার বৃদ্ধিতে কমেছে মূল্যবান ধাতুটিতে বিনিয়োগ আগ্রহ। সার্বিক পরিস্থিতি ভূমিকা রাখছে পণ্যটির চাহিদা কমতে।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সোনা শিল্পের বাজার উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের (ডব্লিউজিসি) সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে এসেছে। সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, বছরের প্রথম প্রান্তিকে বিশ্বব্যাপী সোনার চাহিদা ছিল ৯৭৩ দশমিক ৫ টন। এ পরিমাণ গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ শতাংশ কম। দুর্বল চাহিদার প্রভাবে কমেছে আন্তর্জাতিক দর। জানুয়ারি-মার্চ প্রান্তিকে বুলিয়ানে (সোনার বার) বিনিয়োগ ১৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ২৫৪ দশমিক ৯ টনে। ডব্লিউজিসি বলছে, যুক্তরাষ্ট্র, চীন ও জার্মানির বিনিয়োগকারীরা বিরত আছেন সোনা কেনায়। এটিই বিনিয়োগ কমার অন্যতম কারণ।

সংস্থার মার্কেট ইন্টেলিজেন্সের প্রধান অ্যালিস্টেয়ার হিউইট বলেন, ইতিবাচক বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ফেব্রুয়ারিতে অস্থিতিশীল ছিল পুঁজিবাজার। এ দুটো কারণ সোনার জন্য স্থিতিশীল পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করেছে।

প্রথম প্রান্তিকে বার ও কয়েনের চাহিদা কমেছে ১৫ শতাংশ। সোনার গহনার চাহিদাও ছিল কম। চাহিদা এ সময় খানিকটা বেড়েছে চীনা ভোক্তাদের কল্যাণে। ডব্লিউজিসির তথ্য অনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোয় এখনো সোনার চাহিদা রয়েছে। প্রথম প্রান্তিকে তারা তাদের মজুদে ১১৬ দশমিক ৫ টন সোনা যোগ করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪২ শতাংশ বেশি। এ ছাড়া চার বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এ সময় সবচেয়ে বেশি সোনা কিনেছে রাশিয়া, তুরস্ক ও কাজাখস্তানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এ ছাড়া প্রযুক্তি শিল্পে উত্তরোত্তর বাড়ছে সোনার ব্যবহার। জানুয়ারি-মার্চ সময়ে এ শিল্পে সোনার চাহিদা বেড়েছে টানা ছয় প্রান্তিকের মতো। স্মার্টফোন, গেমিং কনসোল ও সিকিউরিটি সিস্টেমে সোনার চাহিদা বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সূত্র : কিটকো নিউজ

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads