• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা

বাণিজ্য মেলায় দর্শনার্থীদের ভিড়

ছবি : সংগৃহীত

বাণিজ্য

ছুটির দিনে জমজমাট বাণিজ্য মেলা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ১৯ জানুয়ারি ২০১৯

জমজমাট হয়ে উঠেছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। গতকাল শুক্রবার ছিল ছুটির দিন। মেলা শুরুর পর যেকোনো দিনের চেয়ে গতকাল রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের মেলা কেন্দ্রে ছিল লাখো মানুষের ভিড়। এদের একটি অংশ মেলায় এসেছিল শুধু ঘুরতে। তবে বড় অংশটি কেনাকাটায় ব্যস্ত ছিল।

ছুটির দিন হওয়ায় লোকজন সকাল থেকেই মেলা প্রাঙ্গণে ছুটে আসতে থাকে। দিন যত গড়িয়েছে ততই ভিড় বেড়েছে মেলায়। দিনের শেষ বেলায় কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে ওঠে মেলা প্রাঙ্গণ। আর ছুটির দিনকে কেন্দ্র ক্রেতা-দর্শনার্থীর মনোযোগ আকর্ষণ করতে দোকানিরাও অবিরাম চালিয়ে যাচ্ছেন পণ্যের প্রচারণা। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে অফারের ছড়াছড়ি। দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর বাণিজ্য মেলায় সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রচুর জন সমাগম ঘটে। এবারো এর ব্যতিক্রম হয়নি। তাই আগে থেকে নতুন নতুন পণ্য সংযোজনে ক্রেতাদের মনোযোগ আকর্ষণে আলাদা একটা প্রস্তুতি থাকে। কেউবা পণ্যে ছাড় দিচ্ছেন, কেউবা বলছেন পণ্যের মান ভালো।

মেলা ঘুরে দেখা গেছে, কেউ এসেছেন বন্ধুদের নিয়ে কেউবা পরিবার। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনের রাস্তা থেকে বাণিজ্য মেলার মূল ফটকের দূরত্ব হাঁটার রাস্তা মাত্র পাঁচ মিনিটের। কিন্তু মেলার সামনে ভিড় ঠেলে এ রাস্তায় এখন তিনগুণ সময়ের। আর মূল ফটক থেকে মেলা প্রাঙ্গণের বিভিন্ন দিকেও প্রচুর দর্শনার্থী। এ ছাড়া জমে উঠেছে সবধরনের প্যাভিলিয়ন, স্টল, রেস্টুরেন্ট।

মেলা প্রাঙ্গণে কথা হয় রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে আসা কলেজ শিক্ষক মহিউদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, শুক্রবার ছুটির দিন হওয়ায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেনাকাটা করতে মেলায় এসেছি। সকাল থেকে সব স্টল ঘুরলাম, অনেক কিছু দেখলাম। তবে তার অভিযোগ, মেলায় খাবারের দাম খুব বেশি।

এদিকে এবারে মেলায় বিউটিফুল স্টোর ফাউন্ডেশন ও পিস ফাউন্ডেশন একটি স্টলে তাদের পণ্য প্রদর্শন করছে। সেখানে ভিড় বেশি। উদ্যোক্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেল তার মহৎ এক কার্যক্রমের কথা। তিনি ২০১৩ সালে সাভারে রানা প্লাজা ধসে আহতদের মধ্যে ২০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়ে তৈরি করছেন পাটজাতীয় পণ্য। সেই পণ্য নিয়েই বাণিজ্য মেলার বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের প্যাভিলিয়নে তার এ পসরা। সেখানে পাওয়া যাচ্ছে তাদের তৈরি পাটের নানা ধরনের ব্যাগ জাতীয় পণ্য। আফজাল হোসেন নামের এ উদ্যোক্তা বলেন, স্টলে যত ধরনের পণ্য দেখা যাচ্ছে, সবগুলোই রানা প্লাজা ভবন ধসের সময় আহতদের হাতে তৈরি। এ জন্য তাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এখন তারা নিজেরাই পাটজাতীয় পণ্য তৈরি করতে পারেন। আর এসব পণ্য বিক্রি করে যা লাভ হয়, সেটার অংশও তাদের মধ্যে ভাগাভাগি করা হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কারণে এবারের বাণিজ্য মেলা ৮ দিন পিছিয়ে গত ৯ জানুয়ারি শুরু হয়েছে। মাসব্যাপী এ মেলা শেষ হবে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি। মেলার গেট ও বিভিন্ন স্টল প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে।

মেলায় এবার প্যাভিলিয়ন, মিনি-প্যাভিলিয়ন, রেস্তোরাঁ ও স্টলের মোট সংখ্যা ৬০৫টি। এর মধ্যে প্যাভিলিয়ন ১১০টি, মিনি-প্যাভিলিয়ন ৮৩টি ও রেস্তোরাঁসহ অন্যান্য স্টল রয়েছে ৪১২টি। বাংলাদেশ ছাড়াও ২৫টি দেশের মোট ৫২টি প্রতিষ্ঠান মেলায় অংশ নিচ্ছে। দেশগুলো হলো থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ, নেপাল, চীন, মালয়েশিয়া, ভিয়েতনাম, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া ও জাপান।

    

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads