• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ ওষুধ কারখানা উদ্বোধন চলতি মাসেই

এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের লোগো

সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য

দক্ষিণ এশিয়ার বৃহৎ ওষুধ কারখানা উদ্বোধন চলতি মাসেই

  • বাসস
  • প্রকাশিত ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৮

সরকারি মালিকাধীন ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) নতুন কারখানার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মস্থান গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ এই কারখানাটির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এই প্রকল্পের চারটি ইউনিটের মধ্যে পেনিসিলিন ইউনিটটি চলতি মাসেই পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে। আগামী ডিসেম্বর থেকে কারখানাটিতে পূর্ণমাত্রায় উৎপাদন শুরু হবে। ইডিসিএলের এই থার্ড প্ল্যান্ট প্রকল্পটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৫ সালে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, চলতি মাসের যেকোনো দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ওষুধ কারখানা উদ্বোধন করবেন। এই প্রকল্পের চারটি ইউনিটের মধ্যে পেনিসিলিন ইউনিটটি সেপ্টেম্বরে পরীক্ষামূলক উৎপাদনে যাবে। অন্য ইউনিটগুলোর পূর্ণ উৎপাদনে যেতে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় লাগবে। এই ইউনিটে পেনিসিলিন জাতীয় ১২ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন করা হবে।

তিনি বলেন, ২০১৫ সালে এটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সরকারি এই ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এই পুরো ব্যয় বহন করা হচ্ছে সরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে।

প্রকল্প সূত্র জানায়, কারখানাটি চালু হলে উৎপাদন করা হবে জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি ও ইনজেকশন, আইভি ফ্লুইড, পেনিসিলিন ও আয়রন ট্যাবলেট। এই কারখানার মাধ্যমে বছরে ৩ হাজার ৩০০ মিলিয়ন জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন, ৩ হাজার ২ মিলিয়ন পিল, ১৮১ মিলিয়ন পেনিসিলিন ট্যাবলেট, ২১৭ মিলিয়ন পেনিসিলিন ক্যাপসুল উৎপাদন হবে।

জানা গেছে, সরকারের চলমান স্বাস্থ্যসেবা খাতকে আরো বেশি গতিশীল ও জোরদার করার লক্ষ্যে এবং সরকারি অর্থ সাশ্রয় করে বিদেশে ওষুধ রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক অর্থ উপার্জনের উদ্দেশ্যে এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) এই থার্ড প্ল্যান্ট প্রকল্পটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মভূমি গোপালগঞ্জ জেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দক্ষিণ পাশে স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। দশ একর জমির ওপর দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ সরকারি এই ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ৭০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। এই পুরো ব্যয় বহন করা হচ্ছে সরকারি অর্থায়নের মাধ্যমে।

ইডিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডা. এহসানুল কবির জগলুল বলেন, বর্তমানে ইডিসিএল সরকারি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানের মোট ওষুধের চাহিদার ৭২ শতাংশ সরবরাহ করে থাকে। এই কারাখানা উৎপাদন প্রক্রিয়া পূর্ণমাত্রায় শুরু হলে শতভাগ ওষুধ সরবরাহ এখান থেকে সম্ভব হবে। এই ইউনিটে পেনিসিলিন জাতীয় ১২ ধরনের অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ উৎপাদন করা হবে। ইডিসিএলের নতুন এই কারখানায় ৭৭৮ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে।

তিনি বলেন, দেশের সব সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কমিউনিটি ক্লিনিকে সরকার বিনামূল্যে প্রায় সব ধরনের ওষুধ জনগণের মধ্যে বিতরণ করে থাকে। আর এই ওষুধের প্রায় ৭২ শতাংশ যে প্রতিষ্ঠানটি তৈরি করে সেটি হচ্ছে বাংলাদেশ সরকারের শতভাগ মালিকানাধীন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন একমাত্র রাষ্ট্রীয় ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ইডিসিএল। ঢাকা ও বগুড়ায় দুটি প্ল্যান্ট এবং খুলনায় একটি ল্যাটেক্স প্ল্যান্ট রয়েছে ইডিসিএলের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads