• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
মার্কিন শাটডাউনে ট্রাম্পের বার্ষিক বক্তৃতা স্থগিত

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প

ছবি : ইন্টারনেট

যুক্তরাষ্ট্র

মার্কিন শাটডাউনে ট্রাম্পের বার্ষিক বক্তৃতা স্থগিত

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২৫ জানুয়ারি ২০১৯

যুক্তরাষ্ট্রে সৃষ্ট শাটডাউনের কারণে বার্ষিক বক্তৃতা স্থগিত করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ‘ইউনিয়ন অব স্টেট’ হিসেবে পরিচিত এই বক্তব্য শাটডাউনের অবসান না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করেছেন তিনি। এর আগে ট্রাম্পের এই বক্তৃতা স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছিলেন নিম্নকক্ষের স্পিকার ও ডেমোক্র্যাট নেতা ন্যান্সি পলেসি। সিএনএনের খবর।

হাউজ অব রিপ্রেজেন্টেটিভ বা নিম্নকক্ষের স্পিকার যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ, যিনি ট্রাম্পকে ২৯ জানুয়ারি এই বক্তব্য না দেওয়ার আহ্বান জানান। যার সম্ভাব্য তারিখ ২৯ জানুয়ারি নির্ধারণ করা হয়েছিল। স্পিকার ন্যান্সি পলেসির আহ্বানের জবাবে ট্রাম্প বলেন, শাটডাউন এখনো চলছে। ন্যান্সি পলেসি আমাকে স্টেট অব ইউনিয়নে বক্তব্য না দেওয়ার কথা বলেছেন। আমি রাজি আছি। শাটডাউনের কারণে পরে সেই মনোভাব পরিবর্তন করে নতুন দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে বলেছেন। এটি তার বিশেষ ক্ষমতা। আমি তখনই বক্তব্য দেব যখন শাটডাউনের অবসান হবে। এর আগে বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভার নিম্নকক্ষে ট্রাম্পের বক্তব্যের একটি খসড়া প্রস্তাব প্রত্যাহার করে নেন ন্যান্সি পলেসি। যেখানে শুরুতে সরকারি খরচের অর্থছাড়ের প্রস্তাব করা হয়। ওই প্রস্তাব প্রত্যাহার করায় শাটডাউন অবসানের কোনো লক্ষণ আপাতত দেখা যাচ্ছে না। এই শাটডাউনের কারণে গত ২২ ডিসেম্বর থেকে দেশটির ৮ লাখ সরকারি চাকরিজীবী বেতন পাচ্ছেন না। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের অনেকেই অস্থায়ী চাকরি করেন। যে কারণে তাদের কাজ এখন বন্ধ ঘোষণা করতে হবে। অথবা তাদের মজুরি ছাড়াই কাজ করতে হবে। স্পিকার পলেসি বলেন, দয়া করে প্রস্তাব গ্রহণ করুন, যাতে আমরা সরকারি কার্যক্রম শুরু করতে পারি এবং রাষ্ট্রের কর্মচারীদের বেতন দিতে পারি। এরপর আমাদের মতপার্থক্য নিয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে এমন প্রস্তাব ট্রাম্প প্রত্যাখ্যান করেছেন। মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে ৫ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার অর্থ চেয়েছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু বিরোধীদের নিয়ন্ত্রণে থাকা আইনসভার নিম্নকক্ষে সেই প্রস্তাব আটকে যায়। এরপর থেকেই শাটডাউনের সূচনা হয়, যা ইতোমধ্যে ৩৪ দিন ছাড়িয়ে গেছে।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads