• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

এফবিসিসিআইয়ের লোগো

সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য

কার্যক্রম বহুমুখীকরণে সদস্য সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করছে এফবিসিসিআই

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দেশের বেসরকারি খাতের শীর্ষ বাণিজ্য সংগঠন হিসেবে এফবিসিসিআই তার সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে আরো বহুমুখী ও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে সংগঠনের সব সদস্য সংস্থাকে সম্পৃক্ত করে কাজ শুরু করেছে। তারই অংশ হিসেবে দেশের উত্তরাঞ্চলের চেম্বার ও ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) সফলভাবে অর্জনের লক্ষ্যে বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে যথাযথ ভূমিকা পালনের উদ্যোগ নিয়েছে এফবিসিসিআই। গতকাল এফবিসিসিআইর পক্ষ থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ডে সদস্য সংগঠনগুলোকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে এবং দেশের শিল্প ও বাণিজ্যে বিনিয়োগ সম্ভাবনাগুলো নিয়ে আলোচনার জন্য এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম সম্প্রতি রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের ১৬টি জেলার ১৭টি জেলা চেম্বার এবং ওইসব জেলার ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনগুলো সফর করেন। এফবিসিসিআইর বেশ কয়েক পরিচালকও এ সফরে সম্পৃক্ত ছিলেন। এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ দেশের আগামী ‘৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায়’ অন্তর্ভুক্তির জন্য ব্যাষ্টিক অর্থনৈতিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তুলে ধরেন। নেতৃবৃন্দ বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে তাদের যথাযথ ভূমিকা পালনে প্রস্তুত বলেও জানান।

উল্লেখ্য যে, এফবিসিসিআই সবসময়েই তার কার্যক্রমে সদস্য সংস্থাগুলোর অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করে আসছে। এর আগে ২০১৫ সালেও এফবিসিসিআই নেতৃবৃন্দ জেলা চেম্বারগুলো সফর করেন। সে সময় আঞ্চলিক নেতৃবৃন্দ কেবল তাদের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও মৌলিক দক্ষতাবৃদ্ধিকে বেশি গুরুত্ব দেন। কিন্তু বেসরকারি খাতের প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই সদস্য সংস্থাগুলো এখন দেশের ব্যাষ্টিক অর্থনীতির বিভিন্ন দিক, আঞ্চলিক যোগাযোগ, ব্যবসা পরিচালনা সহজীকরণ, ব্যবসা পরিচালনা ব্যয়, চাহিদামাফিক মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং জেলা পর্যায়ের ব্যবসা ও বিনিয়োগ উন্নয়নকে অনেক গুরুত্ব দিচ্ছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে এফবিসিসিআইর চেম্বার খাত থেকে ৮২টি এবং অ্যাসোসিয়েশন খাত থেকে মোট ৩৯১টি সদস্য রয়েছে। শেখ ফজলে ফাহিম জেলা চেম্বারগুলোর সংগঠন ‘কাউন্সিল অব চেম্বার প্রেসিডেন্টস’-এরও সভাপতি।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, এফবিসিসিআই চাহিদামাফিক দক্ষ এবং যোগ্যতাসম্পন্ন ‘ব্যবসা-নির্বাহী’ তৈরির লক্ষ্যে ‘এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউট’ প্রতিষ্ঠার কাজ অনেকটা এগিয়ে এনেছে। মূলত বিভিন্ন বিষয়ে কারিগরি দক্ষতাসম্পন্ন জনশক্তি তৈরির উদ্দেশ্যে এফবিসিসিআই ইনস্টিটিউটের প্রধান ক্যাম্পাস এবং সংগঠনের সদস্য সংস্থাগুলোর মাধ্যমে কার্যক্রম চালানো হবে। এ ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্যবিরোধ সমাধানের লক্ষ্যে সম্প্রতি ‘এফবিসিসিআই আরবিট্রেশন সেন্টার’ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেসব বাণিজ্য প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন ধরনের বাণিজ্য বিরোধের সম্মুখীন হচ্ছে, তারা দ্রুততম সময়ের মধ্যেই এই সেন্টারের মাধ্যমে সমাধান পাচ্ছে।

এদিকে, এফবিসিসিআই আইএফসির (আন্তর্জাতিক অর্থ করপোরেশন) সহায়তায় এবং যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ‘জ্যাকবকরডোবা অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটস’-এর সহযোগিতায় পলিসি প্ল্যানিং, পলিসি ডিজাইন এবং রেগুলেটরি ইম্প্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ইত্যাদি নিয়ে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে। উল্লেখিত তিনটি প্রকল্পের কাজ এফবিসিসিআই দেশের বিভিন্ন চেম্বার এবং অ্যাসোসিয়েশনগুলোর মাধ্যমেও পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করবে।

 

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads