• বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪২৯
বৃষ্টিতে কমেছে দাবদাহ

বৃষ্টিতে কমেছে দাবদাহ

সংরক্ষিত ছবি

আবহাওয়া

বৃষ্টিতে কমেছে দাবদাহ

সাগরে গভীর নিম্নচাপ

  • নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮

পূর্ব মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। নিম্নচাপের স্থান ও আশপাশের এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। দেশের সব সমুদ্রবন্দরে রয়েছে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসঙ্কেত। আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। এদিকে সপ্তাহের শেষ দিকে দেশের ওপর আবারো মৌসুমি বায়ু সক্রিয় হওয়ায় রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি হয়েছে। দেশের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়া দাবদাহ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, যা শনিবার নাগাদ আরো উন্নীত হবে।

আবহাওয়া অধিদফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, গত বুধবার পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে, যেটি গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছিল। একই সময়ে নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬২০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৩০ কিলোমিটার পশ্চিম-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, নিম্নচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হওয়ার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। এর প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছিল। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার- যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল। গভীর নিম্নচাপ কেন্দ্রে ও এর আশপাশে সাগর উত্তাল ছিল। আরো জানানো হয়, নিম্নচাপটির প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা এবং সমুদ্রবন্দরগুলোর ওপর দিয়ে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে। এ সময় উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।

এদিকে গত সপ্তাহ থেকে দেশের ওপর মৌসুমি বায়ুর প্রভাব না থাকলেও গত বুধবার থেকে তা আবারো সক্রিয় অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। মৌসুমি বায়ুর অক্ষের বর্ধিতাংশ ভারতের রাজস্থান, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ ও বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চল হয়ে উত্তর-পূর্ব দিকে আসাম পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। যেটি দেশের ওপর মোটামুটি সক্রিয় অবস্থান করছে। মৌসুমি বায়ুর সক্রিয় অবস্থানের কারণে গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা থেকে মাঝারি এবং কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি বৃষ্টি হয়েছে। আবহাওয়া দফতরের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা নাগাদ দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে নেত্রকোনায় ৩৪ মিলিমিটার। এ ছাড়া টাঙ্গাইলে ২৯, চুয়াডাঙ্গায় ২৬, রাজধানী ঢাকা ও মোংলায় ২৩ মিলিমিটার করে বৃষ্টি হয়েছে। আজ শুক্রবার দেশের রাজশাহী, বরিশাল ও খুলনা বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে ঢাকা, টাঙ্গাইল, ফরিদপুর, মাদারীপুর, চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, কুমিল্লা, চাঁদপুর, মাইজদী কোর্ট, ফেনী, খুলনা, সাতক্ষীরা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা, ভোলা ও পটুয়াখালীর ওপর দিয়ে প্রবাহিত মৃদু তাপপ্রবাহ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টায় আরো প্রশমিত হতে পারে।

গতকাল দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ভোলাতে ৩৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর রাজধানীতে গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads