‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লীগ টেবিল’-এ ১৯ ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ। আর ২০৩৩ সাল নাগাদ বিশ্বের ২৪তম বৃহত্তম অর্থনৈতিক দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ‘সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ’ কর্তৃক প্রকাশিত ‘ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক লীগ টেবিল ২০১৯’-এ বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।
বিশ্বের ১৯৩টি অর্থনীতির অবস্থা বিবেচনা করে এই র্যাঙ্কিং করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ভারত ও মিয়ানমারের সঙ্গে স্থল সীমান্ত রয়েছে দক্ষিণ এশিয় রাষ্ট্র বাংলাদেশের। ১৬ কোটি ৩০ লাখেরও বেশি জনসংখ্যা নিয়ে বাংলাদেশ বিশ্বের অষ্টম জনবহুল রাষ্ট্র।
গত একদশক যাবৎ দেশটির গড় প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ৪ হাজার ৬০০ মার্কিন ডলার মাথাপিছু আয়ের বিশ্বব্যাংকের র্যাংকিং অনুসারে এটি নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি দেশটির অভ্যন্তরীন চাহিদাজনিত ব্যয়, সরকারের ব্যয়, রেমিট্যান্স এবং রফতানি দ্বারা চালিত হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কিছু চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও অর্থনীতির আধুনিকায়নে দেশটি গূরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী পরিচালনার লক্ষ্যে সরকারকে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। মিয়ানমার থেকে বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়ার কারণে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে- তাও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
তৈরি পোশাক বাংলাদেশের প্রধান রফতানি পণ্য। ২০১৭ সালের হিসেব অনুয়ায়ি দেশটির রফতানি আয়ের ৮০ শতাংশ তৈরি পোশাক খাত থেকে আসে। দেশটির আয়ের আরেকটি প্রধান উৎস রেমিট্যান্স। এছাড়াও বাংলাদেশের ৪৩ শতাংশ মানুষ কৃষিখাত সংশ্লিষ্ট কাজে জড়িত।