• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
পাইকারিতে নিম্নমুখী পেঁয়াজ রসুনের দাম

পেঁয়াজ রসুন

সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য

পাইকারিতে নিম্নমুখী পেঁয়াজ রসুনের দাম

  • নাজমুল হুসাইন
  • প্রকাশিত ০২ অক্টোবর ২০১৮

আন্তর্জাতিক বাজারে বুকিং রেট কমায় পেঁয়াজ রসুন আমদানিতে ঝুঁকেছে ব্যবসায়ীরা। এতে বাজারে বেড়েছে পণ্য দুটির সরবরাহ, যার কারণে সপ্তাহ ব্যবধানে পাইকারি বাজারে বেশ কমেছে পেঁয়াজ-রসুনের দাম। তবে খুচরা বাজারে দাম এখনো আগের মতোই রয়ে গেছে।

রাজধানীতে এসব পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার শ্যামবাজার। এর বাইরে চট্টগ্রামে রয়েছে দেশের অন্যতম বড় বাজার খাতুনগঞ্জ। উভয় বাজারেই দুই পণ্যের দাম নিম্নমুখী। জানা গেছে, ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানির অন্যতম রুট দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরসহ অন্যান্য বন্দরে পণ্যটির দাম কম। সপ্তাহ ব্যবধানে বন্দরে পণ্যটির দাম কেজিতে কমেছে মানভেদে ৫ থেকে ৮ টাকা পর্যন্ত। এতে পাইকারি বাজারে ভারতের পেঁয়াজের দামও ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

একইভাবে দেশে চীন থেকে আমদানি করা রসুনের দাম কমেছে ১৫ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে পাইকারি বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকা দরে, যা কিছুদিন আগেও ৬০ টাকা ছিল। তবে এসব বাজারে দেশে উৎপাদিত রসুনের দাম আরো কম। দেশি রসুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৪০ টাকার মধ্যে।

গতকাল শ্যামবাজারের পাইকারি আড়তগুলো ঘুরে দেখা যায়, এখানে ভারত থেকে আমদানি করা প্রতি কেজি পেঁয়াজ মানভেদে ১৭ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দুই সপ্তাহ আগেও আমদানি করা এসব পেঁয়াজ কেজিপ্রতি ২২-৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। একই ধরনের দামে খাতুনগঞ্জেও পণ্যটি বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে। তবে দুই বাজারেই দেশি পেঁয়াজ অপরিবর্তিত দামে অর্থাৎ ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এতে বাজারে এখন দুই পদের পেঁয়াজের দামের পার্থক্য দ্বিগুণ।

তবে পাইকারি বাজারে দাম কমলেও খুচরায় এসব পণ্য এখনো আগের দামেই বিক্রি করছে পাড়া-মহল্লার বাজার ও দোকানগুলো। সেখানে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫০ টাকা আর আমদানি পেঁয়াজ ৩০ টাকা।

শ্যামবাজারের আমদানিকারক মা ইন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোহাম্মদ মাজেদ বলেন, এখন ভারত থেকে প্রচুর পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। সে দেশে পেঁয়াজের কোনো সঙ্কট নেই। আমরা ২৩০ ডলারে এখনো সে দেশ থেকে পেঁয়াজ কিনতে পারছি, যা দুই সপ্তাহ আগের থেকে প্রায় ১০ ডলার কম।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কোরবানির ঈদের পরও বেশ কিছু সময় মানুষের ঘরে মাংস থাকে। সে সময় পর্যন্ত পণ্যগুলোর চাহিদা থাকে বেশি। কিন্তু এখন সেই সময় শেষ। এসব পণ্যের চাহিদা স্বাভাবিক হয়ে এসেছে। এমন পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় পণ্য দুটির দাম কমতে শুরু করেছে।

এ ছাড়া শ্যামবাজারে পাইকারি ব্যবসায়ী আদর্শ ট্রেডার্সের বিশ্বজিৎ দাস বলেন, অন্যান্য কারণের পাশাপাশি মৌসুমের শেষভাগে এসে কিছু ব্যবসায়ীরা মজুত করা পণ্য বাজারে ছাড়তে শুরু করেছে। ফলে বাড়তি পণ্য সরবরাহ হয়েছে। এ কারণে পণ্যগুলোর দাম নিম্নমুখী।

এদিকে হিলি স্থলবন্দরের আমদানিকারক হারুন-উর-রশীদ হারুন জানান, এখনো প্রতিদিন ভারত থেকে প্রায় অর্ধশত ট্রাকে পেঁয়াজ দেশে প্রবেশ করছে। সে দেশের (ভারত) নাসিক ও পাটনা অঞ্চলে শিগগির নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ উঠবে। এ কারণে তারা মজুত পেঁয়াজ রফতানি বাড়িয়েছে। সেটার দামও নাগালের মধ্যে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads