করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে যুক্তরাজ্য সরকার। সোমবার স্থানীয় সময় রাত সাড়ে ৮টায় জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন সারাদেশ লকডাউন ঘোষণা করেছেন।
লকডাইন চলাকালে একসঙ্গে দু’জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না।
বরিস জনসন বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায় শতাব্দীর সবচেয়ে ভয়ংকর ঝুঁকির সম্মুখীন যুক্তরাজ্য।
এই ভাইরাসের বিস্তার রুখতে না পারলে এক ভয়ানক পরিস্থিতির মুখোমুখি হবো আমরা। সবার ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসে এই ভাইরাসের বিস্তৃতি এখনই ঠেকাতে হবে।
না হলে এমন একটি সময় আসবে যখন বিশ্বের কোনো স্বাস্থ্য ব্যবস্থাই এই ভাইরাসের মোকাবেলা করতে পারবে না। কারণ, মৃত্যুর হার তখন এমন পর্যায়ে পৌঁছাবে যে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার, নার্স, এমনকি ভেনটিলেট, ইনটেনসিভ বেড কিছুই পাওয়া যাবে না।‘
লকডাউন ঘোষণা করে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘একবার ব্যায়াম, জরুরি পণ্যসামগ্রী ও ওষুধ ক্রয় ছাড়া ঘরের বাইরে যাওয়া যাবে না। এক সঙ্গে দু’জনের বেশি জমায়েত হওয়া যাবে না।
আইন ভঙ্গকারীদের জরিমানা করা হবে। কেউ এসব নিদের্শ অমান্য করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিতে পারব।‘
নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রীর দোকান ছাড়া সব ধরনের দোকান অনতিবিলম্বে বন্ধের নিদের্শ দেন বরিস জনসন। লাইব্রেরি, খেলার স্থান, ব্যায়ামাগার এমনকি উপাসনালয়ও বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন তিনি।
তবে পার্ক খোলা থাকলেও জনসমাগম সীমিত থাকবে বলে জানান ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী।
শেষকৃত্য ছাড়া সব ধরনের সামাজিক অনুষ্ঠান, বিয়ে ও ধর্মীয় সমাবেশ বন্ধের ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, ‘তিন সপ্তাহ পর পরিস্থিতি বুঝে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।‘
সোমবার পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৫০ জন, যাদের মধ্যে মারা গেছেন ৩৩৫ জন।