• শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪২৮
আকাশের মুখ ভার শীত শীত ভাব

আকাশের মুখ ভার শীত শীত ভাব

ছবি : সংগৃহীত

আবহাওয়া

আকাশের মুখ ভার শীত শীত ভাব

  • তপু রায়হান
  • প্রকাশিত ৩০ অক্টোবর ২০১৮

দুদিন হলো আকাশের মুখ ভার। রোববার সারাদিনই হঠাৎ হঠাৎ নেমেছে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। তার ফাঁকে অবশ্য সূর্য উঁকি দিয়েছে দুচার বার। তবে সন্ধ্যার পর থেকে ইলশেগুঁড়ি বৃষ্টি ঝরেছে সারারাত। গতকাল সোমবারও সকাল থেকেই আকাশের মুখ ছিল থমথমে। দেশের কোথাও কোথাও নেমেছে বৃষ্টিও। সারা দিন দেখা মেলেনি সূর্যের। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, এই অবস্থা থাকবে চলতি সপ্তাহজুড়েই।

গতকাল সোমবার দেশের কোথাও কোথাও দু-এক পশলা বৃষ্টিও নেমেছে। মধ্য কার্তিকের এই বৃষ্টিতে সারা দেশেই বিরাজ করেছে শীতের আমেজ। উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সোমবারের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়াবিদদের বক্তব্য সাগরে অবস্থান করা দুটি লঘুচাপের কারণে এই অবস্থা। শীত শীত ভাব থাকলেও শীত আপাতত আসছে না। লঘুচাপের প্রভাবে বরং শীতের হাওয়া আটকে গেল মাঝপথেই।

সোমবার বাংলাদেশ আবাহওয়া অধিদফতরের এক পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং পশ্চিমবঙ্গ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় দুটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ অবস্থান করছে। এর প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ ও রাজশাহী বিভাগের দু’-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ ছাড়া খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলগুলোর ওপর দিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব অথবা পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে বলেও পূর্বাভাসে উল্লেখ করা হয়েছে।

আবহাওয়ার একই অবস্থা ভারতের পশ্চিমবঙ্গজুড়েও। রোববার সন্ধ্যা থেকেই রাজ্যটির কয়েক জায়গায় বৃষ্টি নামতে শুরু করে। রাতের দিকে বইতে শুরু করে ঠান্ডা বাতাস। সোমবার সারাদিনই কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, হাওড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, বর্ধমান ও বীরভূমের আকাশের মুখ ছিল ভার।  কোথাও হালকা আবার কোথায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিও হয়েছে।

ভারতের আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, ওইসব এলাকায় আবহাওয়ার এই অবস্থা বিরাজ করবে আরো দুদিন।

আবহাওয়ার চলতি এই অবস্থা নিয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বাংলাদেশের খবরকে বলেন, সাগরে দুটি লঘুচাপ থাকার কারণেই আবহাওয়ার এই অবস্থা। মঙ্গলবারও দেশের অনেক জায়গায়ই বৃষ্টি থাকবে। বুধবার থেকে আবহাওয়ার কিছুটা উন্নতি হতে শুরু করলেও লঘুচাপের প্রভাব পুরোপুরি কাটবে শুক্রবারের পর।

এদিকে তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বোনিম্ন তাপমাত্রা নিয়ে তিনি বলেন, ওই এলাকায় বৃষ্টি হয়নি বলেই শীতের অনুভূতিটা বেশি।  একই কারণে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও ছিল ওই একই এলাকায়। 

তার মতে, তাপমাত্রা ১০ থেকে ১২ ডিগ্রিতে না নামলে আসলে তাকে শীত বলা যায় না। কার্তিক মাসে এমন তাপমাত্রা স্বাভাবিক। সাগরের লঘুচাপ বরং শীতকে একটু বিলম্বিত করল। গ্রামে শীতের অনুভূতি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, সেখানে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রিতে নামলেই শীত অনুভূত হয়। পরতে হয় শীতের পোশাক। তবে সত্যিকারের শীত আসবে অগ্রহায়ণ মাসের শেষের দিকে।

 

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads