• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯

ফাইল ফটো

আবহাওয়া

বৈরী আবহাওয়া থাকবে দুই মাস

বাড়বে বৃষ্টিপাত, রয়েছে বন্যার আশঙ্কা

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ০৭ এপ্রিল ২০১৮

ফাগুনের শুরুতেই এসেছে কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টি। যা চৈত্র অর্থাৎ মার্চ ও এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ঘটেছে বেশ কয়েকবার। কালবৈশাখীর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কয়েকটি জেলায় হয় ব্যাপক শিলাবৃষ্টি। আবহাওয়া অধিদফতরের ত্রৈমাসিক পূর্বাভাস পর্যালোচনায় দেখা যায়, এপ্রিল ও মে- দুই মাসজুড়েই বেশ কয়েকটি কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। একই সঙ্গে উপকূলীয় জেলাগুলোতে রয়েছে ঘূর্ণিঝড়ের পূর্বাভাস। এর মধ্যেই দেশের উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে তাপমাত্রা ছুঁই ছুঁই করবে পারদস্তম্ভের ৪০-এর ঘরে।

রাজধানীর আগারগাঁওস্থ আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এপ্রিল ও মে’তে দেশের সর্বত্র স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত বেশি হতে পারে। এপ্রিলে ঢাকাতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাত ১৫০ মিলিমিটার হলেও তা এ বছর ১৬৫ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে। আর মে মাসের স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের মাত্রা ২৯২ মিলিমিটার থেকে ঠেকতে পারে ৩২০ মিলিমিটারে। তবে রংপুর বিভাগের জেলাগুলোতে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের মাত্রা ২৬১ মিলিমিটার হলেও তা কমে ১৯০ মিলিমিটার পর্যন্ত হতে পারে।

এপ্রিলের শেষ দিকে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টির আশঙ্কা প্রকাশ করেছে আবহাওয়া অফিস। যার অন্তত একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। একই অবস্থা থাকবে মে মাসেও। অন্যদিকে বৈশাখের শুরুতে দেশের ওপর দিয়ে কালবৈশাখী বয়ে যাওয়ার সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে। এপ্রিলে উত্তর, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে ৩ থেকে ৪ দিন মাঝারি থেকে তীব্র মাত্রার কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে। অন্যান্য অঞ্চলে মাঝারি মাত্রার ২-৩টি কালবৈশাখী হানা দিতে পারে। মে মাসের শুরুতে সারা দেশে ২-৩টি তীব্র মাত্রার ও ৩-৪টি মাঝারি মাত্রার কালবৈশাখী ঝড়ের পূর্বাভাস রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখীর পাশাপাশি দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের ওপর দিয়ে ২ থেকে ৩টি মাঝারি (৩৮-৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে। যার একটি তীব্র তাপদাহে রূপ নিতে পারে। আর মে মাসে উত্তর ও উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ওপর দিয়ে দুটি তীব্র এবং অন্যত্র ২-৩টি মাঝারি তাপপ্রবাহের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।

আবহাওয়া অধিদফতরের পূর্বাভাস পর্যালোচনা কমিটির পরিচালক আবহাওয়াবিদ সামছুদ্দিন আহমেদ বাংলাদেশের খবরকে বলেন, ‘বাংলাদেশের জলবায়ুর চরিত্র অনুযায়ী এপ্রিল ও মে মাসে স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতই হয়ে থাকে। কিন্তু এ বছর বৃষ্টিপাতের পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। পাশাপাশি তাপমাত্রা বাড়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে বেশ কয়েকটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার দুটি নিম্নচাপে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘সিলেট অঞ্চলে স্বাভাবিকের তুলনায় এপ্রিল ও মে’তে ৪০ থেকে ৫০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকায় পাহাড়ি ঢলের কারণে নদ-নদীগুলোর পানির উচ্চতা বাড়তে পারে। এতে এপ্রিলের শেষ এবং মে’র প্রথম সপ্তাহে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে।’

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads