• বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪২৮
এয়ারলাইনস ব্যবসায় ক্ষতি ২৫ হাজার কোটি ডলার

প্রতীকী ছবি

বাণিজ্য

এয়ারলাইনস ব্যবসায় ক্ষতি ২৫ হাজার কোটি ডলার

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ০৪ এপ্রিল ২০২০

করোনা ভাইরাসে প্রাদুর্ভাবের কারণে বড় ধরনের সংকটে পড়েছে বিশ্বের অ্যাভিয়েশন খাত। গত ৩ মাসে আকাশপথে যাত্রী পরিবহন কমেছে ৯০ শতাংশেরও বেশি। চলমান পরিস্থিতিতে এয়ারলাইনসগুলোর ক্ষতির পরিমাণ ২৫০ বিলিয়ন বা ২৫ হাজার কোটি মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা করছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষ (আইএটিএ)।

এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, করোনা ভাইরাসে সবচেয়ে বড় ধাক্কা লেগেছে এ খাতে। কোনো দেশে নিষেধাজ্ঞার কারণে প্লেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। আবার কোনো দেশে যাত্রীসংকটে ফ্লাইট পরিচালনা সাময়িক বন্ধ রেখেছে এয়ারলাইনসগুলো। বিশ্বের প্রধান এয়ারলাইনসগুলো যাওয়া-আসার প্রায় সব ফ্লাইট স্থগিত করেছে। এ ধাক্কা সামলে ওঠা বেশ কঠিন বলে মনে করেন খাতসংশ্লিষ্টরা। প্রধান এয়ারলাইনসগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য ফ্লাইট স্থগিত করেছে। ফলে এসব সংস্থার আয় অনেক কমে যাওয়ায় প্রচুর লোকসানও গুনতে হচ্ছে। প্লেন চলাচল কবে নাগাদ স্বাভাবিক হবে, তা বলতে পারছেন না কেউ। আইএটিএ বলছে, ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে ছড়িয়ে পড়ায় এয়ারলাইনসগুলোর এ ক্ষতি মুখে পড়েছে। এ-সংকট আরও দীর্ঘায়িত হলে লোকসানের পরিমাণ আরও বাড়বে। বিশ্বের প্রধান যেসব এয়ারলাইনস ফ্লাইট স্থগিত বা হ্রাস করেছে তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে আমেরিকান এয়ারলাইনস, ইউনাইটেড এয়ারলাইনস, ডেল্টা, এয়ার কানাডা, এয়ার এশিয়া, নিপ্পন, ক্যাথে প্যাসিফিক, ক্যাথে ড্রাগন, জাপান এয়ারলাইনস, কোরিয়ান এয়ার, সিঙ্গাপুর এয়ারলাইনস, সিল্ক এয়ার, কান্তাস, এয়ার নিউজিল্যান্ড, এয়ার ফ্রান্স, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ, ভার্জিন আটলান্টিক, লুফথানসা, সুইস অস্ট্রিয়ান এয়ারলাইনস, টার্কিশ এয়ারলাইনস, ইতিহাদ, এমিরাটস ও কাতার এয়ারওয়েজ।

এরই মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে লাভজনক বিমান সংস্থা আমেরিকান এয়ারলাইনস দেশটির সরকারের কাছে ১২ কোটি ডলার সহায়তা চেয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থা কান্তাস এয়ারলাইনস জানিয়েছে, করোনা সংকটে এই আর্থিক বছরের দ্বিতীয় ভাগে তাদের কর-পূর্ব মুনাফা ১০ কোটি মার্কিন ডলার কম হতে পারে। এ ছাড়া এয়ার ফ্রান্স-কেএলএম জানিয়েছে, করোনা ভাইরাসের কারণে ফেব্রুয়ারি থেকে এপ্রিলের মধ্যে তাদের আয় ২১ কোটি ৬০ লাখ ডলার কমে যাবে।

আইএটিএর মহাপরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আলেকজাঁদ্র দ্য জুনিয়াক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট রোগ) এর কারণে চাহিদার তীব্র মন্দায় বিমান সংস্থাগুলোতে। বিশেষ করে চীনা বাজারের সংস্পর্শে আসাদের ওপর অর্থনৈতিক প্রভাব পড়বে।

উল্লেখ্য গত বছরের শেষ সপ্তাহে চীনের উহান শহর থেকে সংক্রমণ শুরু হয় নতুন ধরনের এই করোনা ভাইরাসের। চীনে ৩ হাজার ৩০০ জনের প্রাণহানির পাশাপাশি ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়েছে পৃথিবীর প্রায় সব কটি দেশে। ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে ইতোমধ্যেই পৃথিবীর বেশির ভাগ দেশেই পুরোপুরি বা সীমিত আকারে লকডাউন, কারফিউসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads