• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সংস্কার হচ্ছে পাটকল

প্রতীকী ছবি

বাণিজ্য

কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে সংস্কার হচ্ছে পাটকল

  • বাসস
  • প্রকাশিত ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮

দেশের পাটকলগুলোর দক্ষতা ও উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। কম খরচে পরিবেশবান্ধব পাটপণ্য উৎপাদন ও উৎপাদনক্ষমতা বাড়াতে পাটকলগুলোতে নতুন যন্ত্রপাতি স্থাপন করা হবে।

এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রাও অর্জন হবে। এজন্য প্রাথমিক পর্যায়ে ১৭৩ কোটিরও বেশি টাকা ব্যয় করে তিনটি পাটকল সংস্কার করবে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়।

একই সঙ্গে এসব পাটকলে জনবল নিয়োগ দিয়ে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিরও পরিকল্পনা রয়েছে। এ লক্ষ্যে পর্যায়ক্রমে কারখানাগুলোকে সংস্কার করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের আওতাধীন তিনটি মিল সুষমকরণ, আধুনিকায়ন, পুনর্বাসন এবং বর্ধিতকরণ নামে একটি প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক)। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৭৩ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশন (বিজেএমসি) প্রকল্পটি ২০২০ সালের ৩০ জুনের মধ্যে বাস্তবায়ন করবে।

বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া পাটকল তিনটি হলো নরসিংদীর ইউএমসি জুট মিল লিমিটেড, যশোরের নোয়াপাড়ার যশোর জুট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডের গ্রালফ্রা-হাবিব লিমিটেড। এই পাটকল তিনটি গত শতকের ষাটের দশকে স্থাপন করা।

জানা গেছে, এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে কম খরচে পরিবেশবান্ধব পাটপণ্য উৎপাদনে শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো সক্ষম হবে। প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জন সম্ভব হবে। নতুন কর্মসংস্থানেরও সৃষ্টি হবে।

এ প্রকল্পের আওতায় যন্ত্রপাতি ও অন্যান্য সরঞ্জাম কেনা হবে ৩৮৭টি। ৩ হাজার ৬০০ বর্গফুটের অফিস ভবন নির্মাণ করা হবে। এর বাইরেও অন্যান্য ভবন ও অবকাঠামো নির্মাণসহ পানি নিষ্কাশন অবকাঠামো, যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের জন্য গোডাউন, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবন মেরামত, অন্যান্য ভবন, স্থাপনা ও রাস্তা মেরামত করা হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানান, নতুন ও আধুনিক মেশিন ও সহায়ক যন্ত্রাংশ সংগ্রহ করে এসব মিলকে বর্ধিতকরণ, আধুনিকায়ন ও সুষমকরণের মাধ্যমে উৎপাদনক্ষমতা ও দক্ষতা বাড়ানোই এ প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য।

তিনি বলেন, এ ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের ওপর মিলগুলোর নির্ভরতা ও ব্যয় কমানো, উন্নত মানসম্পন্ন পাটপণ্য উৎপাদন করে দেশ-বিদেশের চাহিদা মেটানোর মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন এবং মিলগুলোর খালি জায়গার ব্যবহার, নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, বর্তমান শ্রমিকদের বেশি বেশি কাজে লাগানো, পরিবেশবান্ধব পাটপণ্য উৎপাদন, বিক্রয় ও রফতানির মাধ্যমে ৭ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা বাস্তবায়ন, ‘ভিশন ২০২১’ এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করতে এ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads