• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪২৯
৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ওরিক্স

ছবি : সংগৃহীত

বাণিজ্য

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি

৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে ওরিক্স

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২২ জুলাই ২০১৯

বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বায়োটেকনোলজি নিয়ে কাজ করবে ওরিক্স বায়ো-টেক লিমিটেড। এ লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠানটিকে সিটির ২ নম্বর ব্লকে ২৫ একর জমি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। বায়ো-টেকনোলজির উন্নয়নের ৩০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে প্রতিষ্ঠানটি।

গতকাল রোববার বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় এই বায়োটেক প্রজেক্ট নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। বঙ্গবন্ধু হাইটেক পার্ক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ।

যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপ, চীন, জাপানসহ উন্নত বিশ্বে এই বায়ো-টেকনোলজির ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। মূলত, মানব বর্জ্য থেকে বায়োটেক পণ্য উৎপাদিত হয়। এইচআইভি এইডস এবং ক্যানসার রোগের চিকিৎসায় এসব বায়োটেক ওষুধ এখন ব্যবহার হচ্ছে। এ ছাড়া সার্স, ইনফ্লুয়েঞ্জা, পা ও মুখের বিভিন্ন সংক্রমণসহ ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ-প্রতিরোধে এর ব্যবহার হচ্ছে। উচ্চতর প্রযুক্তির এই বায়ো-প্রোডাক্ট তথা জৈব পণ্য উৎপাদন একটি জটিল প্রক্রিয়া। ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেড বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটিতে বছরে ১২০০ টন মানব বর্জ্য বিশ্লেষণে সক্ষম প্লান্ট নির্মাণ করতে চায়। এর সঙ্গে ২০টি সংগ্রহ স্টেশন সংযুক্ত থাকবে। প্রতিষ্ঠানটি এক্ষেত্রে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ অন্যান্য উন্নত বিশ্বের মান বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের বাজারে বায়োটেক পণ্য সহজলভ্য হবে বলে ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেডের উপস্থাপনায় বলা হয়। প্রতিষ্ঠানটি এ ক্ষেত্রে চীনের বৃহত্তম বায়োটেক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রযুক্তিগত সহায়তা নেবে।

এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে বাংলাদেশ ৩০০ মিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক বিনিয়োগ, প্রায় ২০০০ জনের উচ্চ বেতনে কর্মসংস্থান সৃষ্টিসহ বায়ো-প্রযুক্তিতে অনেক দূর এগিয়ে যাবে যা ভিশন ২০২১ বাস্তবায়নে ব্যাপক অবদান রাখবে বলে উপস্থাপনায় বলা হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ সময় প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্ভাব্য সময় এবং পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি ওরিক্স বায়োটেক লিমিটেডকে দ্রুত কাজ শুরুর তাগিদ দিয়ে যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তিনি এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করতে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

এরপর সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড ও নেটওয়ার্ল্ড হোল্ডিংস লিমিটেডের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এর আওতায় কোম্পানিটি দুই একর জায়গায় এমআইসিআর চেক বুক উৎপাদন, ক্লাউড সার্ভিস এবং বিভিন্ন সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানটি সেখানে প্রাথমিকভাবে ১০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে এবং ৫০ জনের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করবে বলে জানিয়েছে।

বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সরকারের সচিব হোসনে আরা বেগম এনডিসি আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন। সামিট টেকনোপলিশ লিমিটেড ও বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads