• মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪২৯
মধ্যপাড়া খনিতে বাড়ছে পাথর উৎপাদন ও বিক্রি 

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির পাথর উৎপাদন বাড়ছে

ছবি সংগৃহীত

বাণিজ্য

মধ্যপাড়া খনিতে বাড়ছে পাথর উৎপাদন ও বিক্রি 

  • সোহেল সানী, পার্বতীপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
  • প্রকাশিত ০৬ জুলাই ২০১৮

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের মধ্যপাড়া কঠিন শিলা খনিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জিটিসির পাথর উৎপাদন বাড়ছে। একই সঙ্গে পাথর বিক্রিও বেড়েছে। মধ্যপাড়ার অধিকাংশ পাথর যাচ্ছে দেশের নির্মাণাধীন বৃহৎ মেগা প্রজেক্ট রংপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে। মধ্যপাড়া পাথর খনির উৎপাদন, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার দায়িত্বে নিয়োজিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-টেস্ট কনসোর্টিয়াম (জিটিসি) খনি থেকে মাসে ১ লাখ ২০ হাজার টন পাথর উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, চলতি জুলাই মাসের প্রথম দিনে পাথর উত্তোলন হয়েছে প্রায় ৪ হাজার ৮০০ টন। আর গত জুনে ৬২ হাজার ৫০ টন পাথর বিক্রি হয়, যা থেকে আয় হয়েছে প্রায় ১৭ কোটি টাকা।

সরেজমিন পাথর খনি এলাকায় দেখা গেছে, খনি গেটের সামনে প্রধান সড়কে কয়েকশ ট্রাক পাথর লোডের অপেক্ষায় রয়েছে। সেখানে কথা হয় পাথরের ডিলার মোমিন সরকার, সিদ্দিক হোসেনসহ কয়েকজনের সঙ্গে। তারা জানান, জিটিসির হাতে পাথরের উত্তোলন বেড়ে যাওয়ায় পাথর বিক্রি বহু গুণ বেড়েছে। পাথর বিক্রি বেড়ে যাওয়ায় খনি এলাকায় সংশ্লিষ্ট পাঁচ শতাধিক পরিবহন শ্রমিক, পাথর ক্রেতা ডিলার ও প্রতিনিধিসহ এলাকায় ব্যবসা বাণিজ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে।

মধ্যপাড়া লোড আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সাদেকুল ইসলাম বলেন, মধ্যপাড়া পাথর খনি অন্ধকারে ডুবে যাচ্ছিল, জিটিসি এসে আলো দেখিয়েছে। আমরা চাই যেকোনো মূল্যে জিটিসির হাতে বর্তমান পাথর উৎপাদন বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত থাকুক। এর আগে খনি থেকে পাথর উৎপাদন কম হওয়ায় মধ্যপাড়ার পাথরের ক্রেতা শূন্য হয়ে পড়েছিল। বন্ধ হতে বসেছিল এই খনি।

খনির ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জার্মানিয়া-টেস্ট কনসোর্টিয়ামের নির্বাহী পরিচালক জাবেদ সিদ্দিকী জানান, পাথর খনি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিয়া শেষে প্রায় ছয় মাস পর ২০১৪ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি খনির দায়িত্বভার নেওয়া হয়। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে পাথর উৎপাদন শুরু হয়। জিটিসি প্রতিদিন সাড়ে ৪ হাজার থেকে ৫ হাজার টন পাথর উত্তোলন করে, যা জিটিসির পাথর উৎপাদনে নতুন মাইলফলক।

তিনি জানান, ৭০ জন বিদেশি বেলারুশিয়ান খনি বিশেষজ্ঞ অর্ধশত দেশি প্রকৌশলী ও প্রায় ৭০০ খনি শ্রমিক দিনে রাতে তিন শিফটে উৎপাদন ও খনি উন্নয়ন কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। আধুনিক মেশিন স্থাপনের ফলে দ্রুতগতিতে স্টোপ নির্মাণ সম্ভব হয় এবং উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়।

পাথর খনির বর্তমান উৎপাদন ও বিক্রির বিষয়ে মধ্যপাড়া গ্রানাইট মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী এসএম নূরুল আওরঙ্গজেব বলেন, বর্তমানে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ দেশের মেগা প্রকল্পগুলোতে মধ্যপাড়ার পাথর ব্যবহার হচ্ছে। দেশে নির্মাণাধীন মেগা প্রকল্পগুলোতে মধ্যপাড়ার পাথরের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। খনিতে পাথর উত্তোলন বেড়ে চলেছে, সঙ্গে বিক্রিও বাড়ছে। খনিটি সরকারের লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads