• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
যুক্তরাজ্যের বৈধ বাসিন্দা হচ্ছেন বাংলাদেশিরা

ছবি : সংগৃহীত

যুক্তরাজ্য

যুক্তরাজ্যের বৈধ বাসিন্দা হচ্ছেন বাংলাদেশিরা

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৭ জুলাই ২০১৯

যুক্তরাজ্যে বসবাসরত এক লাখেরও বেশি অনথিভুক্ত বাংলাদেশি অভিবাসী সেখানে বসবাসের বৈধতা পেতে যাচ্ছেন। গত বৃহস্প‌তিবার দেশটির পার্লামেন্টে বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হকের এক প্রশ্নের জবাবে নতুন প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন জানান, অনথিভুক্ত অভিবাসীদের বৈধতার প্রশ্নে তার সরকার নীতিগতভাবে আন্তরিক।

এদিকে অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে ধারণা করা হয়, পাঁচ লাখের বেশি বৈধ অভিবাসীর পাশাপাশি সেখানে এক লাখেরও বেশি অনথিভুক্ত বাংলাদেশি রয়েছেন।

২০০৯ সালে লন্ডনের মেয়র থাকাকালে জনসন সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব উত্থাপন করে বলেছিলেন, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে যারা ব্রিটেনে অবৈধভাবে বসবাস করছেন তাদের বৈধতা দিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে এলে একদিকে বৈধ শ্রমিক সংকটের সুরাহা হবে, অন্যদিকে তাদের আয় থেকে সরকারি কোষাগারে কর জমা পড়ার পরিমাণ বাড়বে। এতে দুই পক্ষই লাভবান হবে। গত বুধবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে জনসনের সেই আহ্বানের কথা সামনে এনে লন্ডনের ইলিং এলাকা থেকে নির্বাচিত বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি রূপা হক তার উদ্দেশে বলেন, এখন তো আপ‌নি প্রধানমন্ত্রী, এখন কি অনথিভুক্তদের সাধারণ ক্ষমার আওতায় এনে আপনি প্রমাণ করবেন যে আপনার কথার সঙ্গে কাজের মিল রয়েছে? রূপার প্রশ্নের জবাবে বরিস জনসন বলেন, এটা সত্যি। আমি সরকারে থাকাবস্থায় বিষয়টি কয়েকবার উত্থাপন করেছি। তবে মন্ত্রিসভার বৈঠকেও উত্থাপন করলেও তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে কোনো সহযোগিতা পাইনি। তিনি বলেন, ব্রিটেনে বসবাসরত অনথিভুক্ত প্রায় পাঁচ লাখ মানুষকে এ দেশ থেকে বের করে দিতে চায় সরকার। তবে তাদের বিষয়টি দেখা উচিত। আর বিষয়‌টি সরকার নীতিগতভাবে আন্তরিক বলেও দাবি করেন তিনি। বরিস জনসন বলেন, যারা কোনো অপরাধে না জড়িয়ে বছরের পর বছর এখানে বসবাস করছেন আমার মনে হয় আইনিভাবে তারা সঠিক অবস্থানেই আছেন। তাদের নিয়ে অনেক জটিলতার ব্যাপার রয়েছে। যেমনটা আমরা দেখেছি উইন্ডরাশের ঘটনায়। আমি রূপা হকের প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দিতে চাই। হ্যাঁ, আমি মনে করি, যারা এদেশে বছরের পর বছর কোনো অপরাধে না জ‌ড়িয়ে বসবাস করছে, কাজ করছে কিন্তু ট্যাক্স দিতে পারছে না, তা‌দের বিষয়টি দেখা উচিত। সত্যি বলতে আইন ইতোমধ্যে তাদের থাকার অধিকার দিয়েছে। রূপা হক যেই নীতির কথা বলছেন তার আগে, তাদের সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার আগে আমাদের অর্থনৈতিক সুবিধা-অসুবিধা দেখতে হবে।

২০০০ সালে ‘ওভার স্টেয়ার রেগুলেশন ২০০০’ নামে আইন করে স্বরাষ্ট্র দপ্তর নীতিমালার মধ্যে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের ব্রিটেনে বসবাসের সুযোগ দিয়েছিল। তারপর জুলাই ২০০৬ সালে আটকে পড়া চার লাখ ৫০ হাজার ফাইলের ওপর ৫ বছর মেয়াদি একটি পরিকল্পনা স্বরাষ্ট্র দপ্তর গ্রহণ করেছিল, যা বহুলভাবে ‘লিগ্যাসি’ নামে পরিচিত। তার মধ্যে এক লাখ ৬১ হাজার (একশত একষট্টি হাজার) মানুষকে বিভিন্নভাবে বৈধতা দেওয়া হয় এবং ফাইলগুলো বিভিন্ন জটিলতার কারণে প্রত্যাখ্যান করে ২০১১ সালে লিগ্যাসির পরিসমাপ্তি ঘটে। এর আগে ২০১০ সালের ব্রিটেনের সাধারণ নির্বাচনে লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির তৎকালীন প্রধান নিক ক্লেগ ব্রিটেনে অবৈধভাবে বসবাসকারীদের বিভিন্ন শর্তের মাধ্যমে বৈধতা প্রদানের প্রস্তাব করেছিলেন, যার নাম ছিল ‘রুট টু সিটিজেনশিপ’।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads