• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮

রাজধানীর পান্থপথে বেজা কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন

সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য

চূড়ান্ত লাইসেন্স পেল সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল

  • বাসস
  • প্রকাশিত ০৪ অক্টোবর ২০১৮

বেসরকারি পর্যায়ে দেশের সর্ববৃহৎ অর্থনৈতিক অঞ্চল সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রাইভেট লিমিটেডকে চূড়ান্ত লাইসেন্স দিয়েছে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা)। বৃহস্পতিবার রাজধানীর পান্থপথে বেজা কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সংস্থার নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী উদ্যোক্তাদের হাতে লাইসেন্স তুলে দেন।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সড়ক,নৌপথ,আকাশপথ ও রেলপথে যোগাযোগের সুযোগ পাবেন এখানকার উদ্যোক্তারা।উত্তরাঞ্চলের মানুষের জন্য কর্মসংস্থানের নতুন দ্বার খুলে যাবে। এখান থেকে ভারত, নেপাল,ভূটানের সঙ্গে খুব সহজে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে। এ অর্থনৈতিক অঞ্চলের আয়তন ১ হাজার ৩৫ একর। এখানে প্রায় ১৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগ এবং ৫ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান হবে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে অঞ্চল উন্নয়নের কাজ শেষ হবে।

অনুষ্ঠানে পবন চৌধুরী বলেন, বেসরকারি খাতের সর্ববৃহৎ এই অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে অনেক প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়েছে। তবে সব বাঁধা পেরিয়ে আজ চূড়ান্ত লাইসেন্স দেওয়া হলো। ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থান তৈরির যে লক্ষ্য ছিল সরকারের তার সফল বাস্তবায়ন সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের চূড়ান্ত লাইসেন্স প্রদান।

সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চলের চেয়ারম্যান এ মতিন চৌধুরী বলেন, উত্তরাঞ্চলের প্রবেশদ্বার বঙ্গবন্ধুর সেতুর কাছে যমুনা নদীর তীরে এই অঞ্চলটি গড়ে উঠছে। অঞ্চলে ভূমি উন্নয়নের জন্য প্রস্তুতিমূলক কাজ শেষ হয়েছে। খুব শিগগিরই অবকাঠামো তৈরির কাজ শুরু হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বেজার নির্বাহী সদস্য মো. হারুনুর রশিদ,মোহাম্মদ আইয়ুব,সিরাজগঞ্জ অঞ্চলের পরিচালক শেখ মনোয়ার হোসেন,মাহামুদ হাসান খান প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য,১১ শিল্পোদ্যোক্তার সমন্বয়ে গঠিত কনসোর্টিয়ামকে সিরাজগঞ্জ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে গত বছরে জুনে প্রাক-লাইসেন্স দেওয়া হয়। যৌথ উদ্যোক্তারা হলেন-নিট এশিয়া,রাইজিং হোল্ডিংস,এসএম ইন্ডাস্ট্রিয়াল হোল্ডিংস,টেক্স টাউন, এহসানুল হাবীব, চেইঞ্জ বাংলাদেশ, মাহমুদ ফ্যাশন, রাতুল নিটওয়ার্স, মো. কামরুজ্জামান, মানামি ফ্যাশনস ও প্যারাগন ফিড।

প্রস্তাবিত অর্থনৈতিক অঞ্চলে পোশাকশিল্প,বস্ত্রশিল্প,পাট,ওষুধ,চামড়া,অটোমোবাইল,সিরামিক, রাসায়নিক, আইটি শিল্প ও কৃষিজাত পণ্য প্রক্রিয়াকরণ কারখানা গড়ে তোলা হবে। এখানে পাঁচতারকা হোটেল,ট্রেড সেন্টার,শপিং মল,পর্যটন পার্ক,চলাচলের রাস্তার মাঝখানে সড়কদ্বীপের পরিবর্তে লেক থাকবে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads