টানা পরিবহন সঙ্কটে সিলেটে নিত্যপণ্যের বাজারে মাছ, মাংস, সবজি ও চালের দাম আরেক দফা বেড়েছে। প্রায় সবজির দাম কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। এছাড়া চালের দাম কেজিতে দুই থেকে তিন টাকা বেড়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, টানা বৃষ্টি ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের প্রভাবে সিলেটের বাজারে সবজির দাম বেড়েছে। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজ, আলু, ভেন্ডি, লাউ, শসাসহ প্রায় সব ধরনের সবজি। সিলেট নগরীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এ তথ্যের সত্যতা মিলেছে। গত সপ্তাহে বাজারে বেশিরভাগ সবজির কেজি ৩০ টাকার মধ্যে বিক্রি হলেও এখন ৪০ টাকার নিচে কোনোটিই পাওয়া যাচ্ছে না।
বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের মতো এখনো সব থেকে বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে পাকা টমেটো ও বরবটি। প্রায় সব বাজারেই পাকা টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে। তবে ৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হওয়া বরবটির দাম বেড়ে এখন ৫০-৬০ টাকা হয়েছে।
এদিকে নতুন করে পেঁয়াজের দাম না বাড়লেও গতকাল রোববার প্রতি ডজন ফার্মের ডিম ৩ টাকা বেড়ে বিক্রি হয় ১০৮ টাকায়। ডিম ব্যবসায়ীরা বলেন, দুই সপ্তাহ ধরে ডিমের ডজন ১০৫ টাকা বিক্রি করছি। চাহিদার তুলনায় ডিমের সরবরাহ কম থাকায় এখন দাম বেড়ে গেছে। আদার দামও বাড়তি।
গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে প্রতিকেজি আদা বিক্রি হয় ১২০ টাকায়। ৮০-৯০ টাকা কেজির রসুন বিক্রি হয় ৯০-১১০ টাকায়।
অন্যদিকে মাছ ও মাংসের বাজারে অনেকটা স্বস্তি বিরাজ করছে। প্রতিকেজি রুই ও কাতলা ২৩০-৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কেজিপ্রতি বড় আকারের চিংড়ি ১০০০ টাকা, মাঝারি ৭০০-৭২০ টাকা ও ছোট আকারের চিংড়ি ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া কেজিপ্রতি তেলাপিয়া ১৩০-১৪০ টাকা, কই ১৪৫-১৫৫, সিলভার কার্প ১০০-১৩০, পাবদা ৪০০-৪৫০, পাঙ্গাশ ১১০-১৩০, নলা ১২৫-১৩৫ ও সরপুঁটি ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। মাংসের বাজারও স্থিতিশীল। ব্রয়লার মুরগি প্রতিকেজি ১৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাকিস্তানি মুরগি আকারভেদে ১৫০-৩০০ টাকা, লেয়ার ২০০ ও গরুর মাংস ৪৭০-৫০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।
