• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪২৯
দুই যুগ পর উৎপাদনে যাচ্ছে ঢাকা স্টিল

দীর্ঘ দুই যুগ বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদন শুরু হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ঢাকা স্টিল ওয়ার্কস লিমিটেডের

ছবি সংগৃহীত

বাণিজ্য

দুই যুগ পর উৎপাদনে যাচ্ছে ঢাকা স্টিল

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৫ জুলাই ২০১৮

দীর্ঘ দুই যুগ বন্ধ থাকার পর ফের উৎপাদন শুরু হচ্ছে রাষ্ট্রায়ত্ত ঢাকা স্টিল ওয়ার্কস লিমিটেডের। বাংলাদেশ ইস্পাত ও প্রকৌশল করপোরেশনের (বিএসইসি) নিয়ন্ত্রণাধীন এ শিল্পকারখানা ১৯৯৪ সালে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ কারখানা পুনরায় চালুর বিষয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে গাজীপুরের টঙ্গীতে অবস্থিত এ কারখানাটি ফের চালু হতে যাচ্ছে।

আজ বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিকভাবে কারখানার পুনঃউৎপাদন কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। প্রাথমিকভাবে গাজীপুরের টঙ্গীতে ১৭ বিঘা জমির ওপর স্থাপিত কোম্পানির মূল কারখানায় একটি ইউনিটে উৎপাদন শুরু হবে। পরে টঙ্গী ও তেজগাঁওয়ে অবস্থিত কারখানাটির দুটি ইউনিট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। শিল্প মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার কারণে কারখানায় ব্যবহূত যন্ত্রপাতি প্রায়ই অকেজো হয়ে গেছে। ফলে নতুন করে সংস্কার কাজ করতে হয়েছে। চীন থেকে ৩৫ কোটি টাকা ব্যয়ে রি-রোলিং উৎপাদন যন্ত্রাংশ এনে স্থাপন করা হয়েছে। গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানির পুনরায় সংযোগ দিতে হয়েছে কারখানায়। ভূমি উন্নয়ন কর, পৌর কর ও বিভিন্ন বকেয়া বিল বাবদ ৩০ লাখ টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কোম্পানির নিজস্ব অর্থায়ন ও বিএসইসির তহবিল থেকে কারখানা সংস্কারসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বাধীনতার আগে ঢাকা স্টিল ওয়ার্কস ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ছিল। ১৯৭২ সালের ২৭ নম্বর আদেশে এটিকে জাতীয়করণ করা হয় এবং এটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় বিএসইসিকে। প্রতিষ্ঠানটির মূল মালিকদের মামলার প্রেক্ষিতে ১৯৯৩ সালে সুপ্রিম কোর্ট কারখানাটি বন্ধের নির্দেশ দেন। এরই প্রেক্ষিতে ১৯৯৪ সালে তৎকালীন সরকার কারখানাটি পে-অফ ঘোষণা করে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দ্বিতীয় মেয়াদে রাষ্ট্রক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর রাষ্ট্রায়ত্ত বন্ধ কারখানা চালুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। এরই প্রেক্ষিতে কারখানাটি চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয়। অবশ্য মূল মালিকদের কারখানাটি চালুর জন্য উচ্চ আদালত থেকে বার বার নির্দেশনা দেওয়া হলেও তা পালনে ব্যর্থ হয় তারা। পরবর্তী সময়ে বিএসইসির আবেদনের প্রেক্ষিতে আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন সাপেক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠানটি চালুর আদেশ দেয়। আদালতের নির্দেশনার আলোকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনক্রমে ২০১৬ সালের শুরুর দিকে কারখানাটি চালুর উদ্যোগ নেয় বিএসইসি।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads