• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
বাধা দূর হলে বাংলাদেশের বড় বাজার হবে ভারত: বিজিএমইএ সভাপতি

বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান

ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য

বাধা দূর হলে বাংলাদেশের বড় বাজার হবে ভারত: বিজিএমইএ সভাপতি

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ জুলাই ২০১৮

প্রতিবেশী ভারত বাংলাদেশি তৈরি পোশাকের বড় বাজারে পরিণত হতে পারে বলে মনে করেন এ খাতের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএর প্রেসিডেন্ট মো. সিদ্দিকুর রহমান।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের বস্ত্র খাতের বেশিরভাগ সুতা, রঙ, রাসায়নিক ও অন্যান্য উপাদান ভারত থেকে আমদানি করা হয়। অন্যদিকে ভারতের মধ্যবিত্ত শ্রেণি বিকাশ লাভ করছে। তাদের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ছে। বিশ্বের নামিদামি কোম্পানিগুলো দেশটিতে ব্যবসা সম্প্রসারণ করছে। এ অবস্থায় গুণগত মানের পণ্য উৎপাদন করলে বাংলাদেশের বড় বাজার হতে পারে ভারত।

গতকাল শনিবার সফররত ভারতের বাণিজ্য প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন। তবে ভারতের বাজার ধরতে বাণিজ্য বাধা দূর করার তাগিদ দিয়েছেন তিনি।

রাজধানীর বিজিএমইএ কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে আয়োজক সংগঠনের নেতৃত্ব দেন সিদ্দিকুর রহমান। ২৫ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির কটন টেক্সটাইল এক্সপোর্ট প্রমোশন কাউন্সিলের (টেক্সপ্রোসিল) চেয়ারম্যান উজওয়াল লাহোতি। বৈঠকে বাংলাদেশে ভারতীয় হাইকমিশনের হেড অব চ্যাঞ্চরি শিতেন নর্ডন কার্গিয়ালসহ বিজিএমইএ পর্ষদ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। প্রতিনিধি দলে ভারতের তুলা, সুতা, ফেব্রিকস ও ডেনিম খাতের বেশকটি নতুন ও উদীয়মান প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারা অংশ নেন।

বৈঠকে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সীমান্ত, বেশকটি স্থলবন্দর ও ভূরাজনৈতিক সুবিধা থাকা সত্ত্বেও দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছেনি। বাণিজ্য বাড়লেও দুই দেশের বাণিজ্য ঘাটতি ৫৪৭ কোটি মার্কিন ডলার। তবে দক্ষিণ এশীয় মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (সাফটা) আওতায় বাংলাদেশের তৈরি পোশাক পণ্যের শুল্ক মুক্ত সুবিধার কারণে ভারতে বাণিজ্য কিছুটা বাড়ছে। গত বছর ভারতে ২৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারের তৈরি পোশাক রফতানি হয়েছে। ৫ বছর আগে দেশটিতে ৯ কোটি ৬০ লাখ ডলারের পোশাক রফতানি হয়েছে।

তবে অশুল্ক বাধাকে দুই দেশের বাণিজ্যে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখছেন বিজিএমইএ সভাপতি। তিনি বলেন, রফতানির ক্ষেত্রে কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে। স্থলবন্দরের বিশেষ করে পেট্রাপোলের সক্ষমতার অভাব রয়েছে। দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের ৮০ শতাংশই সম্পন্ন হয় বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে। তাছাড়া এদেশ থেকে পণ্য নিয়েও অনেক সময় টাকা পরিশোধ না করা, অশুল্ক বাধাসহ বেশকিছু বিষয়ে কাজ করতে হবে।

ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতা উজওয়াল লাহোতি বলেন, বাংলাদেশ ভারতের গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য অংশীদার। বিশেষ করে এদেশের পোশাক রফতানির পরিমাণ ভারতের চেয়েও বেশি। কিন্তু বাংলাদেশ সুতা উৎপাদন করে না, যাতে ভারত বেশ এগিয়ে রয়েছে। তাই এক্ষেত্রে দুই দেশের কাজ করার বেশ সুযোগ রয়েছে। তাছাড়া বাংলাদেশের পোশাক খাতে প্রচুর বিনিয়োগ করতে হবে। বিশেষ করে দেশের পোশাকের চাহিদা পূরণ ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদা বাড়ানোর জন্য। তবে সম্প্রতি বিভিন্ন রফতানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চলে এ খাতে বেশকিছু বড় বিনিয়োগ এসেছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads