• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
এশিয়ায় দ্রুত বাড়ছে ই-কমার্স

বিশ্ববাজারে পণ্য পৌঁছে দিতে ই-কমার্সে ছোট ও মাঝারি পর্যায়ে নিত্যনতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে

ছবি : ইন্টারনেট

বাণিজ্য

এডিবির প্রতিবেদন

এশিয়ায় দ্রুত বাড়ছে ই-কমার্স

দুই বছরে বাংলাদেশের ২১ ধাপ উন্নতি 

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০২ জুলাই ২০১৮

দ্রুত বাড়ছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় ই-কমার্সের মাধ্যমে বাণিজ্য সম্প্রসারণের সম্ভাবনা বাড়ছে। মোট বাণিজ্যের সঙ্গে ই-কমার্সের তুলনায় এশিয়ার দেশগুলোয় ই-কমার্সের গতি বিশ্বের যেকোনো এলাকার চাইতে বেশি। ২০১৫ সালের শেষে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোয় ই-কমার্সের পরিমাণ মোট দেশজ উৎপাদনের সাড়ে ৪ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। বিশ্ববাজারে পণ্য পৌঁছে দিতে ই-কমার্সে ছোট ও মাঝারি পর্যায়ে নিত্যনতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। এর ফলে অর্থনৈতিক দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বল্পোন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোয় বিপুল পরিমাণে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে। এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংকের সর্বশেষ প্রকাশনায় এসব তথ্য উঠে এসেছে।

সম্প্রতি এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ই-কমার্সের বিস্তার শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করে এডিবি। এতে বলা হয়েছে, ই-কমার্স সূচকে এশিয়ার দেশগুলোয় শীর্ষে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ৯৫ দশমিক ৫০ পয়েন্ট নিয়ে দেশটি বিশ্বে পঞ্চম অবস্থানে রয়েছে। বিশ্বে ১৩২তম অবস্থান নিয়ে ই-কমার্সে এশিয়ার তলানিতে রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটির অর্জন মাত্র ১৭ পয়েন্ট।

অবশ্য ই-কমার্সে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের অবস্থানের উন্নতি হচ্ছে বলে পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে ই-কমার্সে বাংলাদেশ ৮৭তম অবস্থানে উঠে এসেছে। ২০১৪ সালে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ১০৮তম। দুই বছরে এ খাতে বাংলাদেশের উন্নতি হয়েছে ২১ ধাপ। সাম্প্রতিক সময়ে ই-কমার্সে এ উন্নতি যেকোনো দেশের মধ্যে সর্বোচ্চ।

অবশ্য ইন্টারনেটের আওতা, ব্যবহারের সক্ষমতাসহ বিভিন্ন দিক বিবেচনায় বাংলাদেশ বিশ্বে ৬২তম অবস্থানে রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট ব্যবহারে এশিয়ার শীর্ষে থাকা সিঙ্গাপুরের বৈশ্বিক অবস্থান দ্বিতীয়। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের সামনে থাকা ভারতের অবস্থান ৪৭তম। এ ছাড়া ৫২তম অবস্থানে থাকা শ্রীলঙ্কাও বাংলাদেশের সামনে রয়েছে।

এ ছাড়া মালদ্বীপ (৬৪ তম), মিয়ানমার (৬৫তম), পাকিস্তান (৬৮তম), নেপাল (৭২তম) ইন্টারনেট ব্যবহারে বাংলাদেশের পেছনে রয়েছে।

অবশ্য অন্যান্য খাতের মতো বাংলাদেশের ই-কমার্সেও বড় ধরনের বৈষম্য রয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ইন্টারনেটে ক্রেতাদের মাত্র ১৭ শতাংশ নারী। ২০১৬ সালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে যুক্ত দেশটির ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের মাত্র ২১ দশমিক ৭০ শতাংশ নারী।

বাংলাদেশে মুদিপণ্যের মাত্র শূন্য দশমিক ০৩ শতাংশ ইন্টারনেটে বিক্রি হয়ে থাকে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। কোরিয়ায় এর হার ১৬ দশমিক ৬০ শতাংশ। বাংলাদেশে ই-কমার্সে সম্ভাব্য ক্রেতাদের ৯০ শতাংশই তিনটি বড় শহরে বাস করেন।

বাংলাদেশে প্রায় ১৫ হাজার ছোট উদ্যোক্তা ফেসবুকের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করে বছরে অন্তত ২ কোটি ডলার আয় করছেন। দেশের মোট ই-কমার্সের অন্তত ৪০ শতাংশ আসছে ছোট উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে। এর বাইরে ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সদস্য রয়েছে আরো ৬৩৫ প্রতিষ্ঠান।

আইনি কাঠামো না থাকায় বাংলাদেশে ই-কমার্সের প্রত্যাশিত বিকাশ ঘটছে না বলেও প্রতিবেদনটিতে জানানো হয়েছে। পুঁজির অভাবসহ বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশে ই-কমার্সে কর্মসংস্থান বাড়ছে। ২০১৭ সালের আগস্ট পর্যন্ত ই-কমার্সে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্তত ৫০ লাখ মানুষ নিয়োজিত ছিল।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads