• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪২৯
তাপমাত্রার পারদ আরো নামবে

সারা দেশে বইছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। শীত থেকে বাঁচতে আগুন পোহানোর ছবিটি গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা থেকে তোলা

ছবি : আদনান আদিদ

আবহাওয়া

তাপমাত্রার পারদ আরো নামবে

  • ডেস্ক রিপোর্ট
  • প্রকাশিত ২০ ডিসেম্বর ২০১৮

এবার কার্তিক মাসের শেষ দিকেই দেশের গ্রামাঞ্চলে শীতের আমেজ শুরু হয়। অগ্রহায়ণে দেশের কোনো কোনো এলাকায় ঘন কুয়াশা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাপমাত্রা নেমে যায় ‘শীতকাল’-এর গড় তাপমাত্রাও নিচে। ষড়ঋতুর বাংলাদেশে ‘শীতকাল’ দিন কয়েক আগে এলেও বুধবার থেকে থেকে শুরু হয়েছে শীতের পুরোপুরি আমেজ। তীব্র শীত কামড় বসাতে শুরু করেছে নগরবাসীর শরীরেও।

শীতের প্রথম মাস পৌষের শুরুতেই বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট একটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দিনের বেলায় শীতের অনুভূতিও বাড়তে থাকে। তবে রাতে রাতের তাপমাত্রা দেখা যায় স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি। কিন্তু ঘূর্ণিঝড় ‘ফেথাই’ কেটে গেলে গত মঙ্গলবার রাত থেকে নামতে শুরু করে উত্তর ও মধ্যাঞ্চলের তাপমাত্রা। বুধবার সকালেও আকাশ মেঘলা থাকায় অনুভূত হয়েছে তীব্র শীত। আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, আজ বৃহস্পতিবার থেকে রাতে শীতের তীব্রতা বাড়বে আরো। তাপমাত্রা কমবে আরো এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেক্ষেত্রে উত্তরাঞ্চলের কোনো কোনো এলাকার তাপমাত্রা নামতে পারে আট ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে। মাঝ রাত থেকে পড়তে পারে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা।

আর এই অবস্থা থাকবে আরো দু-চার দিন। আর তারপরই আসবে শৈত্যপ্রবাহ। বাড়বে শীতের তীব্রতা। বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতরের উপপরিচালক আয়েশা খাতুন বলেন, ফেথাইয়ের প্রভাব কেটে গেলেও শিগগিরই আসছে একটি শৈত্যপ্রবাহ। চলতি মাসের শেষের দিকে মৃদু বা মাঝারি ধরনের এই শৈত্যপ্রবাহ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে বয়ে যেতে পারে। সে সময় দেশের তাপমাত্রা বেশ কমে যেতে পারে। গতকাল বুধবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে দিনাজপুরে ১০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। রাজারহাট, সৈয়দপুরের তাপমাত্রাও ছিল ১০-এর কোটায়। আজ থেকে তাপমাত্রা আরো এক থেকে তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস কমলে ওইসব এলাকাসহ অনেক এলাকার তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যাবে বলে মনে করেন আয়েশা খাতুন।

গতকাল আবহাওয়া অধিদফতরের ওয়েবসাইটে সবশেষ আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি উত্তর পূর্ব দিকে এগিয়ে দুর্বল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় লঘুচাপে পরিণত হয়। এরপর এটি গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। এর প্রভাবে ঢাকা, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। দেশের অন্যান্য স্থানের আকাশ কিছুটা মেঘলা থাকতে পারে। তবে গত কয়েকদিন নিম্নচাপের কারণে দিনের বেলা যে শীত অনুভূত হচ্ছিল সেটি আর থাকবে না।

আগের কয়েক দিন যেহেতু সূর্য কিরণ ছিল না, সে কারণে শীতের অনুভব সারাদিন ধরেই ছিল। তবে আজ রোদ উঠলে পরিস্থিতি ভিন্ন হবে। রাতের তাপ কমবে, বাড়বে শীতের অনুভব।

এদিকে গতকাল থেকে রাজধানী ঢাকায়ও শীত জেঁকে বসেছে। নগরীতে হঠাৎ করে ধনী-দরিদ্র নির্বিশেষে সবার গায়েই উঠেছে শীতের পোশাক। বুধবার রাজধানীর মিরপুর, ধানমন্ডি, বসিলা, বনশ্রী ও রমনা এলাকায় দেখা গেছে সবার গায়েই শীতের পোশাক।

বিভিন্ন ট্রাফিক সিগন্যালে ও রাস্তার মোড়ে ট্রাফিক পুলিশকে জ্যাকেট ও কানটুপি পড়ে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। রাস্তার পাশে পরিত্যক্ত কাগজে আগুন ধরিয়ে শীত নিবারণ করতেও গেছে পথশিশু কিংবা ভাসমান মানুষদের।

পৌষ মাসে আসন্ন হাড় কাঁপানো শীতের আশঙ্কায় নগরবাসীও প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। ফুটপাথ থেকে শুরু করে ছোট-বড় শপিংমল ও মার্কেটে বিক্রি বেড়েছে শীতের পোশকের।

আরও পড়ুন



বাংলাদেশের খবর
  • ads
  • ads