• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
দ্বৈত কর সুবিধা নিতে বিদেশে অর্থ পাঠানোয় সনদ নিতে হবে

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ভবন

ছবি সংগৃহীত

বাণিজ্য

বাংলাদেশ ব্যাংককে এনবিআরের চিঠি

দ্বৈত কর সুবিধা নিতে বিদেশে অর্থ পাঠানোয় সনদ নিতে হবে

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৭ জুলাই ২০১৮

দ্বৈত কর পরিহারে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে চুক্তির আওতায় হ্রাসকৃত হারে কিংবা ক্ষেত্রবিশেষে করমুক্ত সুবিধায় ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিদেশে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আন্তর্জাতিক কর বিভাগ থেকে সনদ নিতে হবে। এ ধরনের সনদ নেওয়ার জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে এনবিআর।

এনবিআর সদস্য কলিপদ হাওলাদার স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়, এনবিআরের অনুমোদন ছাড়া হ্রাসকৃত হারে বা কর কর্তন ব্যতিরেকে বিদেশে অর্থ প্রেরণের এখতিয়ার ব্যাংকগুলোর নেই। সম্প্রতি পাঠানোর ওই চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, দ্বৈত করারোপ পরিহার চুক্তির খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করে এ বিষয়ে কোনো ধরনের সুবিধা দেওয়া কিংবা না দেওয়া সংক্রান্ত মতামত দেওয়ার আইনানুগ এখতিয়ার কেবল এনবিআরের। এ অবস্থায় বিভিন্ন সংস্থা, ব্যক্তি কিংবা বাংলাদেশে বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক বিদেশে অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে দেশের রাজস্বের স্বার্থেই বিষয়টি কঠোর নজরদারি ও পরিবীক্ষণের আওতায় আনা একান্ত প্রয়োজন।

এমন প্রেক্ষাপট উল্লেখ করে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তির আওতায় কর সুবিধা গ্রহণপূর্বক বিদেশে অর্থ প্রেরণের আগে সব ব্যাংক যাতে এনবিআরের ইন্টারন্যাশনাল ট্যাক্সেস উইংয়ের সনদ গ্রহণ করে তা নিশ্চিত হতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক গভর্নরকে অনুরোধ জানানো হয়েছে চিঠিতে।

এনবিআর সদস্য কালিপদ হালদার চিঠি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, অনেক দেশের সঙ্গেই আমাদের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি রয়েছে। এর আওতায় আমরা উভয় দেশই মুনাফার অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে হ্রাসকৃত হারে কর পরিশোধের সুবিধা পেয়ে থাকি। কিন্তু এর মাধ্যমে কী ধরনের সুবিধা প্রাপ্য তা নিশ্চিত না হয়েই ব্যাংকের মাধ্যমে অর্থ পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেকে এ সুবিধা নিচ্ছে। নতুন এ উদ্যোগের ফলে এতে স্বচ্ছতা আসবে। প্রতিবছর কী পরিমাণ অর্থ এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ থেকে যায় কিংবা বাংলাদেশে আসে, তার কোনো হিসাব এনবিআরের কাছে নেই। এনবিআরের সনদ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা কার্যকর হলে এ বিষয়েও পরিষ্কার তথ্য পাওয়া যাবে।

এনবিআর সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে ৩৩টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি রয়েছে। চুক্তির আওতায় উভয় দেশই নিজ দেশে অর্থ প্রেরণের ক্ষেত্রে করমুক্ত কিংবা হ্রাসকৃত হারে কর প্রদানের সুবিধা পায়। তবে এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রতিবছর বিশাল পরিমাণ অর্থ বাংলাদেশ থেকে পাচার হচ্ছে বলে বিভিন্ন সূত্র প্রকাশ করে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন রকম কথা শোনা যায়। এমনো হতে পারে, কেউ মুনাফা না করেও একটা কাগজ দেখিয়ে এ চুক্তির আওতায় কর সুবিধার মাধ্যমে অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে অনেক কিছুই আড়ালে থেকে যাচ্ছে। অন্যদিকে সরকারও সঠিক কর থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads