• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪২৯
মূল্যস্ফীতিতে নির্বাচনের প্রভাব পড়বে না : পরিকল্পনামন্ত্রী

পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল

সংগৃহীত ছবি

বাণিজ্য

মূল্যস্ফীতিতে নির্বাচনের প্রভাব পড়বে না : পরিকল্পনামন্ত্রী

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৪ ডিসেম্বর ২০১৮

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কোনো প্রভাব মূল্যস্ফীতিতে পড়বে না বলে মনে করেন পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

আজ মঙ্গলবার শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশনে নভেম্বর মাসের মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন মন্তব্য করেন। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ তথ্য প্রকাশ করে থাকে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচনের কারণে মূল্যস্ফীতি বাড়বে না। চালের দাম বাড়বে না, শাকসবজির দামও বাড়বে না। দৈনন্দিন জীবনে আমরা যা ভোগ করি, নির্বাচন উপলক্ষে সেসব পণ্য বাড়তি কিনব না। নির্বাচনের জন্য তো ছেলেমেয়েদের নতুন জামা কাপড় কিনে দেব না।’

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৫ দশমিক ৩৭ শতাংশ, যা আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কম। অক্টোবরে মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক ৪০ শতাংশ।

গত নভেম্বরে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি বাড়লেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি কমেছে। বিবিএসের তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, গত মাসে খাদ্য খাতে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ২৯ শতাংশ। অক্টোবরে এই হার ছিল ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ। নভেম্বর মাসে খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি কমে ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশ হয়েছে, যা অক্টোবরে ছিল ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।

বিবিএস বলছে, গত নভেম্বরে গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের ওপর মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি ছিল। গত মাসে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৬ দশমিক ২১ শতাংশ, আর গ্রামে এ হার ছিল ৪ দশমিক ৯১ শতাংশ। উভয় ক্ষেত্রেই আগের মাসের তুলনায় মূল্যস্ফীতি কমেছে।

পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, প্রতিটি জিনিসের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। ভবিষ্যতেও পণ্যের দাম স্বাভাবিক অবস্থায় থাকবে। তাই মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির আশঙ্কা নেই। আন্তর্জাতিক বাজারেও পণ্যের দাম কম।

অর্থনীতির প্রতিটি খাত ভালো অবস্থায় আছে বলে উল্লেখ করেন পরিকল্পনামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সার্বিক কর্মসংস্থান বাড়লেও উৎপাদন খাতে কর্মসংস্থান খুব বেশি বাড়েনি। এত দিন কলকারখানায় বিদ্যুৎ দিতে পারিনি, এখন দেওয়া শুরু হয়েছে। এর ফলে ওই সব কারখানার মালিকেরা সম্প্রসারণে যাবেন। তখন এ খাতে কর্মসংস্থান নিয়ে চিন্তা থাকবে না।’

পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, এবার আশাতীত ফলন হয়েছে। শেষ মুহূর্তে যদি গোডাউন তৈরি করা না হতো, তাহলে ফসল রাখার জায়গা থাকত না। এবারের ফলনে দুই বছরের মতো মজুত তৈরি হয়েছে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads