• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
সহিংসতায় পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত

রাজধানীর হাতিরঝিলে বিজিএমইএ কার্যালয়ে গতকাল সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়

ছবি: সংগৃহীত

বাণিজ্য

বিজিএমইএ’র সংবাদ সম্মেলন

সহিংসতায় পোশাক শিল্পের অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ আগস্ট ২০১৮

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর প্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও পরবর্তী সময়ে সৃষ্ট সহিংসতায় দেশের বাণিজ্য বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে দাবি করেছে পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তাদের সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটির সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীরা ঘরে ফিরলেও পরিবহন ব্যবস্থা এখনো স্বাভাবিক হয়নি। এর ফলে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদেশি ক্রেতাদের কাছে ইমেজ নষ্ট হচ্ছে দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের। ছাত্র আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে উদ্ভূত পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে গতকাল সোমবার তিনি এসব কথা বলেন।

রাজধানীর হাতিরঝিলে বিজিএমইএ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আয়োজক সংগঠনের সহসভাপতি এসএম মান্নান কচি, মোহাম্মদ নাসির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এতে লিখিত বক্তব্যে সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ছাত্ররা ঘরে ফিরে গেলেও যানবাহন পরিস্থিতি এখনো স্বাভাবিক হয়নি। সড়ক ও মহাসড়কে পর্যাপ্ত যানবাহন নেই। এ কারণে জনগণকে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সবচেয়ে বেশি সঙ্কটে পড়েছে রফতানিমুখী তৈরি পোশাক শিল্প।

তিনি আরো বলেন, এক সপ্তাহ ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দিয়ে আমদানি ও রফতানি পণ্য আনা-নেওয়া করা যায়নি। বন্দরে কন্টেইনার ভর্তি রফতানি পণ্য পড়ে আছে। জাহাজীকরণের অপেক্ষায় কারখানায় পড়ে আছে তৈরি পণ্য। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে অনেক পণ্যের রফতানি আদেশ বাতিল হবে। অথবা বেশি টাকা ব্যয় করে বিমানে পাঠাতে হবে তৈরি পোশাক। এর মাশুল দিতে হবে পোশাক শিল্পকে।

সিদ্দিকুর রহমান বলেন, ক্রেতাজোট অ্যাকর্ড ও অ্যালায়েন্সের শর্ত পূরণ করে নিজেদের মতো পথ চলতে শুরু করেছে দেশের পোশাক শিল্প। এ অবস্থায় যেকোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি শিল্পকে পিছিয়ে দেয়। উদ্যোক্তারা হতোদ্যম হয়ে পড়েন। ক্রেতাদেরও আস্থাহানি ঘটে। শিল্পের ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন পরিস্থিতি মোটেই কাম্য নয়।

বাস দুর্ঘটনায় দুই শিক্ষার্থী রাজিব ও মিমের মৃত্যুতে তিনি শোক প্রকাশ করেন। সড়ক ছেড়ে ঘরে ফিরে যাওয়ায় শিক্ষার্থীদের ধন্যবাদও জানান।

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, শিক্ষার্থীরা যে কাজটি করেছে তা বিশাল। সড়কের বিভিন্ন নৈরাজ্য ও বিশৃঙ্খলা তারা তুলে ধরেছে। তাদের এই আন্দোলন সবার টনক নাড়িয়ে দিয়েছে। সবার মধ্যে নৈতিকতাবোধ ও কর্তব্যবোধ জাগিয়ে তুলেছে। আইন প্রয়োগে নৈতিক ভিত্তি দিয়েছে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন।

নিরাপদ সড়কের জন্য অনেক বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, কঠোর আইনের পাশাপাশি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এর যথাযথ প্রয়োগও নিশ্চিত করতে হবে। চালকদেরকে নিয়মিতভাবে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিতে হবে। যাত্রী, চালকসহ সবাইকে সচেতন হতে হবে বলেও মনে করেন সিদ্দিকুর রহমান।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads