আজ সকাল ১০টায় পর্দা উঠছে ২৫তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার (ডিআইটিএফ)। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সম্মেলন কেন্দ্রের পশ্চিম পাশের মাঠে (শেরেবাংলানগর) আয়োজিত ওই মেলা দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
গতকাল মঙ্গলবার মেলার প্রস্তুতি নিয়ে শেরেবাংলানগরে মেলার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি উপস্থিত ছিলেন।
ওই সংবাদ সম্মেলনে আরো জানানো হয়, এ বছর ডিআইটিএফ-এ প্রবেশে টিকিটের দাম বাড়ানো হয়েছে। গত বছরের মেলায় প্রবেশের জন্য প্রাপ্তবয়স্কদের টিকিটের মূল্য ছিল ৩০ টাকা, যা এ বছর ৪০ করা টাকা হয়েছে। তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের টিকিটের মূল্য আগের মতো ২০ টাকাই রয়েছে।
টিকিটের দাম বৃদ্ধি প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, আগে এক কাপ চা খেতেন তিন টাকায়, এখন পাঁচ টাকা লাগে। মানুষের জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়েছে। এছাড়া মেলায় এবার স্টলের সংখ্যা কমেছে। ফলে আয়ের বিষয়টি মাথায় রেখে এবার টিকিটের দাম বাড়িয়ে ৪০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এদিকে গত বছর ডিআইটিএফ-এ স্টলের সংখ্যা ছিল ৬৩০টি। এ বছর সে সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছে ৪৮৩টি। এর মধ্যে প্রিমিয়ার প্যাভিলিয়ন ৬৪টি, সাধারণ প্যাভিলিয়ন ১৩টি, সাধারণ মিনি প্যাভিলিয়ন ৫৯টি, প্রিমিয়াম মিনি প্যাভিলিয়ন ৪৩টি, প্রিমিয়ার স্টল ৮৪টি, সাধারণ স্টল ১০৭টি, ফুড স্টল ৩৫টি ছাড়াও ২৭টি বিদেশি প্যাভিলিয়ন, ১১টি বিদেশি মিনি প্যাভিলিয়ন এবং ১৭টি বিদেশি প্রিমিয়াম স্টলসহ আরো কিছু স্টল থাকছে।
স্টলের সংখ্যা কমার বিষয়ে টিপু মুনশি বলেন, আমরা মেলাকে পরিচ্ছন্ন করার জন্য স্টল কমিয়ে দিয়েছি। বেশি খোলা জায়গা রেখেছি। যাতে ক্রেতা-বিক্রেতারা সুষ্ঠু পরিবেশ পান। আর বিদেশি ক্রেতা আকর্ষণের বিষয়টিও মাথায় ছিল। কারণ আমরা মেলার মূল উদ্দেশ্য থেকে সরে যাচ্ছিলাম। বিদেশি ক্রেতা-বিক্রেতারা আসছিল না। এবার এমনটা হবে না। আমরা মেলা থেকে রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বেশকিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।
ডিআইটিএফ প্রতিদিন দেশি ও বিদেশি দর্শনার্থীদের জন্য সকাল ১০টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে বলেও তিনি জানান। এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ ২১টি দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্যাভিলিয়ন ও স্টল থাকছে। এর মধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ড, ইরান, তুরস্ক, নেপাল, চীন, মালশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ভারত, পাকিস্তান, হংকং, দক্ষিণ কোরিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া, ভুটান, ব্রুনাই, দুবাই, ইতালি ও তাইওয়ান।
এদিকে মেলায় এ বছর আরো বেড়েছে বঙ্গবন্ধু স্টলের পরিধি। এছাড়া মেলায় থাকছে মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপার্ক, ফোয়ারা, ই-পার্ক, অডিও ভিজুয়াল কেন্দ্র, ব্যাংক ও এটিএম বুথ, ফুলের বাগান, মসজিদ, ফায়ার সার্ভিস স্টেশনসহ বিভিন্ন আয়োজন। এ বছর মেলায় এসব আয়োজনে রপ্তানি উন্নয়র ব্যুরো ২৩ কোটি ১৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পেয়েছে।
অন্যদিকে মেলায় থাকছে রেডিমেড গার্মেন্ট পণ্য, হোমটেক্স, ফেব্রিক্স পণ্য, হস্তশিল্প, পাট ও পাটজাত পণ্য, গৃহস্থালি ও উপহার-সামগ্রী, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যসহ থাকবে তৈজসপত্র, সিরামিক, প্লাস্টিক, পলিমার পণ্য, কসমেটিকস, হারবাল, প্রসাধনী, খাদ্য ও খাদ্যজাত পণ্য, ইলেকট্রিক ও ইলেকট্রনিকস সামগ্রী, ইমিটেশন ও জুয়েলারি, নির্মাণসামগ্রী ও আসবাবসহ নানা আয়োজন।